1. admin@protidinershomoy.com : admin :
  2. nasimriyad24@gmail.com : ডেস্ক রিপোর্ট : ডেস্ক রিপোর্ট
  3. wp-configuser@config.com : James Rollner : James Rollner
শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ১০:১৮ পূর্বাহ্ন

কাজিপুরের পানাগাড়ি কমিউনিটি ক্লিনিকে রোগি-ডাক্তার কেউ নেই!

মো: আশরাফুল আলম
  • সময় : শুক্রবার, ১৫ মে, ২০২০
  • ১৫৬ জন পড়েছেন

কাজিপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার দূর্গম চরাঞ্চল নাটুয়ারপাড়া ইউনিয়নের পানাগারি কমিউনিটি ক্লিনিকের জরাজীর্ণ অবস্থা। সেখানে স্বাস্থ্য সেবা দেয়ার মত কোন পরিস্থিতি নেই। বাঁশঝাড়ে ঢেকে গেছে ক্লিনিকটি। একটু খানি বৃষ্টি হলেই পানি জমে যায় সেখানে। রাস্তা থেকে সেখানে যাবার মত কোন ব্যবস্থা নেই। বাইরে থেকে বোঝার উপায় নেই যে সেখানে রয়েছে একটি স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র। ক্লিনিকের ভিতরে ঢুকে দেখা যায়, রোগি রাখার যে বেড গুলো রয়েছে সেগুলো উল্টো করে তাতে ঢিবি করে রাখা হয়েছে কার্টুনের মোটা কাগজ। ডাক্তারদের বসার চেয়ারে তোয়ালে থাকলেও ময়লার স্তুপে ভরা জায়গা টুকু। দেয়ালগুলোয় জাল বুনেছে মাকড়াশা। জানালা গুলো খোলা হয়না বহুদিন ধরে তা দেখেই বোঝা যাচ্ছিল। জং এ ভরা ‘ইপিআই টিকা দান কেন্দ্র’ ও ‘আর্সেনিক সম্পর্কে জানুন’ লেখা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাইনবোর্ডগুলোও রাখা হয়েছে রুমের ভিতরে। বাথরুমটাও ব্যবহার যোগ্য নয়। সোলারপ্যানেলের ব্যবস্থা থাকলেও তার কোন পরিচর্যা নেই।
বৃহস্পতিবার ( ১৪ মে) বেলা ১১টা ৫ মিনিটে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে কারো আনাগোনা নেই। পরে গণমাধ্যম কর্মিদের দেখে স্বাস্থ্য সহকারি আব্দুল মোন্নাফ ক্লিনিকের দরজা খুলতে আসে। যেখানে ওই স্বাস্থ্য সহকারির ক্লিনিকে ঢোকার কথা ছিল সকাল ৯ টায়। দেরি করে ডিউটিতে আসার কারণ জানতে চাইলে সঠিক উত্তর তিনি দিতে পারেননি।
সোম, বুধ ও বৃহস্পতিবার মোছাঃ আনোয়ারা খাতুনের (এফ.ডাব্লিউ.এ) ডিউটি থাকলেও তিনি সেদিন ডিউটিতে আসেননি। সিএইচসিপি মোছাঃ সজ্জিতা খাতুন আছেন অসুস্থতা জনিত ছুটিতে জানান স্বাস্থ্য সহকারি আব্দুল মোন্নাফ।
ক্লিনিকের আশপাশের লোকজনের নিকট জানতে চাইলে তারা বলেন, ‘এখানে কোন ডাক্তারই আসে না। দুয়েক মাস পরপর একবার করে আসে। আমরা এখানে কোন প্রকার চিকিৎসা পাইনা।’ ওই দিন মোবাইল ফোনে বারবার চেষ্টা করেও তাদের সাথে যোগাযোগ যায়নি।

কাজিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোছাঃ মোমেনা পারভীন পারুল এই কমিউনিটি ক্লিনিকে স্বাস্থ্যসেবার বেহাল অবস্থার কথা স্বীকার করে বলেন, “সজ্জিতার বেতন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে এবং স্বাস্থ্য সহকারি মোন্নাফকে হুশিয়ার করে দেয়া হয়েছে।”

সংবাদটি আপনার সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার দিন

এই ক্যাটাগরীর আরোও সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশেষ সংখ্যা

%d bloggers like this: