1. admin@protidinershomoy.com : admin :
  2. nasimriyad24@gmail.com : ডেস্ক রিপোর্ট : ডেস্ক রিপোর্ট
  3. wp-configuser@config.com : James Rollner : James Rollner
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৮:৪৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম
ঠাকুরগাঁওয়ে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন, থানায় অভিযোগ ঠাকুরগাঁওয়ে রোজাদার ও শিশুদের মাঝে ইফতার বিতরণ ঠাকুরগাঁও অনলাইন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আরজেএফ’র ইফতার ও দোয়া  মাহফিল অনুষ্ঠিত রাজশাহী মহানগর আ’লীগের উদ্যোগে স্বাধীনতা দিবস পালিত পীরগঞ্জে ভোমরাদহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত রাজশাহী মহানগর আ’লীগের ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস পালন এতিম শিশুদের নিয়ে এডিবিবিএস এর  ইফতার ও দোয়া মাহফিল ঠাকুরগাঁওয়ে উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এ্যাম্বুলেন্স হস্তান্তর

জবিয়ানদের ঈদ ভাবনা

মেহেরাবুল ইসলাম সৌদিপ,জবি প্রতিনিধি
  • সময় : শনিবার, ২৩ মে, ২০২০
  • ৫৩৮ জন পড়েছেন

বিশ্বজুড়ে চলছে করোনার রাজত্ব। কোটি কোটি মানুষের আর্তনাদে প্রকম্পিত বিশ্বের প্রতিটি জনপদ। কিছুটা অস্বাভাবিকতার ছোঁয়ায় সব কিছুই এলোমেলো মনে হচ্ছে। করোনা ভাইরাসের (কভিড-১৯) দাপটে মানুষ যখন প্রিয়জন হারানোর শোকে ব্যথিত। ঠিক তখনি খুশির বার্তা নিয়ে উপস্থিত মুসলিম জগতের সবচেয়ে আনন্দের দিন পবিত্র ঈদুল ফিতর। কোয়ারেন্টাইনে থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা কিভাবে ঈদ উদযাপন করবেন সে বিষয়ে মতামত তুলে ধরছেন মেহেরাবুল ইসলাম সৌদিপ –

ঈদ মানেই আনন্দ-খুশির আমেজ। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম পালন শেষে আসে মহা আনন্দের ঈদ। এই দিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত থাকে কত পরিকল্পনা! প্রতি বছর দিনটিকে ঘিরে মনের ভেতরে একটা ছটফটানি শুরু হয়ে যায় সবার মাঝে। কেনাকাটা থেকে শুরু করে নানা আয়োজন, নানা পরিকল্পনা দেখা যায় শিক্ষার্থীদের মাঝে। মায়ের হাতের নানা রকমের রান্না, বন্ধু-বান্ধবীদের সাথে ঈদ মেলায় ঘুরতে যাওয়া, আড্ডা দেওয়া, আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে যাওয়া সবই এখন স্মৃতিপটে নাড়া দিয়ে উঠেছে। তবে এবারের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। করোনায় সব পরিকল্পনা এবার থমকে আছে। সবাইকে করে রেখেছে গৃহবন্দি। মহামারি করোনায় সব আমেজ নিস্তব্ধ হয়ে আছে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান শিউলী  বলেন, “ঈদ হোক আনন্দময়”, প্রতি বছর মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব হিসেবে ঈদুল ফিতর উদযাপন করা হয়। দীর্ঘ এক‌ মাস সিয়াম সাধনার পর নতুন চাঁদের আভা নিয়ে আসে ঈদুল ফিতর। জাতি, ধর্ম, বর্ণ, নির্বিশেষে প্রতি বছর ঈদুল ফিতর উদযাপন করা হয়। প্রতি বছর ঈদ যেমন ভাবে উদযাপিত হয়, এবার একটু ভিন্ন আঙ্গিকে হবে। বৈশ্বিক মহামারী কোভিড ১৯ এর জন্য অর্থনৈতিক দুরবস্থা দেখা দেয়ার কারণে সমস্ত ধর্মীয় উৎসব উৎযাপনে ও বিরূপ প্রভাব পড়বে। যেহেতু সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে তাই প্রতি বছর ঈদে সবাই যেমনটা উপভোগ করে, এবার তেমনটা উপভোগ করতে পারবে না। ঈদ নিয়ে এবার তেমন কিছু ই ভাবনার নেই। প্রতি বছর ঈদ নিয়ে একটি আলাদাই স্বপ্ন থাকত,কখন ক্যামপাস বন্ধ দিবে কখন বাড়ি যাব। ক্যামপাস এক মাস আগে বন্ধ দিলে ও প্রায়ই অর্ধেকের বেশি শিক্ষার্থী টিউশন এর জন্য বাড়ি যেতে পারত না। সবার ই একটা আকুতি বা ইচ্ছে কাজ করত কবে ঈদ আসবে কবে বাড়ি যেতে পারবে। এই অপেক্ষার সাধ তখনই মিটতো,যখন ঈদের বন্ধ পেতাম। কিন্তু এবার দীর্ঘ দিন বাড়িতে থাকার ফলে‌ পরিবারের সাথে ঈদ কাটানোর সেই আমেজটা আর নেই। প্রতি বারের মত এবারও ঈদ নিজের পরিবারের সাথে কাটাবো। আশে পাশের প্রতিবেশী, জানা অজানা অনেকেই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ায় এবার শোকাহত ঈদ তেমন টা উপভোগ হবে না। এছাড়াও ছোট ভাই বোনদের নিয়ে শপিং, বাইরে ঘুরতে যাওয়া ও সম্ভব হবে না। বিভিন্ন সংস্থা, প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতি বছর গরীব দুঃখীদের সাহায্য করা হয়। কিন্তু এবার ঈদে তাদের তেমন সাহায্য না করতে পেরে ঈদ বিশেষ দিন হবে না।বরং তাদের কর্ম ও সাহায্য বন্ধ থাকায় ঈদে তাদের পরিবার নিয়ে শুধু ই অনাহারে কাটাতে হবে।প্রতিবছর ক্যাম্পাস থেকে আসার সময় বন্ধদের থেকে বিদায় নেয়া হয় একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য। তারপর ঈদের পর সবাই একসাথে হই, এ যেন মনে হয় আবার এক নতুন ঈদের চাঁদ। কিন্তু এবার অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য ক্যামপাস থেকে আসায় বন্ধু বান্ধব দের অনেকটাই মিস করব। প্রতি বার ঈদে যেমনটা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় ও আমেজ শেয়ার করা হয়, এবারের ঈদে তেমনটা আশা করা যায় না।

ইসরাত জাহান শিউলী

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী সাদিয়া নওশীন বিন্তি  বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে বাংলাদেশসহ বেশ কিছু দেশেই সচেতনতার জন্য লকডাউন হয়ে রয়েছে সবকিছু। আমাদের দেশেও গত ১৬ মার্চ, ২০২০ থেকে সকল স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও ২৬ মার্চ, ২০২০ থেকে সকল অফিস আদালত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি লকডাউন করে দিয়েছে রাস্তাঘাটে যাত্রী চলাচল ও। এমতাবস্থায় হোম কোয়ারেন্টাইনেই আমাদের সময় পার করতে হচ্ছে। গত দুই মাস ধরে গৃহবন্দি থাকার কারণে মাঝেমধ্যেই খুব বিরক্তিবোধ হয়।তার মধ্যেই দেখতে দেখতে চলে এসেছে ঈদুল ফিতর। ঈদ মানেই সকলের জন্য আনন্দের একটি দিন। দীর্ঘ এক মাস সাওয়াম সাধনার পর মুসলিম ভাই ও বোনেরা সবাই ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে থাকে। কিন্তু এ বছরের ঈদ সম্পূর্ণ ভিন্নরকম। যেহেতু এ বছর হোম কোয়ারেন্টাইনের কারণে বাসায় ঈদ উদযাপন করা লাগবে তাই ঈদের দিন আমি রান্নার কাজে আম্মুকে সহায়তা করবো। পরিবারের সকলের সাথে কিছু ভালো সময় পার করবো। আব্বু আম্মু আপুর সাথে একসাথে ঈদ আনন্দ উপভোগ করবো। আমি মনে করি ঈদ আনন্দ সবার জন্য সমান হওয়া উচিত।তাই নিজের যতটুক সামর্থ্য আছে তার মধ্যেই আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে অসহায় দরিদ্রদের সাহায্য করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। এই বছরের ঈদের দিন কেমন পার হবে তা ভাবলেও অনেক খারাপ লাগে।ঈদ মানেই আত্মীয় স্বজনদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেওয়া। কিন্তু এ বছর হোম কোয়ারেন্টাইনের কারণে তার কিছুই হবে না। তার মধ্যেই আমি আমার বন্ধুদের খোঁজ খবর নিব ভিডিও কলের মাধ্যমে বা মেসেজের মাধ্যমে। আশা করি ঈদের দিন সবার ভালো সময় যাবে। এখন নিজের সুস্থ থাকাটা খুব জরুরি। তাই সকলে‌ ঘরে থেকে সুস্থ থেকে পরিবারের সদস্যদের সাথে ঈদের দিন আনন্দ উপভোগ করুন এইটুকুই আমার প্রত্যাশা। পরিশেষে সকলকে আমার পক্ষ থেকে ঈদের শুভেচ্ছা রইলো।

