এম এ শুকুর শ্রীমঙ্গল(মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে পৈত্রিক সম্পত্তির অধিকার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে এক দত্তক সন্তান। বিষয়টি নিয়ে মৌলভীবাজার জেলা জজ দ্বিতীয় আদালতে একটি মামলাও দায়ের করা হয়েছে।
১৩ এপ্রিল সোমবার সকালে শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে উক্ত মামলার বাদী উপজেলার রাধানগর ৩নং সদর ইউনিয়নের বসিন্দা পবন কুমার পাল এর পক্ষে তার মামতো বোন জয়মতি প্রজাতি লিখিত বক্তব্যে বলেন, তার জন্মের বছর খানেকের মধ্যে তার মামা রামব্রীজ রুদ্রপাল তাকে তার পিতামাতার কাছ হতে দত্তক নেয় এবং মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তাকে নিজ পুত্রের মতোই লালন-পালন ও ভরণ-পোষণ করে আসেন রামব্রীজ রুদ্রপাল। রামব্রীজের পিতা ভক্ত কুমারের মৃত্যুর পরে তিনি মৌরসী সম্পত্তি হিসেবে শ্রীমঙ্গল থানাধীন বালিশিরা পাহার মৌজার নং ব্লকে জেএল নং ৭২, এসএ দাগ নং ২২৯, ২৩০, আরএসডিপি খতিয়ান ১১৯, আরএস ছাপা ১১৯, আরএস দাগ ১১৬ তে মোয়াজী ০.৩০ একর জমি বাটোয়ারা মাধ্যমে ভোগ দখল করে আসেন। রামব্রীজ রুদ্রপালের মৃত্যুকালে তিনি তার স্ত্রী শিবদুলালী রুদ্রপাল, ছেলে গৌতম রুদ্রপাল, দত্তক ছেলে পবন কুমার পাল ও তিন কন্যাকে বিদ্যমান রেখে যান। পবন কুমার পাল অভিযোগ করে বলেন, হিন্দুদের নিয়ম অনুসারে পিতার মৃত্যুর পর তার স্ত্রী, ছেলে ও দত্তক ছেলে সমান ভাগে পিতার সম্পতির অংশ পাওয়ার আইন থাকলেও তার পালিত পিতার মৃত্যুর পরে তার ভাই গৌতম রুদ্রপাল তার মা-ভাইকে সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করার জন্য এলাকার প্রভাবশালী কয়েক ব্যক্তি সাথে লিপ্ত হয়ে বহুতর ভূমি গৌতম রুদ্রপাল তার দুই কন্যা প্রিয়াংকা ও জয়ন্তীর নামে সম্পূর্ণ অবৈধ ও বেআইনীভাবে গোপনে দানপত্র দলিল সম্পাদন ও রেজিষ্ট্রারী করে দেন। উক্ত বিষয়ে মিমাংসার জন্য গত ১৮০ ফেব্রুয়ারি ২০২০ইং তারিখে মৌলভীবাজার জেলা জজ দ্বিতীয় আদালতে একটি বাটোয়ারা মামলা স্বত্ব নং ০১/২০২০ইং দায়ের করলে তা এখনও বিচারাধীন আছে বলে জানান পবন কুমার পাল। পবন পালের এই অভিযোগের পরিপেক্ষিতে তার ভাই গৌতম রুদ্র পালের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান পবন আমাদের আত্মীয় এবং শুধুমাত্র আমাদের বাড়ির কাজের লোক ছিলেন। সে আমাদের এখানে বহুদিন যাবৎ কাজ করে আসছে তা এলাকার অনেকেরই জানা।
তিনি আরও বলেন পবন দীর্ঘদিন আমাদের এখানে কাজ করার কারণে মানবিক দিক থেকে তাকে বাড়ি করে থাকার জন্য কিছু জায়গা ও নগর টাকা দিতে চেয়েছি সে তা না নিয়ে এলাকার কিছু মানুষের পরামর্শে আমাদের উপরে মিথ্যা মামলা করেছে যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
Leave a Reply