1. admin@protidinershomoy.com : admin :
  2. nasimriyad24@gmail.com : ডেস্ক রিপোর্ট : ডেস্ক রিপোর্ট
  3. wp-configuser@config.com : James Rollner : James Rollner
বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০২:১৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম
রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের মুজিবনগর দিবস পালন রাজশাহীতে বিশ্ব হিমোফিলিয়া দিবস পালিত ১৭ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন: ইতালী আওয়ামী লীগ কাতানিয়া শাখা রাজশাহীতে নিক্বণ নৃত্য শিল্পী গোষ্ঠীর বর্ষবরণ অনুষ্ঠিত রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে বর্ষবরণ উদযাপিত  বিএমডিএ: ইবিএ প্রকল্পে দুর্নীতি, ভোগান্তিতে গ্রামীণ কৃষক ভূল্লীতে বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ উপলক্ষে মঙ্গল শোভাযাত্রা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ঠাকুরগাঁওয়ে চেম্বার অফ কমার্স নির্বাচনের একটি প্যানেলের সংবাদ সম্মেলন মাদক ব্যবসায়ীর মৃত্যুকে পূঁজি করার চেষ্টা করছে ফখরুল-এমপি সুজন ঠাকুরগাঁওয়ে মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২ যুবক

একসময় খাদ্য সংকটে থাকা জামিলা কসাই খাদ্য তুলে দিচ্ছেন অসহায়দের হাতে

সংবাদ দাতার নাম
  • সময় : বুধবার, ১ এপ্রিল, ২০২০
  • ৬৮১ জন পড়েছেন

মো.তোফাজ্জল হোসেন, বীরগঞ্জ(দিনাজপুর) সংবাদদাতাঃ নিজেই কুড়ি বছর আগে খাদ্য সংকটে বাবার বাড়িতে এসে বসবাস স্থাপন করেছিলেন দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার ঝাড়বাড়ি এলাকার জমিলা বেগম। অভাবের কারণে স্ত্রী-সন্তান রেখে পালিয়ে যায় স্বামীও। কিন্তু নিজের জীবনের কাছে হার না মেনে হাতে তুলে নেন কসাইয়ের কাজ। গড়ে তোলেন মায়ের দোয়া মাংস ভান্ডার। দীর্ঘ কুড়ি বছর আগে এই জমিলা বেগম মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে, সন্তান নিয়ে মাঠের মধ্যে রাত্রী যাপন করে দিন কাটিয়েছেন। কিন্তু জীবন সংগ্রামে আজ সেই জমিলা বেগম নিজের পায়ে প্রতিষ্ঠিত একজন নারী। দেশ বিদেশে জমিলা বেগমকে এখন সবাই চিনে “জমিলা কসাই” নামে।

সেইদিন গুলো আর নেই। বড় ছেলে জহুরুল ইসলামকে সাথে নিয়ে কসাইয়ের কাজ করে দিন পাল্টে গেছে জমিলা বেগমের। করোনাভাইরাসে যখন চারিদিকে মানুষের আহাজারী, খেটে খাওয়া মানুষরা যখন খাদ্য সংকটে পড়েছে তখন সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যক্তি উদ্যোগেও সহায়তা দেয়া হচ্ছে খাদ্য সামগ্রী। নিজের অভাবের কথা ভুলে যাননি জমিলা বেগম। করোনায় ক্ষতিগ্রস্থ ৪০টি পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন তিনি।

বুধবার (০১ এপ্রিল) সকালে দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার ঝাড়বাড়ি এলাকায় অসহায় ৪০টি পরিবারের মাঝে চাল, ডাল, তেল, আলু দিয়ে সাহায্য করেছেন জমিলা বেগম। এসময় তার বড় ছেলে জহিরুল ইসলাম সাথে ছিলেন। জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমার মায়ের কষ্ট আমি দেখেছি। আমিও চাই অসহায় মানুষের পাশে মায়ের সাথে থাকতে। সবাই আমাদে জন্য দোয়া করবেন।’

জমিলা বেগম বলেন, ‘আমি আমার অতীতকে ভুলে যাইনি। আমি জানি একটা পরিবারের ইনকাম না থাকলে তাদের কি করুণ পরিণতি হয়। আমি নিজেও এসবের ভুক্তভোগী। কঠিন পরিশ্রম করে আজকে আমি সন্তানদের নিয়ে নিজের পায়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছি। আমার সামর্থে ৪০ জন মানুষকে চাল, ডাল, তেল, আলু দেয়ার সুযোগ এসেছে আমি দিয়েছি। আগামীতেও আমি আমার এলাকার অসহায় গরিব মানুষের পাশে থাকব। আমি চেষ্টা করে যাব যতটুকু করার সামর্থ আছে ততটুকু করার। সবাই আমরা জন্য দোয়া করবেন।’

সংবাদটি আপনার সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার দিন

এই ক্যাটাগরীর আরোও সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশেষ সংখ্যা

%d bloggers like this: