1. admin@protidinershomoy.com : admin :
  2. nasimriyad24@gmail.com : ডেস্ক রিপোর্ট : ডেস্ক রিপোর্ট
  3. wp-configuser@config.com : James Rollner : James Rollner
শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫, ১১:৩৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন হাবিব খান ইসমাইল বিএমডিএ’র আরও দুই কর্মকর্তা সাসপেন্ড, চেয়ারম্যানকে ভর্ৎসনা বিভাগীয় চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় ফুটবল দলকে সম্মানী দিলেন আ: কাদের উৎসব রাজশাহী টেনিস প্রিমিয়ার লীগের খেলোয়াড় বাছাই সম্পন্ন চেয়ারম্যানের ইন্ধনে প্রকৌশলীকে ফেরাতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একাংশের মানববন্ধন মহান স্বাধীনতা দিবসে পর্তুগাল বিএনপির উদ্যোগে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত ঠাকুরগাঁওয়ে ট্রাফিক বিভাগকে ট্রাফিক সাইনবোর্ড দিলো স্কাউটস ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল এর সহযোগিতায় ও এম এ এফ-এর আয়োজনে ইফতার মাহফিল  সোনালী ব্যাংক পিএলসি জিয়া পরিষদের উদ্যোগে ইফতার বিতরণ ঠাকুরগাঁওয়ে ইসলামিক অলিম্পিয়াডের বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ

রাজশাহীতে আমানা সিটির বাণিজ্য: ধানের জমিতে আবাসিক প্লট হিসেবে বিক্রি !

সংবাদ দাতার নাম
  • সময় : মঙ্গলবার, ৩০ আগস্ট, ২০২২
  • ২২৬ জন পড়েছেন
প্রতিদিনের সময় ডেস্কঃ  রাজশাহীর একজন ব্যবসায়ীর স্ত্রী। বৃদ্ধ বয়সে একটি সুখের নীড় করবেন রাজশাহীতে। তাই রকমারি বিজ্ঞাপন দেখে ছুটে গেছেন ‘উত্তরায়ন আমানা সিটি’র সাগরপাড়া অফিসে। সেখানে গিয়ে প্রলোভনে পড়ে নিজের নামে একটি প্লট বুকিং নিয়েছেন। রাজশাহী সিটি বাইপাস হাটের পাশের বিলটিতে ‘উত্তরায়ন আমানা সিটি’র আবাসিক এলাকা গড়ে তোলা হবে সেখানেই একটি প্লট দেওয়া হবে বলে এক লাখ টাকা নেওয়া হয়েছে তাঁর কাছ থেকে। কিন্তু জমির পরিমাণ কত সেটি উল্লেখ করা হয়নি।
সরেজিমন ঘুরে দেখা যায়, রাজশাহীর সিটি বাইপাস হাটের নিচের এই বিলে রয়েছে প্রায় দুই হাজার বিঘা জমি। এর মধ্যে বাইপাস হাটের পাশে সিটি হাটের অংশটি জমি মালিকদের কাছ থেকে বন্ধক নিয়ে গরুর হাট করা হয়েছে। সেখানে গেছে প্রায় ১০০ বিঘা জমি। বাকি অংশের জমিতে এখনো ধান চাষ করেন জমি মালিকরা। এর একটি অংশে গত কয়েকদিন ধরে জমি ভরাট করা হচ্ছে। তার পাশেই রয়েছে মতিউর রহমান নামের এক ব্যক্তির বিঘা দেড়ে জমি।
মতিউর রহমান বলেন, ‘আমার এই জমিতেই নাকি আবাসিক এলাকা হবে ? অথচ আমিই জানি না। আমার মতো শত শত জমি মালিকই জানেন না এখানে কারা আবাসিক এলাকা গড়ে তুলবেন। আমাদের জমিতে আবাসিক এলাকা হবে জমি না কিনেই। এমনকি কেউ যোগাযোগ না করেই। এটা কেমন কথা ?
ওই বিলের আরেক জমির মালিক মশিকুর রহমান বলেন, ‘আমার জমি আছে দুই বিঘা। কিন্তু আমি তো এই জমি বিক্রি করবো না। তাহলে এখানে আবাসিক এলাকা কিভাবে হবে ? অথচ শুনছি আমাদের জমি বিক্রি করছে আমানা গ্রুপের লোকজন। এটা কেমন জালিয়াতি বুঝতে পারছি না।’
নওদাপাড়া এলাকার নান্নু নামের আরেক ব্যক্তি বলেন, এই বিলে আমার বাবার সম্পত্তি আছে এক বিঘার একটু বেশি। আমি এই জমিতে ধান চাষ করি। এখনো জমিতে আমন ধান আছে। আমার বাবা বেঁচে আছেন। কিন্তু আমার বাবা জমি বিক্রি করেননি। তাহলে আমাদের জমি কিভাবে ওরা বিক্রি করছে ? আমাদের জমিতে আমরা প্লট করবো কিনা সেটি আমরা সিদ্ধান্ত নিব। অন্য মানুষ এখানে চাইলো আর প্লট করলো, তাতো হতে পারে না।’
এদিকে অনুসন্ধানে জানা যায়, উত্তরায়ন আমানা সিটি নামের কথিত ওই আবাসিক এলাকায় জমি কিনেছেন এটি এম সারোয়ার হোসেন নামের আরেক ব্যক্তি। তাঁকেও একটি প্লট দেওয়ার নামে উত্তরায়ন আমানা সিটি লিমিটেডের এক লাখ টাকা নিয়ে একটি রশিদ দেওয়া হয়েছে। ওই প্রতিষ্ঠানটির অথোরাইজড কর্মকর্তা সাফিন সরকার টাকাটা বুঝিয়ে নিয়ে স্বাক্ষর দিয়েছেন। সেক্টর নম্বর -১, প্লট নম্বর-১, রোড-বি/৭ এর নামে একটি প্লট দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেখানেও জমির পরিমাণ কত, সেটি উল্লেখ করা হয়নি।
এভাবে কথিত ওই আবাসিক এলাকায় অন্তত দেড়’শ মানুষের কাছে প্লট বিক্রির নামে টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
প্লট বুকিং নেওয়া সালেহা খাতুন জানান, জমির পরিমাণ কতটুকু দিবে জানি না। তবে ওরা বলেছে ৩ কাঠা দিবে। আমি কয়েকটি প্লট বুকিং দিছি। কবে জমি পাবো জানি না। জমি দেখতেও পাইনি। বুকিং দিয়ে রেখেছি, বাকিটুকু আল্লাহ ভরসা।’
এদিকে সিটি বাইপাস হাটের এই বিলের জমিতে কোনো আবাসিক এলাকা গড়ে উঠছে কিনা জানতে চাইলে রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অথোরাইজড কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমাদের কাছে এই ধরনের কোনো তথ্য নাই। এই ধরনের আবাসিক এলাকা গড়ে তোলার আগে আমাদের নিকট থেকে আগে অনুমোদন নিতে হবে। কিন্তু এইরকম অনুমোদনের আবেদন আছে বলে জানা নাই।’
জানতে চাইলে উত্তরায়ন আমানা সিটির’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলুল হকের সঙ্গে একাধিকবার যোগোযোগের চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। তিনি ঢাকায় থাকেন বলে জানিয়ে প্রতিষ্ঠানটির রাজশাহী অফিসের ইনচার্জ সাফিন সরকার। তিনি বলেন, আমরা ওখানে বিশালাকার আবাসিক এলাকা গড়ে তুলবো। যার আয়তন হবে অন্তত তিন দুই বর্গকিলোমিটার। তাই প্লট বরাদ্দ দিচ্ছি। আমরা আবাসিক এলাকার জন্য জমি মালিকদের নিকট থেকে কতটুকু জমি কিনেছি সেটি তো আপনাকে বলা যাবে না। আমরা কিভাবে সেখানে আবাসিক এলাকা গড়ে তুলবো জমি কিনেছি কিনা সেটি আমরা জানি।’
(সুত্রঃ সিল্কসিটি নিউজ পোর্টাল)

সংবাদটি আপনার সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার দিন

এই ক্যাটাগরীর আরোও সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশেষ সংখ্যা

You cannot copy content of this page