1. admin@protidinershomoy.com : admin :
  2. nasimriyad24@gmail.com : ডেস্ক রিপোর্ট : ডেস্ক রিপোর্ট
  3. wp-configuser@config.com : James Rollner : James Rollner
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:০৫ পূর্বাহ্ন

বেলকুচিতে মেয়র ত্রাণ না দেওয়া বঞ্চিতদের নিজ অর্থায়নে ত্রাণ দিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান

সংবাদ দাতার নাম
  • সময় : বৃহস্পতিবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২০
  • ৬০০ জন পড়েছেন

বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি:
নভেল করোনা ভাইরাসের কারণে বেকার হয়ে পড়া সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার নি¤œ আয়ের মানুষ ও দুস্থদের মাঝে ত্রাণ বিতরণকে কেন্দ্র করে বেলকুচি পৌর মেয়র বেগম আশানূর বিশ্বাসের সাথে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম সাজেদুলের সাথে ঝগড়া হয়েছে। পরে ত্রাণ বঞ্চিতদের নিয়ে এসে উপজেলা চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম সাজেদুল নিজ অর্থায়নে প্রায় ৪ শত পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করেন।

মঙ্গলবার বিকালে বেলকুচি পৌরসভা কার্যালয়ে উপস্থিত সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ বিশ^াসের সামনেই উপজেলা চেয়ারম্যান ও পৌর মেয়র ঝগড়ার লিপ্ত হয়। পরে উপজেলা চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম সাজেদুল ত্রাণ বঞ্চিত এসব দুস্থ মানুষদেরকে ডেকে এনে উপজেলার আলহাজ¦ সিদ্দিক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নিজস্ব অর্থায়নে ১০ কেজি করে ত্রাণ বিতরন করেন।

এই বিষয়ে পৌর কাউন্সিলর আলম প্রামানিক জানান, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের স¦াক্ষর ছাড়া স্লিপ আসার কারণে আমি ত্রাণ দিতে নিষেধ করি। এই কারণে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম সাজেদুল ও তার ভাই সাজ্জাদুল হক রেজা এসে আমাকে গালমন্দ করেন।

এদিকে এই বিষয়ে পৌর মেয়র বেগম আশানূর বিশ্বাসের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমার কাছে পৌর প্যানেল মেয়র ইকবাল রানার মাধ্যমে উপজেলা চেয়ারম্যান ত্রাণের বিতরণের জন্য ১ শ স্লিপ বরাদ্দ চায়। তাকে দেওয়ার মত ১শ স্লিপ না থাকায় তাকে ৩৫টি স্লিপ দেই। ত্রাণ বিতরণের সময় প্রায় ৩ শতাধিক মানুষ আসে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর ছাড়া সিল দেওয়া স্লিপ নিয়ে। তাই তাদের ত্রাণ দেওয়া হয়নি। এই কারণে উপজেলা চেয়ারম্যান ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী এসে আমাদের অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে। আমার পৌর কাউন্সিলর আলমকে লাঞ্চিত করে। আমি ইতিমধ্যে বিষয়টি বেলকুচি ইউএনও এবং ডিসি মহোদয়কে অবহিত করেছি।

এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম সাজেদুল জানান, আমি এই উপজেলা চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছি যার কারণে এই উপজেলার সবাই আমার আপনজন। সাধারণ মানুষের এই দূর্ভোগের সময় ত্রাণ সহায়তা পাওয়ার জন্য পৌর এলাকার মানুষজন আমার কাছে আসেন। পরবর্তীতে আমি পৌর প্যানেল মেয়রের সাথে কথা বলে পৌরসভার কিছু অসহায় মানুষের মাঝে ত্রাণের স্লিপ দেই। কিন্তু সেই বন্টনকৃত স্লিপের মানুষগুলো ত্রাণ সহায়তা নিতে গেলে মেয়র সাহেব কিছু সংখ্যক ব্যক্তিকে ত্রাণ দিয়ে বাকীগুলো ফেরত পাঠান। এই বিষয়টি আমি জানতে পেরে মেয়রকে জিজ্ঞেস করি কেন ঐ ব্যক্তি গুলোকে ত্রাণ দেওয়া হয়নি। এটা শোনার পর আমার মেয়র আশানূর বিশ্বাস ও বর্তমান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ বিশ্বাস আমার সাথে ঝগড়ায় লিপ্ত হয়। পরে আমি নিজ অর্থায়নে ত্রাণ বঞ্চিত ৪শ জন অসহায় কর্মহীন পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করি। পৌর কাউন্সিলরকে মারধরের বিষয় জানাতে চাইলে তিনি বলেন, মারধরের মত এমন কিছু হয়নি শুধু কথা কাটা কাটি হয়েছে।

সংবাদটি আপনার সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার দিন

এই ক্যাটাগরীর আরোও সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশেষ সংখ্যা

%d bloggers like this: