1. admin@protidinershomoy.com : admin :
  2. nasimriyad24@gmail.com : ডেস্ক রিপোর্ট : ডেস্ক রিপোর্ট
  3. wp-configuser@config.com : James Rollner : James Rollner
শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫, ০২:৪৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম
ঠাকুরগাঁওয়ে জিংক ধানের সম্প্রসারণে নীতি নির্ধারণ ও প্রকল্প অংশীদারগণের মতামত সভা ঠাকুরগাঁওয়ে জিংক গম ও জিংক ধান শীর্ষক স্কুল সেনসিটাইজেশন প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত শান্তিগঞ্জে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ও উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ঠাকুরগাঁওয়ের বসভাঙ্গা বসন্তপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে স্কুল সেনসিটাইজেশন প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত ঠাকুরগাঁওয়ে স্কুল সেনসিটাইজেশন প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত  মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস ফাউন্ডেশন মানুষের পাশে ঠাকুরগাঁওয়ে সেনা-পুলিশের যৌথ অভিযানে ক্যাসিনো ডিলার মাদকসহ ৬ জনকে আটক ঠাকুরগাঁওয়ে মাদকবিরোধী অভিযানে ৫৯ পিস ইয়াবাসহ এক মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার অর্থ-বাণিজ্য রূপালী ইন্স্যুরেন্সে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ অনুমোদন ঠাকুরগাঁওয়ে হাসপাতাল,ক্লিনিক ও ফার্মেসিতে লিফলেট বিতরণ

ছেলে মেয়ে থাকার পরেও তাদের সাথে থাকার জায়গা হলো না মমতাময়ী মায়ের

সংবাদ দাতার নাম
  • সময় : শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
  • ৩৯ জন পড়েছেন

সুজন স্টাফ রিপোর্টার ঠাকুরগাঁওঃ আমার সন্তানেরা সারা জীবন  থাকে যেনো দুধে ভাতে, প্রবাদ টা সত্যি হৃদয়কে স্পর্শ করার মতো। মা তো এমনি হয়। এমন এক মমতাময়ী মা হচ্ছেন গোলেছা বেগম।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ভূল্লী থানা আওতাধীন ১৮ নং শুখান পুখরী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডে দেখা মিলে এমন এক মমতাময়ী মায়ের।

জানা যায় গোলেছা বেগন (৭০) মৃত অছিম পরামানিকের স্ত্রী। ৪ ছেলে ও ৩ মেয়ের জননী এই গোলেছা বেগম।

তিনার এই কষ্টের কারন জানতে চাইলে, তিনি বলেন অনেক কষ্ট করে খেয়ে না খেয়ে আমি আমাদের সন্তানদের বড় করেছি। সবাইকে বিয়ে দিয়েছি। শুরুতে সবাই ভালো ব্যবহার করলেও বয়স বাড়ার সাথে সাথে সবার কাছে বোঝা হয়ে যাই। অভাবের সংসার হওয়ার কারনে জায়গা জমি না করার ফলে প্রতিনিয়তো কথা শোনাতো ছেলে ও ছেলের বউয়েরা।

তারা প্রত্যেকে আলাদা করে বাড়ি করেছে। বয়স হওয়ার কারনে এক জন আরেক জনের বাড়িতে গিয়ে থাকার কথা বলতো। কিন্তু আমার তো বয়স হয়েছে তাই আমি যেনো সবার কাছে বেশি। কেউ আমাকে রাখতে রাজি না। পরিশেষে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে পড়ি, মেয়েদের বাড়িতে গিয়ে কিছু দিন থাকলেও অভাবের সংসার তাদের তাই সেখান থেকে চলে আসি। আসার পর সবাইকে বলি আমি আলাদা থাকবো আলাদা রান্না করে খাবো শুধু তোমরা আমাকে একটু থাকার জায়গা দেও।

কিন্তু তাতেও মন গলেনি পাষান ছেলেদের, সবাই জানিয়ে দেয় তাদের যে টুকু জায়গা আছে সেটা ওদের নিজেদের লাগবে। পরিশেষে কোনো জায়গা না পেয়ে সিদ্ধান্ত নেই রাস্তার পাশে ছোট ঘর তুলে সেখানে থাকবো। কিন্তু কাছে তেমন কোন জায়গা না থাকার কারনে, সেখানেও থাকা হলো না। সব শেষে ছোট ভাইয়ের কাছে গিয়ে একটু জায়গা দাবি করি যেখানে একটা ছোট ঘর তুলে কোনোমতো মাতা গুজতে পারবো।

ভাই জায়গা দিতে রাজি হলেও জানিয়ে দেয়, সে ঘর উঠানোর কোনো খরচ দিতে পারবে না। সে জানান তার কাছে চলার মতো কোনো টাকা না থাকলেও বয়স ৭০ এর অধিক হওয়ার কারনে বয়স্কভাতা পেতেন সেই টাকা দিয়ে কয়টা টিন এনে কোনো মতো থাকার জায়গা করবেন। তিনি বলেন আমি যে বয়স্কভাতার টাকা পাই সেটা দিয়ে কোনো মতো দিন পার করতেছি। আমরা গিয়ে দেখলাম বর্তমান সময়ে সেই ঘরটিতে থাকা গেলেও সামনে বর্ষাকাল এলে ঘরের চারপাশ দিয়ে পানি আসবে ভিতরে এবং ঘরের মেঝেতে মাটি না কাটার ফলে সেখানেও পানি জামতে পারে। তখন সেই ঘরে তিনার থাকার জন্য কষ্টকর হয়ে দাঁড়াবে।

পরিশেষে তিনি বলেন সরকারী কোনো অনুদানের মাধ্যমে আমার ঘরটা যদি ঠিক করে দেওয়া হয় এবং সরকারী যেসব সুযোগ সুবিধা আছে সেগুলো যদি আমাকে দেওয়া হয়, তাহলে হয়তো দুই বেলা দুমুঠো খেয়ে বেঁচে থাকতে পারবো।

সংবাদটি আপনার সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার দিন

এই ক্যাটাগরীর আরোও সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশেষ সংখ্যা

You cannot copy content of this page