1. admin@protidinershomoy.com : admin :
  2. nasimriyad24@gmail.com : ডেস্ক রিপোর্ট : ডেস্ক রিপোর্ট
  3. wp-configuser@config.com : James Rollner : James Rollner
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০:০৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম
রাজশাহী ভিশন ২০২১ ফাউন্ডেশনের ১৫ তম সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের মুজিবনগর দিবস পালন রাজশাহীতে বিশ্ব হিমোফিলিয়া দিবস পালিত ১৭ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন: ইতালী আওয়ামী লীগ কাতানিয়া শাখা রাজশাহীতে নিক্বণ নৃত্য শিল্পী গোষ্ঠীর বর্ষবরণ অনুষ্ঠিত রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে বর্ষবরণ উদযাপিত  বিএমডিএ: ইবিএ প্রকল্পে দুর্নীতি, ভোগান্তিতে গ্রামীণ কৃষক ভূল্লীতে বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ উপলক্ষে মঙ্গল শোভাযাত্রা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ঠাকুরগাঁওয়ে চেম্বার অফ কমার্স নির্বাচনের একটি প্যানেলের সংবাদ সম্মেলন মাদক ব্যবসায়ীর মৃত্যুকে পূঁজি করার চেষ্টা করছে ফখরুল-এমপি সুজন

হারিয়ে যাচ্ছে সিরাজগঞ্জের গরিবের রাত্রিকালীন বন্ধু হিসাবে অখ্যায়িত হারিকেন শিল্প 

সংবাদ দাতার নাম
  • সময় : সোমবার, ৪ মে, ২০২০
  • ৬২৭ জন পড়েছেন
নাসিম আহমেদ রিয়াদঃ হারিকেন হাতে নিয়ে ডাকপিয়ন ছুটে চলতো গ্রামের পর গ্রামে। বৃদ্ধরা রাতে বের হলেই হাতে থাকত এই হারিকেন। যাকে তখনকার সময়ে রাত্রিকালীন বন্ধু হিসাবে অখ্যায়িত করেছিল অনেকেই। হারিকেনের আলো গৃহস্থালির পাশাপাশি ব্যবহার হতো রেলগাড়ি ও বিভিন্ন যানবাহনে। রাতের আঁধারে হারিকেন জ্বালিয়ে পোষ্ট অফিসের ডাক নিয়ে ছুটতেন ডাক হরকরা। কিন্তু সভ্যতার আধুনিকায়ণে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স লাইটে বাজার ভরপুর ও জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে হারিয়ে যাচ্ছে এক সময়ের আলোর একমাত্র উৎস হারিকেন।
জানা গেছে, হারিকেন হচ্ছে জ্বালানি তেলের মাধ্যমে বদ্ধ কাচের পাত্রে আলো জ্বালাবার ব্যবস্থা। এর বাহিরের অংশে অর্ধবৃত্তাকার কাচের অংশ থাকে যাকে গ্রামীন জনপদে চিমনি বলে আর এর ভিতরে থাকে তেল শুষে অগ্নি সংযোগের মাধ্যমে আলো জ্বালাবার জন্য কাপড়ের সলাকা। আর সম্পূর্ণ হারিকেন বহন করবার জন্য এর বহিরাংশে থাকে একটি লোহার ধরুনি। আলো কমানো বা বাড়ানোর জন্য নিম্ন বহিরাংশে থাকে একটি চাকতি যা কমালে বাড়ালে শলাকা ওঠা নামার সাথে আলো কমে ও বাড়ে। মোঘল আমলে হারিকেনের প্রচলন শুরু হয়। রাতের আঁধারে বিকল্প আলোর উৎস হিসাবে ধীরে ধীরে গ্রামাঞ্চলে এটি জনপ্রিয় হয়ে উঠে। কিন্তু কালের বিবর্তনে ও বাজারে আধুনিক ইলেকট্রনিক্স লাইটের সরবরাহ বাড়তে থাকায় ধীরে ধীরে কমতে থাকে হারিকেনের ব্যবহার। তবে এখনো গ্রামাঞ্চলের অধিকাংশ স্থানে রিক্সার নিচে হারিকেন বেধে চলাচল করতে দেখা যায়। একসময় রাস্তায় হারিকেন ছাড়া রিক্সা চালাচালে জরিমানা করত পুলিশ।
জানা যায়, তখনকার সময়ে হারিকেন মেরামতের জন্য উল্লাপাড়া উপজেলার হাট বাজারে বিভিন্ন হাট বাজারে মিস্ত্রী বসতো। এদের স্থানীয় ভাষায় ডাকা হতো মুচি বা মেরামতি বলে। এছাড়া উপজেলার প্রতিটি বাজারে ছিল হারিকেন মেরামতির অস্থায়ী দোকান। এরা বিভিন্ন হাট বাজারে ঘুরে ঘুরে হারিকেন মেরামতের কাজ করতো। এছাড়া অনেকে গ্রামের বিভিন্ন বাড়িতে গিয়ে হারিকেন মেরামত করতো।
বড়হর হাটের বৃদ্ধ মোঃ ছামান সরদার জানান, তিন যুগেরও অধিককাল যাবৎ হাট, বাজারে বসে হারিকেন মেরামতির কাজ করেছি। তখনকার সময় গ্রামের প্রতিটি ঘরে ঘরে ছিল হারিকেনের ব্যবহার। এতে কাজও হতো প্রচুর। কিন্তু বর্তমানে আধুনিক ইলেকট্রনিক্স লাইটে বাজার ভরপুর হওয়ায় হারিকেনের প্রচলন বন্ধ হয়ে গেছে।
তিয়রহাটী গ্রামের গৃহিণী মোঃ আফরোজা খাতুন জানান, এক সময় সন্ধ্যা হওয়ার আগেই কেরোসিন ভরে হারিকেন ও সিমনী মুছে রেডি করার কাজটা প্রতিনয়িত করতে হয়ত। আর রাতে ঘুমানোর আগে ডীম করে রাখাটাও এখন শুধু স্মৃতি।
তিয়রহাটী গ্রামের হিরা সরদার জানায়, রাতে পড়তে বসার আগেই হারিকেন নিয়ে টানা টানি করতে হত। আর রাতে স্যারের কাছে পড়তে যাওয়ার সময় সবাই একটা করে হারিকেন নিয়ে স্যারের বাসায় যেতে হত। রাতে রাস্তা দিয়ে হাটার সময় ঝুনাকি পোকার মত মিট মিট করে জ্বলত।

সংবাদটি আপনার সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার দিন

এই ক্যাটাগরীর আরোও সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশেষ সংখ্যা

%d bloggers like this: