1. admin@protidinershomoy.com : admin :
  2. nasimriyad24@gmail.com : ডেস্ক রিপোর্ট : ডেস্ক রিপোর্ট
  3. wp-configuser@config.com : James Rollner : James Rollner
বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫, ১২:২২ অপরাহ্ন
শিরোনাম
পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন হাবিব খান ইসমাইল বিএমডিএ’র আরও দুই কর্মকর্তা সাসপেন্ড, চেয়ারম্যানকে ভর্ৎসনা বিভাগীয় চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় ফুটবল দলকে সম্মানী দিলেন আ: কাদের উৎসব রাজশাহী টেনিস প্রিমিয়ার লীগের খেলোয়াড় বাছাই সম্পন্ন চেয়ারম্যানের ইন্ধনে প্রকৌশলীকে ফেরাতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একাংশের মানববন্ধন মহান স্বাধীনতা দিবসে পর্তুগাল বিএনপির উদ্যোগে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত ঠাকুরগাঁওয়ে ট্রাফিক বিভাগকে ট্রাফিক সাইনবোর্ড দিলো স্কাউটস ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল এর সহযোগিতায় ও এম এ এফ-এর আয়োজনে ইফতার মাহফিল  সোনালী ব্যাংক পিএলসি জিয়া পরিষদের উদ্যোগে ইফতার বিতরণ ঠাকুরগাঁওয়ে ইসলামিক অলিম্পিয়াডের বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ

মোবাইল চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে যাওয়ায় চারজনকে খুন করে পারভেজ

সংবাদ দাতার নাম
  • সময় : সোমবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২০
  • ৩৩০ জন পড়েছেন

আব্দুর রউফ রুবেল, গাজীপুরঃগাজীপুরের শ্রীপুরের আবদার এলাকায় মোবাইল চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে যাওয়ায় ঘরের ভেতরে মা ও তিন সন্তানকে গলাকেটে হত্যার কথা আদালতে স্বীকরোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে গ্রেপ্তার হওয়া মো. পারভেজ (২০)।

পারভেজ আবদার গ্রামের কাজিম উদ্দিনের সন্তান।

সোমবার (২৭ এপ্রিল ২০২০)বিকালে পারভেজ গাজীপুরের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. শরীফুল ইসলামের নিকট ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন গাজীপুর আদালতের ইন্সপেক্টর মীর রকিবুল হক।

গাজীপুর জেলা পিবিআই পরিদর্শক মো. হাফিজুর রহমান জানান, রবিবার মধ্যরাতে আবদার এলাকায় অভিযান চালিয়ে পারভেজকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে মা-সন্তানদের খুনের কথা স্বীকার করলে আদালতে ১৬৪ ধারায় তার জবানবন্দি নেওয়া হয়।

পারভেজ ২মাস আগেও নুরাকে উত্যক্ত করতে গিয়ে তাদের ঘরের খাটের নিচ থেকে ধরা পড়ে। পরে ক্ষমা চেয়ে ছাড়া পায়।

