মামুন কৌশিক বারহাট্টা থেকে : মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্যই।একজন আরেকজনের বিপদে এগিয়ে আসবে সেটাই হল সামাজিকতা। কিন্তুু মহামারী করোনা সারা পৃথিবীর জীবন যাত্রায় যেন স্তবিরতা নিয়ে এসেছে।এক এক করে সারা পৃথিবীর প্রায় সব দেশ নিজেদের কে লক ডাউন করে নিয়েছে।বাংলাদেশেরও প্রায় অধিকাংশ জেলা লক ডাউন হয়েছে।নেত্রকোণা জেলাও লক ডাউন হয়েছে পাঁচ দিন ধরে।স্বাভাবিক ভাবেই লক ডাউন বারহাট্টা উপজেলাও।কিন্তুু সবচেয়ে বেশি সমস্যায় আছেন দিন এনে দিন খাওয়া মানুষগুলো।যাদের কেউ কেউ ভ্যান গাড়ি চালাতেন, কেউ আইসক্রিম বিক্রি করতেন।কিন্তুু সারা দেশে যেখানে শতশত মানুষের জীবনের চাকা থেমে যাচ্ছে সেখানে তাদের ভ্যান গাড়ির চাকা কি করে চলবে।জীবনের চাকা তাদেরও প্রায় থামার অবস্থায় চলে এসেছে ।প্রায় অধিকাংশ দিন যাচ্ছে না খেয়েই।আমি বলছিলাম বারহাট্টা উপজেলার সদর ইউনিয়নের মহাজন পাড়া গ্রামের দুই ভ্যান চালক জালাল মিয়া ও কিতাব আলী মিয়া এবং বৃকালিকা গ্রামের আইসক্রিম বিক্রেতা চিত্তরঞ্জন এর কথা।লক ডাউনের জন্য তারা এখন আর বাইরে বের হতে পারছেন না।তাদের দাবী বারহাট্টা উপজেলার মানবিক চেয়ারম্যান মাইনুল হক কাশেম অন্তত তাদের জন্য কিছু না কিছু করবেন।তাদের প্রায় সবারই বয়স ৫০ এর উপরে।প্রথম দুজন কাজ করে , ভ্যান চালিয়ে কোনমতে নিজেদের জীবিকা নির্বাহ করতেন। জালাল মিয়ার তিন ছেলে এবং দুই ছেলের বউসহ মোট তাদের ৭জনের সংসার। আর কিতাব আলী মিয়ার ১ছেলে মোট তিন জনের সংসার।চিত্তরঞ্জন আগে আইসক্রিম বিক্রি করতেন। কিন্তুু লক ডাউনের জন্য তিনি আর বের হতে পারছেন না।পরিবারের প্রায় সবাই দিনমুজুর।কিন্তুু সব কিছু লক ডাউন হয়ে যাওয়ায় কোন আয় রোজগার করতে পারছেন না তারা।তাদের দাবী বারহাট্টা উপজেলা চেয়ারম্যান মাইনুল হক কাশেম ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা যেন দ্রুত তাদেরকে সাহায্য সহযোগিতা দেন।তারা যেন অন্তত দুমুটো খেয়ে যেতে পারেন।
Leave a Reply