তাহিরপুর থেকে:
অদৃশ্য মরণঘাতক করোনাভাইরাস প্রার্দুভাবের শুরু থেকেই হাওরাঞ্চলের উপজেলা তাহিরপুরে সংক্রমণ রোধে দিন-রাত নিরলসভাবে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিজেন ব্যানার্জী ।
সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতের লক্ষে উপজেলার হাওর পাড়ের গ্রামগুলোতে লোকজনদের সচেতন করার জন্য নিয়েছেন নানা পদক্ষেপ ।
আবার করোনা আক্রান্ত লকডাউন করা পরিবার বা এলাকাগুলোতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে খাদ্যসামগ্রী নিয়ে নিজেই বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিয়েছেন।
প্রায় প্রতিদিনই উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে প্রধানমন্ত্রীর মানবিক সহায়তা খাদ্যসামগ্রী সঠিকভাবে বিতরণের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে দুঃস্থ অসহায় কর্মহীনদের হাতে হাতে তুলে দিচ্ছেন।
পাশাপাশি উপজেলার কোনো অসহায় লোকজন নির্দিষ্ট নম্বরে কল দিলে নিজেই অথবা বিভিন্ন ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যেমে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিচ্ছেন তিনি।
হাওরের রাজধানী খ্যাত সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় ছোট বড় ২৩ টি হাওর রয়েছে।
পাহাড়ি ঢলের অকাল বন্যা ও হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ ভেঙে এ উপজেলার কৃষকের স্বপ্নের সোনার ফসল তলিয়ে গিয়েছিল পরপর দু’বার।
ফলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের দৃষ্টি পরে হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণের দিকে।
এরই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরে তাহিরপুর উপজেলার প্রত্যকটি হাওরে দিন রাত পরিশ্রম করে সঠিক তত্ত্বাবধানে ফসল রক্ষা বাঁধগুলোর নির্মাণ কাজ সমাপ্ত করেন ইউএনও বিজেন ব্যানার্জী।
কিছুদিন পূর্বে ঘটে যাওয়া নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যে নিয়ে দাম বৃদ্ধির গুজব সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়ে বাজার মনিটরিং করা, সরকার কতৃক ঘোষিত নদী দখলকারীদের উচ্ছেদ অভিযান, উপজেলার যাদুকাটা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়া সহ সাম্প্রতিক সময়ে এক অসহায় মুক্তিযোদ্ধার পাশে গিয়ে সহযোগিতা করে উপজেলা জুড়ে বেশ সুনাম অর্জন করেছেন ইউএনও বিজেন ব্যানার্জী।
ইউএনও বিজেন ব্যানার্জী জানান, করোনাভাইরাস প্রার্দুভাবের শুরু থেকেই ভাইরাস সংক্রমণ রোধে রাত-দিন মাঠে কাজ করতে হচ্ছে। বিশেষ করে গত এক মাস ধরে উপজেলার অসহায় দুঃস্থ কর্মহীন লোকজনদের মাঝে খাদ্য সহায়তা, সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণ এবং বিভিন্ন কারণে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা চলমান রয়েছে।
উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে খাদ্য সহায়তা অসহায়দের মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে। এছাড়া ভাসমান লোকজন, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি, বেদে ও মুচি সম্প্রদায়সহ লিস্টের বাইরে দুঃস্থদের খোঁজ নিয়ে বাড়ি বাড়ি খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
উপজেলার ৩৩৩ নম্বরে ফোন দিলে স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যেমে খাদ্য সহাযতা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে বরাদ্দকৃত করোনা দুর্যোগে অসহায় দুঃস্থ প্রতিবন্ধীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে দ্রুত ও সঠিকভাবে
খাদ্য সামগ্রী বিতরন সহ নগদ সহায়তা তাদের হাতে হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
প্রতিদিনের সময়/নাসিম
Leave a Reply