নড়াইল প্রতিনিধি: করোনা পরিস্থিতিতে খাদ্য ও পুষ্টিসংকট মোকাবেলায় লোহাগড়া কৃষি কর্মকর্তার ব্যক্তিগত উদ্যোগে উপজেলার আটশত পরিবারের মাঝে বীজ বিতরণে মাধ্যেমে বসত বাড়িকে পুষ্টিখামারে রূপান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ মে) সকাল ১১টায় কৃষি কর্মকর্তার অফিস সম্মুখে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান বি এম কামাল হোসেন, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মুনমুন সাহা, লক্ষ্মীপাশা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কাজী বনি আমিন, বিআরডিবি কর্মকর্তা যতিপ্রকাশ মল্লিক প্রমুখ।
লোহাগড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সমরেন বিশ্বাস জানান, লোহাগড়া উপজেলার জয়পুর ইউনিয়নের নারানদিয়ার, পৌরসভার রামপুর গ্রামসহ আটশত বাড়ির উঠানে গড়ে তোলা হবে পুষ্টিখামার। সেখানে থাকবে পাঁচ প্রকারের সবজি। এতে করোনাকালে সবজি ঘাটতি দূর হবে। প্রতি ইউনিয়নে ৬০টি থেকে ৮০টি বসত বাড়িতে পাঁচ প্রকারের সবজির উন্নতমানের বীজ, লালশাক, পুঁইশাক, কুমড়া, চিচিংগা, ঢেঁড়স বীজ উপ-সহকারী কৃষি অফিসারদের মাধ্যমে পৌঁছে দেওয়া হবে।
তিনি আরো জানান, বসতবাড়ির পতিত জায়গাগুলোকে চাষের আওতায় নিয়ে আসতে পারলে সংশ্লিষ্ট পরিবারের সদস্যদের কোনো সবজি কিনে খেতে হবে না। ফলে তাদের পারিবারিক পুষ্টি চাহিদা মিটবে সবজি বাগান থেকে।
উপ-সহকারী কৃষি অফিসারদের মাধ্যমে হাতে-কলমে বসতবাড়িতে খামারজাত সার উৎপাদন ও সবজি চাষপদ্ধতি শেখানোর উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
নারান্দিয়া গ্রামের গীতা মল্লিক বলেন, ‘কৃষি অফিস থেকে আমাদেরকে এই যে সবজির বীজ দেওয়া হলো এতে আমরা খুব খুশি। আমাদের ত্রাণ লাগবে না। কৃষিকাজে আমাদেরকে সাহায্য করলেই হবে’।
গ্রামবাসী মনে করেন, এ উদ্যোগ সারা বাংলাদেশে নেওয়া হলে দেশের কোনো গ্রামে কোনো সবজি ঘাটতি থাকবে না।#
Leave a Reply