সবুজ সরকারঃ
সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে জব্দকৃত ৭ বস্থা চাল নিয়ে ধুম্মজালের সৃষ্টি হয়েছে। সোমবার দুপুরের দিকে উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন একটি খোলা জায়গায় পরিত্যক্ত অবস্থায় বস্তা গুলো পরে ছিল। স্থানীয়রা বলছে ত্রাণের চাল।
জানা যায়, বেলকুচি উপজেলায় করোনা ভাইরাসে কর্মহীনদের জন্য জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতা সহ বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে খাদ্র সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। একই সাথে দেশ জুড়ে চলছে ন্যায্যমুলে চাল বিক্রি। পিছিয়ে নেই চাল চোরাকারবারিরাও। সোমবার দুপুরে বেলকুচি উপজেলার সর্ববৃহৎ দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন সাঈদ আহম্মেদের বাড়ির সামনের সড়কে অটোভ্যানে ৭ বস্তা চাল নিয়ে যাচ্ছিল একটি চক্র। চাল দেখে স্থানীয়দের সন্দেহ হলে ভ্যানের গতিরোধ করে চাল গুলো আটক করে। সুযোগ বুঝে ভ্যানের চালক সহ ঐ চক্রটি সটকে পড়ে। পরে স্থানীয়রা পুলিশকে জানালে ওসি তদন্তের নেতৃতৃত্বে একটি দল চাল গুলো জব্দ করে। তবে চাল গুলো ত্রাণের নাকি করোনায় বিশেষ বরাদ্দে অথবা ১০ টাকা কেজি বিক্রির জন্য আনা কোন ডিলারের এবিষয়ে কেউ মুখ খোলেনি।
এবিষয়ে দৌলতপুর ইউপি চেয়ারম্যান আশিকুর রহমান লাজুক বিশ্বাস জানান, আমার পরিষদের পাশ থেকে চাল জব্দ হলে যে পরিষদের হবে এটা ভাবা ঠিক না। পরিষদের চালের হিসাব মিলিয়ে দেখুন এ চাল আমাদের না। অপর দিকে এলাকায় গুঞ্জন রয়েছে জব্দকৃত চাল গুলো গোপালপুর বটতলার ডিলার আক্তার হোসেনের হতে পারে। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আক্তার হোসেন।
এদিকে স্থানীয়রা জানান, গরিবের ঘরে খাবার নেই, অথচ ত্রাণের চাল চোরাকারবারিরা লুটেপুটে খাচ্ছে। এঘটনার সাথে জরিত চাল চোরদের দ্রুত আটকের দাবি জানান তারা।
এবিষয়ে বেলকুচি থানার ওসি তদন্ত নুরে আলম জানান, চাল জব্দ করা হয়েছে। কিন্তু এ চাল কার তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এছাড়া উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রন কর্মকর্তা ফাহাদ ইবনে সালাম জানান, চেষ্টা চলছে জব্দকৃত চাল গুলোর আসল রহস্য বের করার। উক্ত ইউনিয়নে আমাদের ৪ জন ফেয়ার প্রাইজের ডিলার আছে। তাদের স্টক মিলিয়ে দেখা হয়েছে।
বেলকুচি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ জানান, ঘটনাটি শুনেছি, চালগুলো কিসের এখনও জানা যায়নি। ৭ বস্তা চাল থানা হেফাজতে রয়েছে।
Leave a Reply