আব্দুর রউফ রুবেল, গাজীপুরঃগাজীপুরের শ্রীপুরের নান্দিয়া সাঙ্গুন গ্রামের হতদরিদ্র সত্তোরোর্ধ হাবিুন্নেসা। স্বামী মারা গেছেন মুক্তিযোদ্ধের এক বছর পূর্বে। সন্তান নেই, অসহায়ত্বের কারনে ঠাঁই হয়েছিল পরের বাড়ীতে। অন্যের বাড়ীতে ঝিয়ের কাজ করে কোন মতে দিন চললেও করোনার প্রভাবে অনেকটা অসহায় হয়ে পড়েছেন বৃদ্ধ এই নারী। ঘরে খাবার নেই,যেখানে শুনছেন সেখানেই দৌড়াচ্ছেন। কিন্তু সহায়তা মিলছে না তার। তিনি জানান, বহুদিন ঘুরেও কোন সরকারের সামাজিক সহায়তার কার্ডে(বিধবা কার্ড) নিজের নাম অন্তর্ভূক্ত করতে পারেননি। পূর্বে বিভিন্ন জনের বাড়ীতে ঘুরে খাবারের ব্যবস্থা হলেও এখন কেউ নিরাপত্তার অজুহাতে বাড়ীতে ঢুকতে দেন না। ঘরেও নেই কোন খাবার তাই হয়ত না খেয়েই এবার মরতে হবে।
স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী,উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের একটি গ্রাম নান্দিয়া সাঙ্গুন। গ্রামটিতে প্রায় বার হাজার মানুষের বসবাস। অধিবাসীদের মধ্যে হতদরিদ্র শ্রেনীর লোকজন সংখ্যায় সবচেয়ে বেশী। যাদের মধ্যে নিন্মশ্রেণীর কৃষক, দিনমুজুর,জেলেরা রয়েছে। গত কয়েকদিনে করোনায় অবরুদ্ধ পরিস্থিতির আঁচর লেগেছে গ্রামজুড়েই। গ্রামের মানুষের তেমন কোন সহায় সম্বল না থাকায় দুমুঠো খেয়ে বেঁচে থাকার চ্যালেঞ্জে পড়েছে তারা। বিশেষ করে গ্রামটিতে প্রায় অর্ধশত বিধবা পরিবারে চাহিদামত খাবাবের অভাবে হতাশা দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য জসিমউদ্দিন মীর জানান, গ্রামের অধিকাংশ লোকজনই দরিদ্র। সরকারী খাদ্য সহায়তা সীমিত ভাবে আসছে। কাকে রেখে কাকে দেব এমন পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে। আমি নিজেও এখন অসহায় হয়ে পড়েছি।
এ বিষয়ে শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামসুল আরেফিন জানান, বিষয়টি তার জানা ছিল না,তিনি খোঁজ নিয়ে দেখবেন,তাদের সহায়তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।
গাজীপুর জেলা সমাজসেবা বিভাগের উপপরিচালক এসএম আনোয়ারুল করিম জানান,হতদরিদ্র মানুষের জীবন মান উন্নয়নের লক্ষ্যে সামাজিক কর্মসূচী চলমান রয়েছে। কি কারনে এসব বিধবারা অর্ন্তভূক্ত হতে পারেননি তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন। সাথে তাদের সহায়তার জন্য সরকারী বরাদ্ধের বিষয়ে ব্যবস্থা নিবেন।
Leave a Reply