1. admin@protidinershomoy.com : admin :
  2. nasimriyad24@gmail.com : ডেস্ক রিপোর্ট : ডেস্ক রিপোর্ট
  3. wp-configuser@config.com : James Rollner : James Rollner
শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৪৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
নেত্রকোনা-৪ আসনে ট্রাক প্রতীকের মনোনয়ন কিনলেন ইতালি প্রবাসী খান মুহাম্মদ অপি ঠাকুরগাঁওয়ে অর্ধ-গলিত মা–মেয়ের লাশ উদ্ধার ঠাকুরগাঁওয়ে পুষ্টিসমৃদ্ধ জিংক ধানের সম্প্রসারণে সপ্তাহব্যাপী মাইকিং প্রচারণা ঠাকুরগাঁওয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ব্যবসায়ীকে হামলা, আহত দুই ঠাকুরগাঁওয়ের ভূল্লীতে গরুসহ সাত চোর আটক ঠাকুরগাঁওয়ের ভূল্লীতে ফুটবল খেলায় বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ ঠাকুরগাঁওয়ে নিউরন নার্সিং শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত ঠাকুরগাঁওয়ে পুবালি ব্যাংকের ডিজিটাল ও খুচরা পণ্য নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ঠাকুরগাঁওয়ে মৃত্যু দাবির চেক হস্তান্তর ভূল্লী থানা মাইক ও সাউন্ড সিস্টেম ব্যবসায়ী মালিক সমিতির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন সম্পন্ন

ছেলে মেয়ে থাকার পরেও তাদের সাথে থাকার জায়গা হলো না মমতাময়ী মায়ের

সংবাদ দাতার নাম
  • সময় : শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
  • ৫৯ জন পড়েছেন

সুজন স্টাফ রিপোর্টার ঠাকুরগাঁওঃ আমার সন্তানেরা সারা জীবন  থাকে যেনো দুধে ভাতে, প্রবাদ টা সত্যি হৃদয়কে স্পর্শ করার মতো। মা তো এমনি হয়। এমন এক মমতাময়ী মা হচ্ছেন গোলেছা বেগম।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ভূল্লী থানা আওতাধীন ১৮ নং শুখান পুখরী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডে দেখা মিলে এমন এক মমতাময়ী মায়ের।

জানা যায় গোলেছা বেগন (৭০) মৃত অছিম পরামানিকের স্ত্রী। ৪ ছেলে ও ৩ মেয়ের জননী এই গোলেছা বেগম।

তিনার এই কষ্টের কারন জানতে চাইলে, তিনি বলেন অনেক কষ্ট করে খেয়ে না খেয়ে আমি আমাদের সন্তানদের বড় করেছি। সবাইকে বিয়ে দিয়েছি। শুরুতে সবাই ভালো ব্যবহার করলেও বয়স বাড়ার সাথে সাথে সবার কাছে বোঝা হয়ে যাই। অভাবের সংসার হওয়ার কারনে জায়গা জমি না করার ফলে প্রতিনিয়তো কথা শোনাতো ছেলে ও ছেলের বউয়েরা।

তারা প্রত্যেকে আলাদা করে বাড়ি করেছে। বয়স হওয়ার কারনে এক জন আরেক জনের বাড়িতে গিয়ে থাকার কথা বলতো। কিন্তু আমার তো বয়স হয়েছে তাই আমি যেনো সবার কাছে বেশি। কেউ আমাকে রাখতে রাজি না। পরিশেষে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে পড়ি, মেয়েদের বাড়িতে গিয়ে কিছু দিন থাকলেও অভাবের সংসার তাদের তাই সেখান থেকে চলে আসি। আসার পর সবাইকে বলি আমি আলাদা থাকবো আলাদা রান্না করে খাবো শুধু তোমরা আমাকে একটু থাকার জায়গা দেও।

কিন্তু তাতেও মন গলেনি পাষান ছেলেদের, সবাই জানিয়ে দেয় তাদের যে টুকু জায়গা আছে সেটা ওদের নিজেদের লাগবে। পরিশেষে কোনো জায়গা না পেয়ে সিদ্ধান্ত নেই রাস্তার পাশে ছোট ঘর তুলে সেখানে থাকবো। কিন্তু কাছে তেমন কোন জায়গা না থাকার কারনে, সেখানেও থাকা হলো না। সব শেষে ছোট ভাইয়ের কাছে গিয়ে একটু জায়গা দাবি করি যেখানে একটা ছোট ঘর তুলে কোনোমতো মাতা গুজতে পারবো।

ভাই জায়গা দিতে রাজি হলেও জানিয়ে দেয়, সে ঘর উঠানোর কোনো খরচ দিতে পারবে না। সে জানান তার কাছে চলার মতো কোনো টাকা না থাকলেও বয়স ৭০ এর অধিক হওয়ার কারনে বয়স্কভাতা পেতেন সেই টাকা দিয়ে কয়টা টিন এনে কোনো মতো থাকার জায়গা করবেন। তিনি বলেন আমি যে বয়স্কভাতার টাকা পাই সেটা দিয়ে কোনো মতো দিন পার করতেছি। আমরা গিয়ে দেখলাম বর্তমান সময়ে সেই ঘরটিতে থাকা গেলেও সামনে বর্ষাকাল এলে ঘরের চারপাশ দিয়ে পানি আসবে ভিতরে এবং ঘরের মেঝেতে মাটি না কাটার ফলে সেখানেও পানি জামতে পারে। তখন সেই ঘরে তিনার থাকার জন্য কষ্টকর হয়ে দাঁড়াবে।

পরিশেষে তিনি বলেন সরকারী কোনো অনুদানের মাধ্যমে আমার ঘরটা যদি ঠিক করে দেওয়া হয় এবং সরকারী যেসব সুযোগ সুবিধা আছে সেগুলো যদি আমাকে দেওয়া হয়, তাহলে হয়তো দুই বেলা দুমুঠো খেয়ে বেঁচে থাকতে পারবো।

সংবাদটি আপনার সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার দিন

এই ক্যাটাগরীর আরোও সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশেষ সংখ্যা

You cannot copy content of this page