সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার মনসুর নগর ইউনিয়নের মাজনাবাড়ি গ্রামের করোনা রোগি রেফাজ উদ্দিন ও তার পুত্র পল্লি চিকিৎসক মনির হোসেন সুস্থ হয়ে এলাকায় ফিরেছেন বুধবার বিকেলে। রাজধানীর মুগদা হাসপাতালে টানা চৌদ্দ দিন চিকিৎসা শেষে কাজিপুরে ফিরেছেন তারা। বর্তমানে তাদেরকে কাজিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। বুধবার বিকেলে তাদের ঢাকা থেকে নিয়ে এলে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাদের শুভেচ্ছা জানান।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মনির হোসেন জানান, “রোগ নির্ণয় হওয়ার পরে কেউ আমাদের কাছে আসেনি, মনে হয়েছে আমরা অন্য গ্রহের প্রাণী। তখন খুব কষ্ট পেয়েছি। কিন্তু হাসপাতালের ডাক্তার নার্সদের পরিচর্যায় আর কিছু নিয়ম কানুন মেনে আমরা বাবা ছেলে বর্তমানে সুস্থ আছি।”
তিনি নিয়মকানুন সম্পর্কে জানান, ‘গত দুই সপ্তাহে আমরা প্রচুর পরিমাণে লেবুর রস, গরম পানি ও আদা চা খেয়েছি। গরম খাবার আর উষ্ণ পরিবেশে থেকেছি। তরল খাবার গরম করে খেয়েছি।” পিতা রেফাজ উদ্দিন বলেন, “আমার অবস্থা বেশি খারাপ হওয়ায় হাসপাতালে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থেকেছি। ডাক্তারদের ওষুধ আর কথা মেনেই আমরা ভালো হয়েছি।”
তিনি জনগণের উদ্দেশ্যে বলেন, “এই রোগ ঠেকাতে চাইলে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা, পরিস্কার পরিচ্ছন্ন আর ঘরে থাকা খুবই দরকার।”
কাজিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোমেনা পারভীন পারুল জানান, “সাবেক এমপি তানভীর শাকিল জয় এবং ইউএনও জাহিদ হাসান সিদ্দিকী স্যারের সহায়তায় তাদের চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠিয়ে চিকিৎসা শেষে আবার নিয়ে এসেছি। এখন সাতদিনের আইসোলেশন শেষে তাদের বাড়ি ফেরার অনুমতি দেয়া হবে।”
২২ এপ্রিল নিজ বাড়িতে সর্দি-জ্বর নিয়ে জামালপুর জেলার সরিসাবাড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে গেলে ডাক্তারদের সন্দেহ হওয়ায় তাঁরা ওই দুজনের নমুনা সংগ্রহ করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করলে পরে টেস্টে তাদের শরীরে করোনা ধরা পড়ে।
Leave a Reply