সাদিয়া নওশীন বিন্তি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল রাফি সাকিব বলেন, ঈদ মানেই তো আনন্দ, ঈদ মানেই তো খুশি। আর এই আনন্দ, এই খুশি হাজার গুণ বেড়ে যায় যখন ঈদের সারা দিন অনেক বেশি উপভোগ করা যায়। কিন্তু ভাগ্যের এক নির্মম পরিহাস এই সময়ে আমরা মুখোমুখি হয়েছি এক কঠিন দুরারোগ্য রোগের যার জন্য আজ ঈদের সব আনন্দ খুশি যেন মিলিয়ে গিয়েছে এক কালের গহ্বরে। হয়তো আর বাজবে না এবার চারদিকে বাদ্যযন্ত্র, থাকবে না সানাই ঢোল, শিক্ষার্থীদের ঢলে আর যেন এবার মুখোরিত হবে এবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস,পড়ে থাকবে হয়তো কোলাহল শূণ্য সেই টিএসসি। এবারের ঈদ হয়তো কাটবে আমাদের সবার ঘরেই যেভাবে কাটিয়েছি গত ৬০-৬৬দিন। তবে আশা করছি ঈদের দিন হয়তো ঈদের নামাজ আদায় করতে মসজিদে যেতে পারবো আর সাথে সাথে হাসি ফুটে উঠবে সেই চিরচেনা মুখগুলো দেখে। হয়তো তা হবে কোনো স্বর্গীয় আনন্দ। পরিবারের সাথে ঈদের দিন প্রতিবারই ভালো সময় কাটে আমার। সকাল বেলা বাবার সাথে নামাজ আদায় করতে যাওয়া থেকে শুরু করে বন্ধু বান্ধব দের সাথে ঘুরে আবার সন্ধ্যা বেলা পরিবারের সাথে ঘরে অথবা ঘরের বাইরে সময় কাটাতাম। এবার হয়তো আর বাহিরে যাওয়া হবে না। চেষ্টা করবো ঘরে বসেই যেন ঈদের আনন্দ পরিবারের সাথে উপভোগ করতে পারি। করোনার এই সময়ে আমি সবাইকে অনুরোধ করবো আপনারা সবাই নিজ নিজ বাসায় অবস্থান করে নিজের পরিবার কে সময় দেন। এ থেকে আমরা দুই ধরনের সুবিধা পেতে পারি (১) আমরা অনেকেই পরিবার কে যথেষ্ট সময় দিতে পারি না। এখন হয়তো আমাদের সে সমস্যা আর হবে না (২) বাইরে গিয়ে নিজের ও দেশের মানুষের ক্ষতি ডেকে না আনা। মনে রাখবেন দেশ প্রেমিক হিসেবে আপনার দায়িত্ব রয়েছে দেশ ও দেশের মানুষের পাশে থাকার। করোনার প্রকোপ সম্পর্কে আমরা সবাই জানি তাই আমরা সবাই চেষ্টা করবো যেন ঘরে থাকা যায়। আমরা সকলেই জানি আমাদের দেশে অভাব দুঃখী মানুষ রয়েছে। এই করোনার জন্য অনেকেই তাদের কাজ হারিয়েছে। দিন মজুর যারা ত্রান এর অভাবে হয়তো না খেয়ে মরার মতো পড়ে আছে৷ আপনার আমার যার যতটুকু সম্ভব আমরা চেষ্টা করি যেন আমাদের আশে পাশের মানুষের মুখে ঈদের দিনে যেন একটু সেমাই মিষ্টি তুলে দেওয়া যায়। কারন মনে রাখবেন ঈদ যেমন আপনার তেমনি আল্লাহ তাদের উপর ও হক রেখেছেন। আর্থিক ব্যাপার বড় কথা না। মন মানসিকতাই মুখ্য। আমরা কিছু বন্ধুরা মিলে গরিব দুঃখী মানুষের মুখে ঈদের দিনে কিছু সেমাই মিষ্টি তুলে দেওয়ার পদক্ষেপ নিয়েছি। ঈদ নিয়ে সবার ই অন্যরকম ভাবনা থাকে হয়তো অনেকের ই ভাবনা ছিল এটা সেটা করার। কিন্তূ ভাগ্যের কাছে আজ যেন সবাই অসহায়। তবুও আশা করি আমরা সবাই সুস্থ থেকে ঘরে বসেই ঈদ উদযাপন করবো। শোকাহত এই ঈদ এ আমার বন্ধুদের খুব বেশি মিস করতেছি। কষ্ট হলেও আরো কিছুদিন হয়তো এভাবে থাকতে হবে। আশা করি করোনা এর পর আবার সবাই মিলিত হতে পারবো সুস্থ শরীরে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বন্ধুদের সময় দিচ্ছি। প্রায়ই তাদের সাথে ভিডিও কনফারেন্সিং করছি। এইতো এভাবেই কাটছে আমার সময়। দোয়া করি দেশ এ দেশের মানুষের জন্য। মহান আল্লাহ যেন আমাদের সবাইকে খুব শীঘ্রই এই মহামারী থেকে পরিত্রাণ দেন।

