1. admin@protidinershomoy.com : admin :
  2. nasimriyad24@gmail.com : ডেস্ক রিপোর্ট : ডেস্ক রিপোর্ট
  3. wp-configuser@config.com : James Rollner : James Rollner
বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০১:১৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম
রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের মুজিবনগর দিবস পালন রাজশাহীতে বিশ্ব হিমোফিলিয়া দিবস পালিত ১৭ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন: ইতালী আওয়ামী লীগ কাতানিয়া শাখা রাজশাহীতে নিক্বণ নৃত্য শিল্পী গোষ্ঠীর বর্ষবরণ অনুষ্ঠিত রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে বর্ষবরণ উদযাপিত  বিএমডিএ: ইবিএ প্রকল্পে দুর্নীতি, ভোগান্তিতে গ্রামীণ কৃষক ভূল্লীতে বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ উপলক্ষে মঙ্গল শোভাযাত্রা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ঠাকুরগাঁওয়ে চেম্বার অফ কমার্স নির্বাচনের একটি প্যানেলের সংবাদ সম্মেলন মাদক ব্যবসায়ীর মৃত্যুকে পূঁজি করার চেষ্টা করছে ফখরুল-এমপি সুজন ঠাকুরগাঁওয়ে মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২ যুবক

মানিব্যাগ

সংবাদ দাতার নাম
  • সময় : রবিবার, ১০ মে, ২০২০
  • ৫৪৮ জন পড়েছেন

সাকিব মোহাম্মদ আল হাসানঃ সোহানের কিছুদিন ধরে একটা জিনিসের প্রতি খুব শখ হয়েছে। শুধু শখনা, রিতিমতো ইচ্ছা, আকাঙ্খা লোভে পরিনত হয়েছে। এমন তীব্র ইচ্ছা জীবনে আরো একবার হয়েছিলো। তখন সোহান পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। বন্ধু নাসিমের সুন্দর প্যান্ট দেখে সেও জিন্স প্যান্টের শখ করেছিলো। সে অনেক ইতিহাস…। দীর্ঘ দুইমাস আবদার, অভিমান সেই সাথে ঘ্যাঁচড়ামী করে প্যান্ট আদায় করেছিলো। অভাবের সংসারে একমাত্র উপার্জনক্ষম বড় ভাই নাজমুল হোসেন পরের ক্ষেতে কাজকরে তিনদিনের টাকাদিয়ে হাশিমপুর বাজার থেকে সোহানের জিন্স প্যান্ট কিনে আনে। বাজারের থলে থেকে আলাদা গার্মেন্টসের হলুদ প্যাকেট মোড়ানো প্যান্ট বের করে সে কি আনন্দ।

সোহান এখন নিজেই টিউশনি করে শহরের মেসে থেকে পড়ছে। মাসের আজ বাইশ তারিখ, এখনো আটদিন বাকি। কিন্তু তিনশো টাকা তার খুব প্রয়োজন। ইচ্ছাটা পূরন করতেই হবে। কিছুতেই তর সইছেনা। আজ চার দিন যাবত মাথার মধ্যে শুধু একটা বিষয় ঘুরছে। ছোট্ট কালো রঙের জিনিসটা তার চাই। অবশ্য এরমধ্যে অনেক রকম উপায় সোহানের মাথায় এসেছে। একবার মনে হলো সহপাঠী আতাউরের কাছে তিনশো টাকা ধার নিলেই তো হয়। পরক্ষনে মনে পড়লো, মেসের খরচের জন্য আগের মাসের দেড়শো এখনো ফেরত দেয়া হয়নি। গতকাল সন্ধ্যায় ছাত্রী নিলুকে পড়াতে যেয়ে ওদের ঘরের আলনায় নিলুর বাবার প্যান্টের পিছন পকেটে জিনিসটা দেখেছে সোহান। কুচকুচে কালো রঙের চামড়ার তৈরি জিনিসটার কোনায় স্টিলের একটা লগো বসানো। দেখেই সোহানের দুচোখ ছানাবড়া হয়ে ওঠে। একবার মাথায়ও এসেছিলো যাবার সময় বের করে নেবে। চিন্তাটা মাথায় আসতেই নিজেকে অপরাধী মনে হলো।

সোহানের সামান্য বস্তুটির প্রতি এতো আগ্রহ এমনিতে হয়নি। গত চারদিন আগে ঔষধের দোকানের সামনে নাহিদ স্যারের সাথে দেখা। সালাম বিনিময় করে সোহান জিজ্ঞেস করলো, স্যার আপনার আম্মা কেমন আছেন? আজ প্রায় নয়মাস হার্টের সমস্যায় স্যারের আম্মা হাসপাতালে। স্যার তখন ঔষধের টাকা দেবার জন্য মানিব্যাগ বের করে টাকা দিচ্ছিলো। মানিব্যাগের ভাঁজ খুলতেই সোহানের চোখ পড়লো ব্যাগের নিচের দিকে পাসপোর্ট সাইজের মাথায় কাপড় টানা আধা বয়সী একটা নারীর ছবি।
সোহান: স্যার ইনি কে?
স্যার: ও… আমার মা, এগিয়ে দেখালো।

সোহানের মা নেই প্রায় তিন বছর। আড়াই বছরের মেস জীবনে তেমন গ্রামে যাওয়া হয়না, খুব প্রয়োজন না হলে। তখনই ইচ্ছা হলো, নিজের একটা মানিব্যাগে মায়ের একমাত্র ফাঙ্গাস ধরা লেমিনেশন করা ছবিটি রাখবে। প্রয়োজন অথবা অপ্রয়োজনে বের করে দেখবে। চাকুরির প্রথম বেতন মায়ের হাতে দেবার শখটা অপূর্ণ যাতে না হয়; টিউশনির টাকা আর মায়ের ছবি খুব কাছাকাছি থাকবে……..

সংবাদটি আপনার সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার দিন

এই ক্যাটাগরীর আরোও সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশেষ সংখ্যা

%d bloggers like this: