স্টাফ রিপোর্টারঃ বয়স আটাত্তর ছুঁই ছুঁই বৃদ্ধা স্বামীকে হারিয়েছেন বহুদিন পূর্বেই। একমাত্র ছেলে আল আমিন ভ্যান চালিয়ে দুবেলা দুমুঠো ভাত যোগার করেন। জমি বলে আছে শুধু বসতভীটার ছয় শতাংশ। এখন পর্যন্ত সরকারি কোন ভাতার অন্তর্ভুক্ত হননি তিনি। বয়সের ভারে মানসিক ভারসাম্য কিছুটা হারিয়ে ফেলেছেন। তিনি সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার হাটশিরা গ্রামের মৃত এফাজ শেখের স্ত্রী জবেদা খাতুন।
সোমবার সকালে তার বাড়িতে গিয়ে তাকে না পাওয়া গেলে কথা হয় তার পুত্রবধূ আঙ্গুরির সাথে। তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, “আমার শশুরির বয়স হয়েছে কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন বয়স্ক বা বিধবা ভাতা পাননি। মাস চারেক আগে গ্রামের মেম্বর আইডি কার্ডের ফটোকপি নিয়ে গেছে। তারপর আর কোন খবর নেননি।”
এসময় আশপাশের লোকজনের কাছে জবেদা খাতুনের অসহায়ত্বের কথা জানতে চাইলে তারা জানান, একমাত্র ছেলে সে ভ্যান চালিয়ে কোন মতে দিন আনে দিন খায়।
চালিতাডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান মুকুল বলেন, “সমাজ সেবা অফিস থেকে বয়স্ক বা বিধবা ভাতার জন্য যে কয়েকটি বরাদ্দ আসে তা দিয়ে সংকুলান হয়না। বেশ কয়েকটি তালিকা করা হয়েছে দেখতে হবে তার নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছে কিনা।”
কাজিপুর উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা আলাউদ্দিন জানান, “জবেদা খাতুন ভাতা পাবার উপযুক্ত। তার ব্যাপারটা অবশ্যই বিবেচনা করা হবে।”
Leave a Reply