আব্দুল্লাহ আল রাফি সাকিব

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আরিয়ান রবিন সুমন  বলেন, প্রতি বছর মুসলিম ধর্মালম্বী মানুষ নানা আয়োজনের সাথে ধর্মীয় উৎসব ঈদ পালন করে। ঈদ মানেই আনন্দ, খুশি। ঈদের দিনে সকলে নতুন কাপড় পড়ে ঈদগাহে যায়। ধনী-গরিব নির্বিশেষে একত্রে ঈদের নামাজ আদায় করে। ঈদ বললেই চোখে ভেসে আসে খুব সকালে গোসল সেরে নতুন কাপড় গায়ে দিয়ে ঈদগাহের দিকে রওনা হওয়া, কুশল বিনিময় করা৷ নিকটাত্মীয়ের বাসায় সেমাই খাওয়া, সারাদিন উপভোগ করার পর রাতে ক্লান্ত হয়ে বিছানায় যাওয়া৷ তবে এবার এই করোনা পরিস্থিতে এমন আর হবে না। এবার আমার ঈদের পরিকল্পনা আমি করেই ফেলেছি৷ খুব সকালে গোসল করে আম্মুকে স্পেশাল রান্নায় সাহায্য করবো৷ স্পেশাল রান্না মানে বিরিয়ানি রান্না৷ এরপর অনলাইনে নিকটাত্মীয় এবং ক্যাম্পাসের বন্ধুদের সাথে পুরোপুরি খোশগল্প করেই কাটিয়ে দিবো৷ পরিশেষে পরওয়ারদিগারের কাছে ফরিয়াদ, ঈদ যেনো নিয়ে আসে সুখ, শান্তি আর সমৃদ্ধি। মুছে যাক মহামারি৷

আরিয়ান রবিন সুমন

সংবাদটি আপনার সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার দিন

এই ক্যাটাগরীর আরোও সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশেষ সংখ্যা

%d bloggers like this: