1. admin@protidinershomoy.com : admin :
  2. nasimriyad24@gmail.com : ডেস্ক রিপোর্ট : ডেস্ক রিপোর্ট
  3. wp-configuser@config.com : James Rollner : James Rollner
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০২:১১ পূর্বাহ্ন

পবায় ঈদকে ঘিরে অঘোষিত অনুমোদনে চলছে পুকুর খনন 

সংবাদ দাতার নাম
  • সময় : মঙ্গলবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২২
  • ১৪২ জন পড়েছেন
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর পবা উপজেলার মারিয়া ইউনিয়ন ও পারিলা ইউনিয়নের নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই চলছে পুকুর খনন। এতে একদিকে কমছে আবাদি জমি অন্যদিকে নিধন হচ্ছে বৃক্ষ। আর ইট পোড়ানোর কাজে ভাটায় যাচ্ছে খড়ি। পাশাপাশি, মাটি ও খড়ি পবিহনের ফলে বিনষ্ট হচ্ছে সরকারি রাস্তা, ভয়াবহ দূষণের শিকার হচ্ছে পরিবেশ, বাড়ছে রোগ-বালাই। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের মনে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষোভ বিরাজ করলেও রহস্যজনক কারণে নির্বিকার সংশ্নিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, বেশি লাভের আশায় পুকুর খননের ফলে কোথাও কোথাও জমির আম গাছসহ অন্যান্য বৃক্ষও কাটা পড়ছে। ভূমি আইন উপেক্ষা করে অবাধে পুকুর খনন করায় কমে যাচ্ছে তিন ফসলী জমির পরিমাণ। পাশাপাশি মাটির চাহিদা মেটাতে দেদারছে বিক্রি হচ্ছে উপরের মাটি। বিক্রি করা এ মাটি পরিবহনের ভারি ডামট্রাক ও ট্রাক্টরের চলাচলে নষ্ট হচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যায়ের গ্রামীণ পাকা রাস্তা -সড়ক। রাস্তার আশে পাশের ধুলো উড়িয়ে এলাকার পরিবেশে বায়ু দূষণ করছে। এতে বাড়ছে শ্বাসকষ্ট।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মারিয়া ইউনিয়নের মোসলেম উদ্দিনের ছেলে ফারুক ১০ বিঘার মত আম ও তাল গাছের বাগান কেটে পুকুর খনন করছেন। অপরদিকে পারিলা ইউনিয়নের উজির পুকুর এলাকায় বিসিকের দেওয়াল ঘেঁষে ৬ বিঘা ধানি জমি কেটে পুকুর করছেন আশরাফ নামে এক ব্যক্তি। তারা উভয়ে দিনে ও রাতে ভেকু মেশিন দিয়ে পুকুর খনন করছেন। পুকুরের মাটি যাচ্ছে বিভিন্ন ইটভাটায়। মাটি বহনকারী ট্রাক্টরে নষ্ট হচ্ছে রাস্তা।
কথা বললে উজির পুকুরের আশরাফ বলেন, ছোট একটু জায়গায় পুকুর খনন করছি। মাছ চাষ করার লক্ষে এই পুকুর খনন। এরপর কথা শেষ না হতেই ফোন কেটে দেন তিনি।
তবে মারিয়া ইউনিয়নের ফারুক বলেন, এই জায়গা আমার বাবার। আমি বাবার নির্দেশে পুকুর খনন করছি। পুকুর খননের অনুমতি পত্র আছে। তিনি মাটির শ্রেণি পরিবর্তনের একটি ফটোকপি কাগজ দেখান। অরিজিনাল কপি দেখতে চাইলে তিনি সাংবাদিককে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন।
এ বিষয়ে কথা বলতে পবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লসমী চাকমাকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এলাকাবাসী বলছেন, প্রশাসন ম্যানেজ করেই চলছে পুকুর খনন। তারাও একাধিকবার উপজেলা প্রশাসনকে ফোন দিয়ে জানিয়ে কোন সমাধান পায়নি। ঈদকে ঘীরে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে অঘোষিত অনুমোদন দিয়ে রেখেছে প্রশাসন এমনটাই বলছেন স্থানীয়রা।

সংবাদটি আপনার সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার দিন

এই ক্যাটাগরীর আরোও সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশেষ সংখ্যা

%d bloggers like this: