জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাংচুর ও অবমাননার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে সরকারি তিতুমীর কলেজের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ফোরাম।
বক্তরা বলেন, একটি অপশক্তি ভাস্কর্যের ছুতা ধরে এবং বিজয়ের মাসের কিছু আগে থেকেই সারাদেশে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
শনিবার সকালে কলেজের মূল ফটকের সামনে মানববন্ধন করে প্রতিবাদ জানান তারা। এতে উপস্থিত ছিলেন তিতুমীর কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আশরাফ হোসেন, উপাধ্যক্ষ ড. মোসা. আবেদা সুলতানা, শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যান্য শিক্ষক ও কর্মচারীরা।
এ সময় তিতুমীর কলেজ অধ্যক্ষ বলেন, জাতির জনকের ভাস্কর্যের উপর হামলা চালানোর মধ্য দিয়ে পুরো জাতি, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার উপর আঘাত করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ এক ও অবিচ্ছেদ্য। বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং স্বাধিনতা এগুলো একই সুতোয় গাথা। একটি অপশক্তি ভাস্কর্যের ছুতা ধরে এবং বিজয়ের মানের কিছু আগে থেকেই সারাদেশে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। এর মাধ্যমে দেশকে একটা গভীর সংকটের দিকে নিয়ে যাচ্ছে৷ আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ করি। এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক বিষয়। আমরা এই অপশক্তির বিচার চাই। এদের কে চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক৷ যাতে ভবিষ্যতে অন্যরা এমন কাজ করতে সাহস না পায়।
তিতুমীর কলেজের উপাধ্যক্ষ ড. মোসা. আবেদা সুলতানা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতির জীবনে একজন মহানায়ক। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ সমর্থক। আজ বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের উপর যে আঘাত তা বাংলাদেশের উপর আঘাত।
তিনি বলেন, ভাস্কর্য মানে এই নয় যে তাকে পূজা করা হয়৷ ভাস্কর্যের মাধ্যমে আমাদের যে নেতা তাকে স্বরণ এবং সম্মান করা হয়।
ভাস্কর্য নিয়ে কখনোই বিতর্ক চলতে পারে না৷ আমরা এ অপকর্মের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। তারা যে চ্যালেঞ্জ করেছে তা প্রতিহত করতে হবে।
Leave a Reply