কাপাসিয়া (গাজীপুর) প্রতিনিধিঃ
কোভিড-১৯ বর্তমান বিশ্বের এক মূর্তিমান আতঙ্ক। এর প্রচলিত কোন চিকিৎসা নেই। কিন্তু বাড়ছে প্রাদুর্ভাব। তাই সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে তা নিয়ন্ত্রণের কথা বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। করোনার এই বিপর্যয়ে জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছেন গাজীপুরের কাপাসিয়া সদর ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন প্রধান।
করোনার দুঃসময়ে বিপাকে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ। তাই মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি। জনকল্যাণে ও বৈশ্বিক মহামারী করোনা প্রতিরোধে, দলীয়ভাবে রাজনৈতিক বিভিন্ন কর্মসূচিতে নিরলস পরিশ্রম ও মাঠ পর্যায়ে সক্রিয় ভূমিকায় তৎপর রয়েছেন সাখাওয়াত হোসেন প্রধান। গ্রীস্মের রোদে পুড়ে ক্ষেতে জমা বৃষ্টির পানিতে ভিজে কৃষকের পাকা ধান কেটে দিচ্ছেন। কখনো অসহায় হতদরিদ্র কর্মহীন মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করছেন। আবার কখনো স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য সাধারণ মানুষকে সচেতন করছেন।
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের আতঙ্কে সবাই যখন ঘরে বসে সময় কাটাচ্ছেন, ঠিক তখনই মধ্যবিত্তদের খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। শরীরে পোশাক ভাল হলেও ঘরে খাবার নেই কর্মহীন মধ্যবিত্তদের। মুখ লজ্জ্বায় বলতে না পারা অভাবী লোকদের মনের ভাষা বুঝে খাদ্যসামগ্রী নিয়ে গ্রামাঞ্চলের খেটে খাওয়া মানুষের ঘরের দরজায় হাজির হচ্ছেন সাখাওয়াত হোসেন প্রধান।
স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বঙ্গতাজ কন্যা সিমিন হোসেন রিমির সার্বিক ব্যবস্থাপনায় গত শুক্রবারও কর্মহীন হতদরিদ্র ও অসহায় ১১শ পরিবারের মাঝে নগদ অর্থ ও ঈদ সামগ্রী পৌঁছে দেন সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগ সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন প্রধান।
গ্রামের নিন্ম আয়ের মানুষের মাঝে বিতরণ করছেন চাল, ডাল, আলু, তেল, চিনি, লবণ, লেবু, গুড়ো দুধ, সাবান, সেমাইসহ নগদ অর্থ।
স্থানীয়রা জানান, চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন প্রধান নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তারা খাদ্য সহায়তা ও নগদ অর্থ পেয়েছেন। তিনি একজন মানবিক চেয়ারম্যান।
চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন প্রধান বলেন, দেশের এই ক্রান্তিকালে প্রধানমন্ত্রী ও স্থানীয় সংসদ সদস্য সিমিন হোসেন রিমির নির্দেশনায় গরীব অসহায় মানুষের জন্য মাঠ পর্যায়ে কাজ করছি। খেটে খাওয়া ক্ষুধার্ত মানুষের ঘরে খাবার পৌঁছেছি। গত শুক্রবার ১১শ পরিবারেরকে নগদ অর্থ ও ঈদ সামগ্রীও দেওয়া হয়েছে।
Leave a Reply