রবিবার ( ১৮ জুলাই) সন্ধ্যায় রাজশাহী নগরীর দোশর মন্ডলের মোড়ে রাজশাহী মডেল প্রেসক্লাবের সম্মেলন কক্ষে রাজপাড়া থানার ওসি মাজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে এরকমই অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নগরীর রাজপাড়া থানার নিমতলা মোড় এলাকার মৃত আব্দুল জব্বারের স্ত্রী মোছাঃ নুরজাহান বেগম (৫৫) ও তার ছেলে মোহাম্মদ রতন (২৬)।

সংবাদ সম্মেলনে নুরজাহান বেগম ও তার ছেলে রতন সাংবাদিকদের বলেন, গত ১৬ জুন রাত ৯ টার সময় আমার ছেলে (ভিকটিম) ইসমাইল হোসেন ছোটন (২২) ও তার দুই বন্ধু নিমতলা মোড়ে নাঈম এর দোকানে ৩ টা বার্গারের অর্ডার দেয়। কিন্ত দোকানী নাঈম বার্গার তৈরী করলেও পরে আসা অন্য কাষ্টমারকে বার্গার দিয়ে দেন। এতে আমার ছেলে ক্ষিপ্ত হয়ে দোকানীকে বকাবকি দিয়ে বন্ধুদের বিদায় দিয়ে বাড়ীতে ফিরে আসে। কিছুক্ষণ পরেই দোকানীসহ একদল সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র সহ আমার বাড়ীতে এসে আমার ছেলেকে সহ বাড়ীতে থাকা সবাইকে বেধড়ক মারপিট করে জখম করে। এ সময় আমাদের চেঁচামেচিতে প্রতিবেশীরা আসলে তারা পরবর্তীতে এরকম হলে জবাই করে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে চলে যায়।

এ ঘটনার পর আমরা অতিরিক্ত আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করে রাজপাড়া থানায় মামলা দিতে গেলে আমাদের মামলা না নিয়ে মামলার কাগজ ছুঁড়ে ফেলে দেন ওসি সাহেব। এরপর তিনি কোন মামলা নেবেন না মর্মে আমাদেরকে অশোভন আচরণ করে থানা থেকে বের করে দেন। পরে জানলাম সন্ত্রাসীদের পক্ষ থেকে দেয়া মামলা তারা নিয়েছেন অথচ আমাদের টা নিলেন না।

এর একদিন পর অর্থাৎ রবিবার (১৮ জুলাই) সকালে আবারও আমরা আমাদের প্রতিবেশী একজন অনলাইন পোর্টলের সাংবাদিককে সাথে নিয়ে মামলা দিতে গেলে তাকেও ওসি গালাগালি আর মারতে উদ্ধত হয়। এ সময় তিনি বলেন, তুমি কয়দিনের সাংবাদিক ?  পুলিশের সাথে সাংবাদিকগিরি দেখাচ্ছো !  বড় বড় সাংবাদিকরাই পুলিশকে ইজ্জত করে কথা বলে , জেলের ভাত খাওয়ার ইচ্ছা না থাকলে যাও এখান থেকে, না হলে এখনই মামলায় ঢুকিয়ে দেব ! ।

এ বিষয়ে রাজপাড়া থানার ওসির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এজাহার ভুক্ত কোন ব্যক্তির  মামলা নেয়া হয় না, অশোভন আচরণের বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেন, তাদের সাথে তো নয়ই গণমাধ্যম কর্মীর সাথেও কোন খারাপ আচরণ করিনি আমি।