শাহিনুর রহমান সোনা, রাজশাহী: ৭৬ তম জন্মদিনে শিশুদের কলকাকলী আর ভালবাসায় সিক্ত হলেন মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শিক্ষাবিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা কবি রুহুল আমিন প্রামাণিক।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেলে জেলা প্রশাসন ও শিশু একাডেমির আয়োজনে ‘নবীন বরণ ও পরিচিতি সভা’য় তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়ে জন্মদিন পালন করা হয়েছে। এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসকের পক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আনিসুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন রাজশাহী জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা মনজুর কাদের।
নিজের জন্মদিনের সম্মাননায় আবেগ তাড়িত হয়ে কবি বলেন, ‘আমি কালো, কালোরা আলো ধারণ করে বেশী। সূর্য থেকে সাদাদের চেয়ে বেশী আলো শোষন করে বলেই তারা কালো। এটা আমার কথা নয়, বিজ্ঞানের কথা। তাই কালো মানুষেরা আলোকিত মানুষ এবং তারা আলো ছড়ান। পৃথিবীর ইতিহাস তাই বলে।
শিশুদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, তোমরা আলোকিত মানুষ হও এবং পৃথিবীব্যাপী আলো ছড়াও।
তিনি বলেন, শিশু একাডেমি প্রাঙ্গণ আজ মানবকুঞ্জে পরিনত হয়েছে। তীব্র শীত উপেক্ষা করে অভিভাবকবৃন্দ তাঁদের সন্তানদের এখানে নিয়ে এসেছেন আপনাদের প্রতি ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাই। রাজশাহী জেলা প্রশাসন ও শিশু একাডেমি আমার জন্মদিন আয়োজন করেছে সে জন্য তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানাই।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আনিসুল ইসলাম বলেন, ‘কবি ও লেখক বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন প্রামাণিক রাজশাহীর গর্ব। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে দেশ মাতৃকার টানে দেশকে শত্রু মুক্ত করতে, স্বাধীন করতে অস্ত্র হাতে জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছিলেন। তিনি লেখনীর মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণজাগরণের কথা তুলে ধরেন, জেলার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস রচনার মধ্য দিয়ে অতি গুরুত্বপূর্ণ কাজও সম্পাদন করেছেন। কবিকুঞ্জ সংগঠনটির মাধ্যমে সংস্কৃতি বিকাশে আজও নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।’
এ অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা: আব্দুল মান্নান, বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান আলী বরজাহান, সংগীত গুরু মঞ্জু শ্রী, উত্তরবঙ্গের প্রখ্যাত নৃত্য গুরু হাসিব পান্না, কবিকুঞ্জের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল হক কুমার, কবি অধ্যক্ষ আলমগীর মালেক, অধ্যক্ষ আমিনুল ইসলাম, কবি শাহনাওয়াজ প্রামানিক সুমন সহ শিশু একাডেমির বিভিন্ন বিভাগের ছাত্রছাত্রী, প্রশিক্ষক, অভিভাবক বৃন্দ ও কবি রুহুল আমিন প্রামাণিকের শুভার্থী ও স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, জেলা প্রশাসন ও শিশু একাডেমি রাজশাহীর পক্ষ থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা কবি রুহুল আমিন প্রামাণিককে ফুলের তোড়া, উত্তরীয়, একটি শাল চাদর ও ক্রেস্ট দিয়ে সম্মাননা জানানো হয়।
Like this:
Like Loading...
Leave a Reply