তিনি আরো জানান, মা ও মেয়ে নুরার স্মার্ট মোবাইল ফোন চুরির উদ্দেশ্যে গত ২৩এপ্রিল পার্শ্ববর্তী বাবুলের বাড়ির পিছন দিক দিয়ে কাজলের বাড়ির দেয়ালের ইট বেয়ে দোতলা বাড়ির ছাদে উঠে। এসময় নিজের কাছে থাকা ব্লেড দিয়ে ছাদে কাপড় শুকানোর রশি কেটে ছাদের গ্রীলের সাথে বেঁধে রশি বেয়ে একটু নীচেই দোতলার বাথরুমের ভেন্টিলেটর ফাঁকা জায়গা দিয়ে ভেতরে ঢুকে। পরে সে নুরা ও হাওয়ারিন এর রুমে প্রবেশ করে খাটের নীচে লুকিয়ে থাকে। নুরার তখন কানে হেডফোন ছিল ও ছোট বোন হাওয়ারিন ঘুমিয়ে ছিল। প্রায় এক ঘন্টা পর সকলে ঘুমিয়েছে ভেবে ধারণা করলে নীচ তলায় নেমে রান্না ঘর হতে ধারালো বটি নিয়ে দোতলায় উঠে মোবাইল নেয়ার জন্য নুরার মার কক্ষের দরজার লক খোলার চেষ্টা করে। এসময় দরজা খোলার শব্দে নুরার মা জেগে উঠে বাথরুমে ও আশপাশ কেউ আছে কিনা খোঁজ করে। এসময় ফাতেমা তাকে দেখে চিনে ফেললে সে চিৎকার দিয়ে তার হাতে থাকা বটি দিয়ে কাজলের স্ত্রীকে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাথারী ভাবে কোপায়। এতে ফাতেমা অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে যায়। এসময় নুরা শব্দ পেয়ে ঘুম থেকে জেগে উঠলে তাকেও বটি দিয়ে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এরপর নুরার ছোট ভাই ফাদিল জেগে উঠলে তার মাথায় কোপ মারে, সে ফ্লোরে পড়ে গেলে প্রথমে তাকে গলাকেটে নুরার খাটের নীচে রাখে, তারপর হাওয়ারিন ঘুম থেকে জেগে উঠে চিৎকার দিলে তাকেও কোপায়। পরবর্তীতে সে নুরাকে ধর্ষন করে। নুরার মাকে ওড়না দিয়ে হাত পা বেঁধে অতঃপর অর্ধমৃত হাওয়ারিনকেও ধর্ষণ করে এবং মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য সবাইকে গলা কেটে হত্যা করে।

এরপর নুরার মার গলায় ১টি স্বর্ণের চেইন, ২টি কানের দুল ও ১টি কান ফুল ও ১টি নাক ফুল খুলে নেয় এবং হাওয়ারিন এর কান থেকে ২টি স্বর্ণের রিং খুলে নেয়। পরবর্তীতে আলমিরা খুলে ২টি স্বর্নের চেইন, ১টি আংটি, ১টি লাল রং এর ছোট ডাইরী, নুরার মায়ের রুম হতে ২টি বড় টাচ মোবাইল নেয়। মোবাইল ও স্বর্নালংকার তার পরিহিত পায়জামার পকেটে রাখে। এরপর সে হাত মুখ ধুয়ে ফেলে পেছনের গেইট খুলে নিজ বাড়ি চলে যায়।

পারভেজ ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে একই এলাকার ৭ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় গ্রেপ্তারের পর ৯ মাস জেল খেটে উচ্চ আদালত থেকে জামিনে মুক্ত হয়। জবানবন্দি শেষে আদালতের নির্দেশে আবার তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

রবিবার রাতে গ্রেপ্তারের পর পারভেজের দেওয়া তথ্যমতে তার ঘর থেকে নিহতদের রক্তমাখা কাপড় ও মাটির নিচে চাপা দেওয়া অবস্থায় লুন্ঠিত দুইটি মোবাইল ফোন এবং একটি পায়জামার ভেতরে রাখা স্বর্ণের তিনটি গলার চেইন, কানের দুল, আংটি ও নাক ফুল উদ্ধার করা হয়েছে।

শ্রীপুর থানার ওসি মো. লিয়াকত আলী জানান, গত বুধবার রাতে আবদার এলাকায় নিজ বাড়িতে খুন হন মালয়েশিয়া প্রবাসী রেজওয়ান হোসেন কাজলের স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলে। এ ব্যাপারে পরদিন কাজলের বাবা বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা খুনীদের উল্লেখ করে মামলা করেন এবং পিবিআই, র‌্যাবসহ পুলিশের তদন্তকারী একাধিক টিম জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কয়েকজনকে করে। খুনের তিনদিন পরই গ্রেপ্তার হলো পারভেজ।

সংবাদটি আপনার সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার দিন

এই ক্যাটাগরীর আরোও সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশেষ সংখ্যা

You cannot copy content of this page