1. admin@protidinershomoy.com : admin :
  2. nasimmahmudeee@gmail.com : Nasim Mahmud : Nasim Mahmud
  3. nasimriyad24@gmail.com : ডেস্ক রিপোর্ট : ডেস্ক রিপোর্ট
বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:২২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
উত্তর ইতালি বিএনপি শাখা কমিটি দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান তারেক রহমানের সাক্ষাতকার বড় পর্দায় প্রদর্শন করলেন ছাত্রদল নেতা তারিক ভূল্লীতে হেযবুত তওহীদের গোলটেবিল বৈঠক: গণমাধ্যমের ভূমিকায় তওহীদভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনের গুরুত্ব ইতালি যুবদলকে ঐক্যবদ্ধ ও সু সংগঠিত করতে ইতালি যুবদল লাস্পেসিয়া শাখার মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত  বাংলাদেশের তরুণ কৃষি উদ্যোক্তাদের জন্য সামাজিক ব্যবসা তহবিল গঠনের জন্য IFAD-এর প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান ইতালির বিভিন্ন প্রভিন্সে যুবদল কমিটি গঠনের লক্ষ্যে মনফালকনে গরিঝিয়া যুবদলের উদ্যোগে মতবিনিময় সভা রামগঞ্জে ফিরছে বিএনপির দুঃসময়ের কান্ডারী কবির হোসেন পাটোয়ারী ঝালকাঠি–১ আসনের বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী হাবিবুর রহমান সেলিম রেজার রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা প্রচারে লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী প্রবাসী ঐক্য’র ১০১ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি গঠন জাতীয় পার্টি (জাপা) চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের সাথে হাবিব খান ইসমাইলের সৌজন্যে সাক্ষাৎ  

ত্বীন ফল-সহ ৩০ প্রজাতির ফল বাগানে সফল ঠাকুরগাঁওয়ের সিদ্দিক

সংবাদ দাতার নাম
  • সময় : রবিবার, ৮ জানুয়ারি, ২০২৩
  • ২৬৪ জন পড়েছেন

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ছোটবেলা থেকে গাছের সাথে সংখ্যতা ছিল সিদ্দিকের। গাছ আর বাগান ছিল সবসময়ের বন্ধু। পড়াশোনার পাশাপাশি অবশিষ্ট সময়ে বিভিন্ন ধরনের গাছ আর বাগানে সময় পার করতেন সিদ্দিক। বয়স বাড়ার সাথে চাপ বাড়তে থাকে পড়াশোনার। বাড়ি থেকে পড়াশোনার জন্য চলে যেতে হয় দূরে। তবে এ চাপ আর দূরত্ব গাছ থেকে দূরে রাখতে পারেননি তাকে। অবসরে গাছ আর বাগান নিয়ে সময় কেটেছে তার।

পড়াশোনার জন্য বাড়ি থেকে দূরে থাকলেও স্বপ্নে বিভোর ছিল সিদ্দিক। দু চোখ জুড়ে শুধু গাছ আর বাগান। আর সে স্বপ্ন বাস্তব রুপ নিয়েছে তার। পড়াশোনা শেষ করে বাড়িতে এসে ৩০ প্রজাতির ফল বাগান করে সফল হয়েছেন সিদ্দিক।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের লধাবাড়ি গ্রামের আমিনুর রহমানের ছেলে আবু বক্কর সিদ্দিক। বাড়ির পাশে ভাউলারহাট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি শেষ করে রংপুর কারমাইকেল কলেজ থেকে এইচএসসি ও ম্যানেজম্যান্ট বিভাগে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করেছেন তিনি। বর্তমানে বিসিএস এর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বাগান করে সফল উদ্যোক্তা হওয়ার পাশাপাশি কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করেছে অনেক বেকার যুবকের। পড়াশোনার পাশাপাশি এমন উদ্যোগে সফল হওয়ায় সাড়া ফেলেছে জেলাজুড়ে।

বাগান দেখতে আসা বন্ধু সুবল রায় বলেন, পড়াশোনার সুবাদে আমি ঢাকায় থাকছি। আজকে তার বাগানে আমার প্রথম আসা হল। বাগানটি দেখার পর আমি অভিভূত হয়েছি।  লেবু, বরই, ত্বীন, আপেল, দার্জিলিং কমলাসহ নানা ধরনের গাছ নিয়ে তার বাগান। সবচেয়ে বড় বিষয় হল প্রায় সবগুলোতে ভালো ফলন এসেছে। এটি আসলে আমাদের বন্ধুমহলের গর্বের বিষয়। তার জন্য সবসময় শুভ কামনা থাকবে।

চারা কিনতে আসা হুমায়ুন আহমেদ বলেন, আমি ভাইয়ের কাছে কমলা, লেবু ও বরই এর চারা নিতে এসেছি। এর আগেও কয়েকবার আমি এ বাগানে এসেছি। দেখে আমার খুব ভালো লেগেছে। আমিও অনুপ্রাণিত হয়ে বাগান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সেজন্য বাগানে ভালো জাতের চারার জন্য এসেছি। সেই সাথে কিভাবে চারাগুলো যতœ নেব সেগুলো জেনে নিচ্ছি।

স্থানীয় স্কুল শিক্ষক আসাদুজ্জামান বলেন, সিদ্দিকের এমন উদ্যোগ আসলে প্রশংসনীয়। বিশেষ করে আমি বলব এটি এলাকায় সে একটি চমক সৃষ্টি  করেছে। পড়াশোনার পাশাপাশি মিশ্র ফল বাগান থেকে সে ভালো আয় করছে। সেই সাথে স্থানীয় অনেক বেকার যুবকদের সে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছে।

বাগানকে আরো বড় পরিসরে নিয়ে যাওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, ছোট বেলা থেকে গাছ ভালো লাগতো। শখ ছিল একটা বড় বাগান করব। গ্রাম থেকে শহরে গিয়ে দেখি মানুষ ছাঁদেও বাগান করছে। এতে করে আমার আগ্রহ আরো বেড়ে যায়। আমি পড়াশোনার পাশাপাশি অবসর সময়কে কাজে লাগিয়ে বাগানের কাজ শুরু করি। আট মাস হতে না হতেই আমি লক্ষাধিক টাকা আয় করেছি। আগামী রমজান মাসে চার লক্ষ পিচ লেবু বিক্রি করব বলে আশা করছি। আলাদা ফল ও বিক্রি করেছি কয়েকবার। পাশাপাশি আমার বাগানে ত্বীনফল, কমলা, বরই, ড্রাগন, সজনা, আপেল, লেবুসহ ৩০ প্রজাতির ফলের গাছ রয়েছে। যেগুলোর মধ্যে কিছুর গাছের ফল আমি ইতিমধ্যে বিক্রি শুরু করেছি। আরো এখন কিছু বিক্রি করা হচ্ছে। আরো কিছু গাছের ফল এক মাসের মধ্যে চলে আসবে বলে আশা রাখছি। আমরা সকলে চাকরী নিয়ে পরে থাকলে সফল হতে পারবনা। বরং পড়াশোনার পাশাপাশি কিছু উদ্যোগ নিয়ে শুরু করলেই সফল হওয়া যায় বলে আমি বিশ্বাস করি। এ ছাড়াও আমি দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে চারা নিয়ে এসে এ বাগানটি করেছি। কেউ যদি বাগান করতে আগ্রহী হয়ে থাকে অবশ্যই তাকে আমি সহযোগিতা করব। আমি আরো জায়গা প্রস্তুত করছি আমার বাগানের পরিধি বাড়ানোর জন্য। এতে করে আমি আরো আয় বাড়ানোর পাশাপাশি অধিক মানুষের কর্মসংস্থান ঘটবে।

তার সফলতা কামনা করে ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. আব্দুল আজিজ বলেন, অধিকাংশ শিক্ষার্থীরা চাকরী নিয়েই ব্যস্ত সময় পার করেন। তার মধ্যে একজন শিক্ষার্থীর এমন উদ্যোগ প্রশংসার দাবি রাখে। আমাদের পক্ষ থেকে তাকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করা হবে।

সংবাদটি আপনার সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার দিন

এই ক্যাটাগরীর আরোও সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশেষ সংখ্যা

You cannot copy content of this page