1. admin@protidinershomoy.com : admin :
  2. nasimriyad24@gmail.com : ডেস্ক রিপোর্ট : ডেস্ক রিপোর্ট
  3. wp-configuser@config.com : James Rollner : James Rollner
বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:১০ অপরাহ্ন
শিরোনাম
রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের মুজিবনগর দিবস পালন রাজশাহীতে বিশ্ব হিমোফিলিয়া দিবস পালিত ১৭ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন: ইতালী আওয়ামী লীগ কাতানিয়া শাখা রাজশাহীতে নিক্বণ নৃত্য শিল্পী গোষ্ঠীর বর্ষবরণ অনুষ্ঠিত রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে বর্ষবরণ উদযাপিত  বিএমডিএ: ইবিএ প্রকল্পে দুর্নীতি, ভোগান্তিতে গ্রামীণ কৃষক ভূল্লীতে বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ উপলক্ষে মঙ্গল শোভাযাত্রা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ঠাকুরগাঁওয়ে চেম্বার অফ কমার্স নির্বাচনের একটি প্যানেলের সংবাদ সম্মেলন মাদক ব্যবসায়ীর মৃত্যুকে পূঁজি করার চেষ্টা করছে ফখরুল-এমপি সুজন ঠাকুরগাঁওয়ে মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২ যুবক

কেমন কাটছে জবি শিক্ষার্থীদের হোম কোয়ারেন্টাইন

সংবাদ দাতার নাম
  • সময় : মঙ্গলবার, ৭ এপ্রিল, ২০২০
  • ৮৫৮ জন পড়েছেন

মেহেরাবুল ইসলাম সৌদিপ, জবি প্রতিনিধিঃ
মহামারী করোনা ভাইরাসের প্রভাবে হঠাৎ থমকে গেল এই শহর বলা যায় গোটা বিশ্ব এমনকি প্রাণ প্রিয় চিরচেনা ক্যাম্পাসটা ও। করোনা ভাইরাসের সৌজন্যে চলছে এখন পুরো পৃথিবী। অঘোষিত লক ডাউনে দেশ। সবাইকে ঘরে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভয়াল করোনা ভাইরাসের কারণে হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে চাকুরিজীবী, বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ তথা ক্রীড়াঙ্গন এবং সিনেমা জগতের ব্যক্তিত্বরা। সরকারি নির্দেশনায় বন্ধ রয়েছে সকল শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান, বন্ধ রয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ও। লকডাউন হওয়ার ঠিক আগেই অচল হয়ে গিয়েছে গোটা শহর। গৃহবন্দি সকলে। তবে বাসায় থাকা ব্যাপারটা খুব একটা আপত্তি নেই।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

হোম কোয়ারেন্টাইন কি?
হোম কোয়ারানটাইনের বাংলা অর্থ স্বেচ্ছায় গৃহবন্দি। হোম কোয়ারানটিন মানে বাইরে ঘুরে বেড়িয়ে ফুর্তি করা নয়।

আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য বিধি (আইএইচআর -২০০৫)-এর আর্টিকেল ৩২ অনুসারে, যে সব দেশে নভেল করোনাভাইরাস বা (কোভিড-১৯)-এর স্থানীয় সংক্রমণ ঘটেছে সে সব দেশ থেকে যে সব যাত্রী এসেছেন এবং আসবেন (দেশি-বিদেশি যে কোনো নাগরিক), যারা দেশে শনাক্ত হওয়া কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংস্পর্শে এসেছেন এবং যার অথবা যাদের কোনো শারীরিক উপসর্গ নেই, তাদের ১৪ দিন কোয়ারানটাইন পালন করা আবশ্যক।

বন্ধুদের সঙ্গে হৈ-হুল্লোড় আর আড্ডা নেই। ক্লাসে বসে ঘণ্টা পর ঘণ্টা নেই পড়াশুনা। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সব কিছু বদলে দিয়েছে। শিক্ষার্থীদের দৈনন্দিন জীবনে এনেছে ব্যাপক পরিবর্তন। তারপরও থেমে নেই জীবন। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকলেও অনেক শিক্ষার্থী অনলাইনে ক্লাসে অংশ নিচ্ছেন, পরিকল্পনা মাফিক সময়কে কাজে লাগাচ্ছেন। আবার কাছের মানুষদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে সচেতন করে তুলছেন।

পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগের প্রথম বর্ষের তিনজন শিক্ষার্থী হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা দিনগুলো নিয়ে অনুভূতি তুলে ধরেছেন প্রতিদিনের সময়ের কাছে।

নুসরাত জাহান রিজু  বলেন, হোম কোয়ারেন্টাইন শব্দটাই তো মন খারাপ করে দেয়, দম বন্ধ লাগে। প্রথম প্রথম খুব কষ্ট হতো,একটুতেই রাগ উঠে যেতো। কিন্তু সবার আগে তো বেঁচে থাকতে হবে। পরিবার, প্রিয়জন,আমার দেশের প্রতিটা মানুষের কথা চিন্তা করে হলেও ঘরে থাকতে হবে। সারাদিন ছোট ভাইয়ের সাথে ঝগড়া করেই কাটিয়ে দেই। গানের প্র‍্যাক্টিস করি, অবসর সময়ে রান্না-বান্না ও শিখছি টুকটাক। পাশাপাশি বাড়ির কাজে মাকে ও সহায়তা করছি অনেক।

                      নুসরাত জাহান রিজু

সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করি, আশা রাখি তিনি সব কিছু ঠিক করে দিবেন। পরিবারের সবার সাথে রোজা রাখা,নামাজ পড়া,কোরআন পাঠ। একটা ডায়েরি নিয়েছি, নিজের পছন্দের কবিতাগুলো লিখে রাখি, গল্পের বই পড়ে যে লাইনগুলো ভালো লাগে সেগুলো লিখে রাখি। গান শুনি প্রচুর,সময় করে একসাথে মুভি দেখি সবাই। একটা কঠিন সত্যি হলো,পরিবারের থেকে দূরে চলে গিয়েছিলাম। হোম কোয়ারান্টাইন আবার আমায় পরিবারে আবদ্ধ করেছে। পরিবারকে সময় দেওয়ার সবচেয়ে ভালো সময় মনে করছি। সবার ছোট ছোট গল্প শুনি,তাদের কাজে সাহায্য করি। টবে ছোট ছোট কিছু গাছ লাগিয়েছি,সেগুলোর যত্ন করি। খুব মন খারাপ হলে ছাদে গিয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকি। এভাবেই কেটে যাচ্ছে আমার দিনগুলি।

আরেক শিক্ষার্থী তাসফিয়াহ নাওয়ার । ১৭ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়  বন্ধের পর থেকেই নিজ বাসায় হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন।

তাসফিয়াহ নাওয়ার

হোম কোয়ারেন্টাইনে কেমন কাটছে, কি করছেন- জানতে চাইলে নাওয়ার বলেন, এরকম দুর্যোগ পরিস্থিতি আগে কখনো ফেস করিনি। এ পরিস্থিতিতে নিজেকে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে। আমি সেটাই করছি। পরিকল্পনা করে সময়কে কাজে লাগাচ্ছি। কিছু সময় গান করছি। কিছু সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে কাজে লাগিয়ে মানুষকে সচেতন করছি। করোনাভাইরাস সম্পর্কে নিজেকে সবসময় আপডেট রাখছি।
সময়টা খুব বোর যাচ্ছে। আমি চাই খুব দ্রুতই ক্লাস, পরীক্ষা আর বন্ধুদের সাথে আড্ডায় ফিরে যেতে।

আসমা-উল হোসনা অর্থি  জানান, সব রুলস ফলো করে ১৭ মার্চ থেকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছি। পরিবার ও কাছের মানুষদের উৎসাহিত করছি তারা যেন হোম কোয়ারেন্টাইন সঠিকভাবে মেনে চলে। ফেসবুকে সচেতনামূলক অনেক পোস্ট দিয়েছি। সময় কাটছে গান করে, ফেসবুকিং করে।
আমি যেহেতু ছোট বেলা থেকেই গান করি তাই আমার সময় অনেকটা গান করেই কেটে যাচ্ছে, পাশাপাশি ড্রয়িং ও করছি কিছু কিছু। আর আমার সারাদিন কেটে যায় বই পড়ার মধ্য দিয়ে, এতদিন যেই বইগুলো পুরস্কার বা উপহার সামগ্রী হিসেবে পেয়েছি সেগুলো এই হোম কোয়ারেন্টাইনে এসে পড়ে শেষ করছি। আমি সবাইকে বলবো এই অবসর সময়ে সবাইকে বই পড়ে কাটানোর জন্য। এছাড়াও ইংরেজি স্কিল ডেভেলপ করার জন্য ইংরেজি কবিতা বা সংবাদপত্র পড়ে সময় পার করতে পারেন। এছাড়াও এই অবসর সময়ে প্রিয় মানুষের সাথে লুডু খেলেও কাটিয়ে দিতে পারেন। সর্বোপরি, যে যেই ধর্মেরই হোন না কেনো নিজ নিজ সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি যেনো করোনার হাত থেকে সবাইকে রক্ষা করেন। আর এভাবেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়েই কেটে যাচ্ছে আমার সময়।

আসমা-উল হুসনা অর্থি

করোনা ভাইরাসের প্রভাবে টানা ২৪ দিন বাসায় থেকে খুব অস্বস্থি বোধ করছি। শরীর খুব দুর্বল হয়ে পরেছে। এখন বাইরে যাইতেও ভয় লাগে। তাই সব সময় সাবধানতা অবলম্বন করছি। করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষা পাওয়ার একমাত্র উপায় হলো বাসায় অবস্থান করা। তাই আমি মনে করি সকলের এই কঠিন সময়ে বাসায় অবস্থান করা জরুরি। ইনশাল্লাহ আবার দেখা হবে সবার সাথে সেই শহরের প্রিয় ক্যাম্পাসে।

সংবাদটি আপনার সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার দিন

এই ক্যাটাগরীর আরোও সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশেষ সংখ্যা

%d bloggers like this: