1. admin@protidinershomoy.com : admin :
  2. nasimriyad24@gmail.com : ডেস্ক রিপোর্ট : ডেস্ক রিপোর্ট
  3. wp-configuser@config.com : James Rollner : James Rollner
মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ১১:৫৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
ঈশ্বরদীতে নাইট ক্রিকেট টুর্ণামেন্টে ডিবিকেএসপি চ্যাম্পিয়ন ভূল্লীতে চেয়ারম্যান প্রার্থী মোশারুলের ‘মটর সাইকেল’ প্রতীকের নির্বাচনী অফিস উদ্বোধন বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটির ঈদ পুনর্মিলনী ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত ভূল্লীতে চেয়ারম্যান প্রার্থী তুষারের ‘ঘোড়া’ প্রতীকের নির্বাচনী অফিস উদ্বোধন চতুর্থ দিনেও ঢাকার জনগণের মাঝে হাবিব হাসান ভূল্লীতে বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্যদিয়ে মহান মে দিবস পালিত পথচারী ও রিক্সা শ্রমিক মাঝে দুই এলাকায় পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ বৃষ্টির আশায় ঠাকুরগাঁওয়ে ব্যাঙের বিয়ে দ্বিতীয় দিন ও ঢাকার জনগণের পাশে হাবিব হাসান বালিয়া ইউপি উপ-নির্বাচনে সদস্য পদে এনামুল বিজয়ী

অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে রাজশাহীর সজিব গ্রুপের শ্রমিকরা

সংবাদ দাতার নাম
  • সময় : বৃহস্পতিবার, ১৫ জুলাই, ২০২১
  • ১৬৮ জন পড়েছেন

রাজশাহী সংবাদদাতাঃ সারাদেশ আতঙ্কিত ও আলোচিত নারায়নগঞ্জের রূপগঞ্জে সদ্য ঘটে যাওয়া সজীব গ্রুপের প্রতিষ্ঠানে অগ্নিকান্ডে। এই ঘটনায় দেশের সর্বস্তরের মানুষের মনে বেদনার দাগ কেটেছে। এখন সকলেরই দৃষ্টি এই গ্রুপের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোর দিকে। এই গ্রুপের এমনই  প্রতিষ্ঠান রয়েছে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার রিশিকুল ইউনিয়নের চব্বিশনগর এলাকায়। হাসেম এগ্রো প্রসেসিং লিঃ ও হাসেম অটোরাইস মিলস্ লিঃ। এই এলাকাতে দীর্ঘদিন থেকে কোম্পানি দুটো নির্বিঘ্নে কাজ করে আসলেও বর্তমানে তা প্রশ্নবিদ্ধ। আগে থেকে বিভিন্ন অভিযোগ থাকলেও অলৌকিক ক্ষমতায় কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষ। কিন্তু গত ৮ জুলাই নারায়ণগঞ্জ রূপগঞ্জের  অগ্নিকান্ডের  ঘটনা সচেতন মহল ও প্রশাসনকে ভাবিয়ে তুলেছে। এরই ধারাবাহিকতায় রাজশাহীতে কর্মরত সাংবাদিকদের একটি অনুসন্ধানী টিম রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে অবস্থিত সজীব গ্রুপের প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনে যান। প্রতিষ্ঠানটির কাছে যেতেই অভিযোগের ফুলঝুড়ি নিয়ে হাজির সেখানে কর্মরত শ্রমিকরা। সুকৌশলে জানার চেষ্টা করা হয় তাদের দুর্দশার কথা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক শ্রমিক বলেন, ভেতরে শিশুশ্রম চলছে নির্বিঘ্নে, সেখানে যে জুস তৈরি হচ্ছে তা পচা ও ভাল আম মিশ্রিত। এছাড়াও সেখানে শিশুদের খাটিয়ে পারিশ্রমিক দিচ্ছে যথসামান্য। সেখানে শ্রমিকদের নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত পরিমানে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র  নাই। যেটা আছে তা শুধু নামে মাত্র। অথচ শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের জন্য কাজ করার কথা কলকারখানা পরিদর্শন ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের। তাদেরও কোন ভুমিকা নেই।

উল্লেখ্য ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে শিশুশ্রম নিষিদ্ধ করে বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) আইন ২০১৮-এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। কেউ যদি শিশু শ্রমিক নিয়োগ করে, তাহলে ঐ প্রতিষ্ঠানকে অর্থদণ্ড করা হবে। তবে ১৪ থেকে ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত কিশোররা হালকা কাজ করতে পারবে। কিন্তু রাজশাহীতে অবস্থিত সজীব গ্রুপের উক্ত প্রতিষ্ঠানে চরম ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন কর্মরত শ্রমিকরা। শ্রমিকদের নিরাপত্তায় নেই কোন উপযুক্ত সরঞ্জাম। প্রশ্ন উঠেছে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ভূমিকা নিয়ে।

শ্রমিকদের অধিকার খর্বসহ নানাবিধ সমস্যা থাকলেও যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে না সংশ্লিষ্ট  কর্তৃপক্ষ। সেজান জুস কারখানায় কাজ করছে শতাধিক শিশু। এই শিশুদের বেশিরভাগ ১০ বছরের মধ্যে। আবার তারা নোংরা পরিবেশে স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেও পাচ্ছেন না নায্য মূল্য। নেই কোন সাপ্তাহিক বন্ধের দিন। এছাড়াও কারখানাটিতে ইলেক্ট্রিক চুল্লি থাকার কথা থাকলেও সেখানে জুস তৈরি হচ্ছে লাকড়ি বা খড়ির আগুনে।

মিডিয়ার অনুসন্ধানী টিম শত চেষ্টা করেও কারখানার ভিতরে ঢুকতে পারেনি। মিডিয়াকর্মীরা গেটে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ম্যানেজার ফোন বন্ধ করে দেয়, এবং লোক মারফত বলতে বলে ম্যানেজার নাই। তবে গেটে কয়েকটি শিশুকে দেখা যায়। পরে রাইস মিলের গেটে গেলে, সেখানে দায়িত্বরত এডমিনের দ্বায়িত্বে থাকা সোহাগ জানান,  আমাদের সব ঠিক আছে কিন্তু ভিতরের ঢোকার অনুমতি নাই।

বিষয়টি নিয়ে প্রায় দুই ঘন্টা চেষ্টার পর পরিবেশ অধিদপ্তরে যোগাযোগ করলে জানা যায়, রাজশাহী পরিবেশ অধিদপ্তর এখন অসুস্থ্য। দায়িত্বরত উপ-পরিচালক (ডিডি) তিনি রয়েছেন মাতৃকালীন ছুটিতে, সহকারি পরিচালক (এডি) করোনা আক্রান্ত। আর  অফিস লকডাউনে বন্ধ।

পরবর্তিতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের উপ- মহাপরিদর্শক মাহফুজুর রহমান ভুইয়ার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, সেখানে শিশু তো থাকার কথা নয়, আমি ১০ জুলাই কারখানাটি পরিদর্শন করেছি। তবুও আমরা গুরুত্বসহকারে দেখবো। তিনি আরও বলেন, ১৪ বছরের উপরে কেউ শিশু আইনে পড়ে না। শিশুদের অধিকার খর্ব হচ্ছে বললে তিনি বলেন, আমাদের কেউ অভিযোগ দেয়নি। সাপ্তাহিক ছুটির দিন নেই কেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন এরুপ হওয়ার কথা নয়। স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে কাজ করছেন শ্রমিকরা প্রশ্ন করলে উপ-মহাপরিদর্শক বলেন, সেখানে কাজের পরিবেশ স্বাভাবিক রয়েছে। পর্যাপ্ত পরিমানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকার কথা। তারপরও ঈদের ছুটি কাটলে আবার পরিদর্শন করবো।

কথা বলতে সেজান জুস কারখানায় ম্যানেজার নুরুল করিমকে একাধিকবার ফোন দিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।

সংবাদটি আপনার সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার দিন

এই ক্যাটাগরীর আরোও সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশেষ সংখ্যা

%d bloggers like this: