1. admin@protidinershomoy.com : admin :
  2. nasimriyad24@gmail.com : ডেস্ক রিপোর্ট : ডেস্ক রিপোর্ট
  3. wp-configuser@config.com : James Rollner : James Rollner
শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫, ০৬:৪৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন হাবিব খান ইসমাইল বিএমডিএ’র আরও দুই কর্মকর্তা সাসপেন্ড, চেয়ারম্যানকে ভর্ৎসনা বিভাগীয় চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় ফুটবল দলকে সম্মানী দিলেন আ: কাদের উৎসব রাজশাহী টেনিস প্রিমিয়ার লীগের খেলোয়াড় বাছাই সম্পন্ন চেয়ারম্যানের ইন্ধনে প্রকৌশলীকে ফেরাতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একাংশের মানববন্ধন মহান স্বাধীনতা দিবসে পর্তুগাল বিএনপির উদ্যোগে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত ঠাকুরগাঁওয়ে ট্রাফিক বিভাগকে ট্রাফিক সাইনবোর্ড দিলো স্কাউটস ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল এর সহযোগিতায় ও এম এ এফ-এর আয়োজনে ইফতার মাহফিল  সোনালী ব্যাংক পিএলসি জিয়া পরিষদের উদ্যোগে ইফতার বিতরণ ঠাকুরগাঁওয়ে ইসলামিক অলিম্পিয়াডের বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ

সংবাদ সম্মেলনে হিন্দু নেতারা: মন্দির-শশ্মানের জমি দখলের ঘটনা রাজনৈতিক

সংবাদ দাতার নাম
  • সময় : শুক্রবার, ১০ নভেম্বর, ২০২৩
  • ১৭৯ জন পড়েছেন
রাজশাহী ব্যুরো : রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার কিশমত হোজা কালিমন্দির ও মহাশ্মশানের ২২ বিঘা জমি দখল ও এর সঙ্গে রাজশাহী-০৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনের সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী একজন নেতাকে জড়িয়ে একদল ব্যক্তির সংবাদ সম্মেলন মিথ্যা, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ভিত্তিহীন বলে দাবি করা হয়েছে।
শুক্রবার (১০ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে সংবাদ সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ এবং কিশমত হোজা কালিমন্দির ও মহাশ্মশানের দুর্গাপুর উপজেলার সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদের দুর্গাপুর উপজেলার সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ এই দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন- বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ এবং  কিশমত হোজা কালিমন্দির ও মহাশ্মশানের সভাপতি বিনয় সরকার। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘গত বুধবার (৮ নভেম্বর)  কিশমত হোজা কালিমন্দির ও মহাশ্মশানের ২২ বিঘা জমি দখলের অভিযোগ তুলে কিশমত হোজা গ্রামেরই একদল লোক সংবাদ সম্মেলন করে। ওই দিন সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সাংবাদিকরা সংশ্লিষ্টদের প্রশ্ন করেছিলেন যে, এই মন্দির ও মহাশ্মশানের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক সংবাদ সম্মেলনে কেন নেই ? তখন তারা বলেছিল, সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক অসুস্থ এবং ব্যস্ত। অথচ তারা দুর্গাপুর থেকে রাজশাহী শহরে এসে একটি মিথ্যা ও বানোয়াট বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে যা আমরা কেউই অবগত ছিলাম না।’
সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, “গত বুধবার অনুষ্ঠিত ওই সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে দাবি করা হয়েছে- ‘মন্দির ও মহাশ্মশানের ২২ বিঘা জমির মূল মালিক ছিলেন  সুনীল কুমার, সুশীল কুমার, পরেশ কুমার ও শিতিশ চন্দ্র সিদ্ধার্থ।’ আসলে মন্দির ও মহাশ্মশানের নামে ২২ বিঘা জমি ও জমি সংক্রান্ত অন্যান্য তথ্য সম্পর্কে আমরা অবগত নই। তবে মন্দির ও মহাশ্মশানের নামে মাত্র ১৪ শতাংশ জমি সরকার বাহাদুর প্রদান করেছিলেন। সেখানেই আমরা দীর্ঘদিন থেকে অদ্যাবধি পুজা ও দাহকার্য বিনাবাধায় সম্পাদন করে আসছি।”
সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, ‘গত বুধবার কিশমত হোজা কালিমন্দির ও মহাশ্মশান কমিটির সদস্যবৃন্দের ব্যানারে অয়োজিত ওই সংবাদ সম্মেলনের মিথ্যাভরা লিখিত বক্তব্যটি আব্দুল লতিফ নামে যিনি পাঠ করেছেন ওই ব্যক্তিটি আসলে কে ? সে আমাদের হিন্দু সম্প্রদায়ের কেউ না। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ওই দিন ওই ব্যক্তি মিথ্যা তথ্য দিয়ে সাংবাদিকদেরও ধোকা দিয়েছিল। গত বুধবার সংবাদ সম্মেলন করে বলা হয়েছে ‘রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনের সাবেক একজন সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান এক প্রভাবশালী নেতার সহযোগিতায় জামায়াত নেতা সোহরাব জমিগুলোর দলিল করে নিয়েছেন।’ সাবেক সংসদ সদস্য ও বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা বলতে আব্দুল ওয়াদুদ দারাকেই তারা বুঝিয়েছেন। অথচ দারা সাহেব আমাদের সবার প্রাণপ্রিয় নেতা। তিনি ধর্মনিরপেক্ষ মতবাদে বিশ্বাসী এবং আমাদের স্বনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবসময় আগলে রেখেছেন। কেননা, রাজশাহীর পুঠিয়া-দুর্গাপুরে যত মন্দির, শ্মশান রয়েছে সবগুলোই আব্দুল ওয়াদুদ দারা তার নিপুণ হাতের ছোঁয়ায় সংস্কার ও আধুনিকায়ন করেছেন। তিনি সংসদ সদস্য থাকাকালীন আমাদের হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জন্য যা করেছেন অন্য কোনো সংসদ সদস্য তার ধারেকাছেও যেতে পারেনি। তিনি বর্তমানে সংসদ সদস্য নন; তারপরও আমাদের স্বনাতন ধর্মাবলম্বীদের যেভাবে সহযোগিতা করে আসছেন তা কল্পনাতীত। অথচ এমন একজন মানুষকে ধর্মীয় বিষয়ের সঙ্গে  যখন উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে জড়ানো হয় তখন বোঝার বাকি থাকে না যে, কেন তার বিরুদ্ধে এমন মিথ্যাচার করা হচ্ছে। এর পিছনে বড় ধরনের অপশক্তি কাজ করছে বলে আমাদের কাছে স্পষ্ট প্রতীয়মান।”
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ দুর্গাপুর উপজেলার সাধারণ সম্পাদক আনন্দ সরকার, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ দুর্গাপুরের সভাপতি তারকনাথ মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক প্রশান্ত কুমার শাহা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদটি আপনার সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার দিন

এই ক্যাটাগরীর আরোও সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশেষ সংখ্যা

You cannot copy content of this page