রাজশাহী প্রতিনিধি: আসন্ন ২১ জুন পুনরায় ভোটে নির্বাচিত হতে পারলে স্মার্ট ডিজিটালের মডেল ওয়ার্ড হিসেবে গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিগত দুই বারের নির্বাচিত কাউন্সিলর এবং এবারের প্রার্থী মো: নুরুজ্জামান টুকু।
সোমবার রাতে (রাসিক) ৬ নম্বর ওয়ার্ডে তাঁর নির্বাচনী কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ প্রতিশ্রুতি দেন।
কাউন্সিলর প্রার্থী টুকু বলেন, আমি পরপর দুইবার নির্বাচিত হয়েছি। আমার ওয়ার্ডবাসী আমাকে দুইবার নির্বাচিত করেছেন। এখন পর্যন্ত আমি কাউন্সিলরের দায়িত্বে আছি। আগামী ২১ জুন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের যে নির্বাচনে আবারও আমি প্রার্থী। আমার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আরও দুইজন প্রার্থী আছে। আমি গত ২০১৮ সালে নির্বাচিত হওয়ার আগে সম্মানিত নাগরিকদের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, সে প্রতিশ্রুতিগুলো আমি ৯৫ ভাগ পূরণ করতে পেরেছি। বাকি ৫ ভাগ শুধুমাত্র ঠিকাদারের অবহেলা আর তাঁর কিছু গাফিলতির কারণে করতে পারিনি। এছাড়া জনগণের কাছে আমার যে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল সেগুলো আমি সবই পুরণ করতে পেরেছি।
এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল, রাজশাহী টিবি হাসপাতাল সংলগ্ন দুইটা পুকুর আছে। নগরীর পুকুরগুলো সংস্কারের যে ব্যবস্থা করা হয়েছে, তারই অংশ হিসেবে আমার এলাকার এ দুইটি পুকুরও দৃষ্টিনন্দন ভাবে বাঁধানো হবে। যা ইতোমধ্যেই বেশ কিছু কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমি শতভাগ বিদ্যুতের ব্যবস্থা করতে পেরেছি। শতভাগ ড্রেনেজ ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগামী দিনে আমার ইচ্ছা আমরা যে স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছি, এই স্মার্ট বাংলাদেশের সঙ্গে আমার ওয়ার্ড কে কিভাবে খাপ খাইয়ে নিয়ে যাওয়া যায় সে পরিকল্পনা। আমাদের কর্মসংস্থানের অভাব, কর্মসংস্থানের জায়গার বাস্তবতাকে মেনে নিয়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারলে আমাদের যুবকরা ও তরুণরা কাজ করতে পারবে। সে পরিকল্পনাগুলো এবার আছে। আমি বিশ্বাস করি, আমার ভোটাররা বিগত দিনগুলোতে আমাকে যেভাবে নির্বাচিত করেছে, এবারও তারা আমাকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করবেন।
তিনি ভোটারদের উদ্দেশ্য বলেন, আমার সম্মানিত ভোটাররা এই নির্বাচনে তাঁরা যদি আবার আমাকে নির্বাচিত করে, আমি ইনশাল্লাহ এই ত্রিশটি ওয়ার্ডের মধ্যে সর্বপ্রথম আমার ওয়ার্ডটিকে স্মর্ট ডিজিটালের মডেল ওয়ার্ডে রূপান্তরিত করতে পারব এবং স্মার্ট বাংলাদেশের কাছাকাছি নিয়ে যেতে পারবো। যেভাবে সরকার স্বপ্ন দেখে আমরা সে স্বপ্নের স্মারথী হতে চাই।
তিনি বলেন, আমি এলাকার মাদক, ছিনতাই এবং চাঁদাবাজি বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছি। এসব কাজে ওয়ার্ডের জনগণের সবসময় সমর্থন পেয়েছি। বিগত সময়ে আমার ওয়ার্ডের জনগণকে কি দিতে পেরেছি, কি দিতে পারিনি, তা আগামী ২১ জুন ভোটের দিনে এলাকার মানুষ মূল্যায়ন করবেন বলে আমি বিশ্বাস করি।
Leave a Reply