সাকিল হোসেন মজুমদারঃ
আজ বিশ্ব জুড়ে এক মহামারী
কি নাম তার?
তার নাম হলো করোনা ভাইরাস
দয়া করে ঘর থেকে কেউ বের হইও না।
সাত সাতটা দিন ঘরে থাক
করোনার ভয় জয় কর,
আল্লাহ দিবেন আলো
তাই তো আমি বলছি ও ভাই
থাকো সবাই ঘরে
বেঁচে থাকলে কথা বলতে পারবো সবাই মেলা
করোনা এক বিশ্ব মহামারী চলছে তারি খেলা।
কবিতা কিম্বা গান, বা লেখা কিছু আসছে না
আমরা এখন এক গভীর সংকটময় সময় পার করছি। আজ থেকে আগামী সাতদিন হচ্ছে করোনা প্রতিরোধ কিংবা ছড়িয়ে পড়ার ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ দিন ।
সবাই এখন সামাজিক দূরত্ব এবং জনসমাগম যেনো না হয় সে বিষয়ে খুবই চিন্তিত, সেটা এই সময়ে সত্যিকারেই দরকার।
কিন্তু সবকিছুর মাঝে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আমাদের আড়ালে পড়ে যাচ্ছে।
প্রশ্ন হচ্ছে সেটি কি?
করোনা আক্রান্ত রোগীর প্রাথমিক লক্ষণগুলো দেখা দেবার পর তারা সরাসরি তাদের বাড়ি/ বাসা থেকে চলে যায় ঔষধের দোকানে। মনে করুন আপনাদের বা আমাদের রহিমানগর বাজারে প্রতিদিন ১০০ জন মানুষ জ্বর,ঠান্ডা জাতীয় রোগের ঔষধ নিতে আসে।
এদের মধ্যে একজনের মাঝেও যদি করোনার ভাইরাস থাকে তাহলে সেটি খুব সহজেই ছড়িয়ে পড়বে অন্যের মাঝে, যাতে করে সাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়বে অন্যেরাও।
তাই সকলের উচিৎ যাদের এ জাতীয় সমস্যা আছে আপনি নিজেই মনে করছেন দয়া বাজারে না গিয়ে মোবাইল কল করে সেবা নিন, এতে আপনিও সুস্থ থাকবেন, পরিবার ও সমাজের অন্যরাও সুস্থ থাকবে।
প্রশ্ন করতে পারেন,তাহলে এর সমাধান কি?
সমাধানঃ বাংলাদেশের প্রতিটা ইউনিয়নে রয়েছে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র। যেখানে রয়েছে স্বাস্থ্য কমকর্তা। সরকার অথবা জেলাপ্রশাসক প্রতিটা ইউনিয়ন ভিত্তিক যাদের করোনা লক্ষণ রয়েছে তাদের মোবাইলে স্বাস্থ্য সেবা এবং বাড়িতে স্বেচ্ছাসেবীর মাধ্যমে ঔষধ প্রেরণ করতে পারে। এর সবচেয়ে বড় উপকারি দিক হচ্ছে যারা অসুস্থ তাদেরকে শনাক্ত করে সবসময় তাদের খোঁজ খবর নিতে পারবে। এতে করে তাদের মধ্যে কেউ করোনায় আক্রান্ত হলেও তার দ্বারা আাশেপাশের মানুষের ক্ষতিগ্রস্ত হবার সম্ভাবনা খুবই কম থাকবে।
আসুন নিজে সুস্থ থাকি, সমাজের সবাইকে সুস্থ রাখতে সচেতন হই, মুখে মাক্স, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যাবহার করি, জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে কাজ করি।
সরকারের দেয়া আইন মেনে চলি। প্রশাসনকে সহয়তা করি।
লেখক পরিচিতি –
শিক্ষার্থী – ঢাকা বিজিএমইএ বিশ্ববিদ্যালয়
সদস্য – শাহরাস্তি অপরূপা নাট্যগোষ্ঠী, চাঁদপুর।
Leave a Reply