নড়াইলের লোহাগড়ায় বাল্য বিয়ের অপরাধে বর শিমুল শেখকে (২৮) এক মাসের কারাদন্ড এবং কন্যার মা ফাতেমা বেগমকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ জুন) বিকেলে লোহাগড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট রাখি ব্যানার্জী এ আদেশ দেন। পরে কন্যা রাবেয়া খানমকে শ্বশুববাড়ি থেকে উদ্ধার করে মায়ের জিম্মায় দেয়া হয়।

ভ্রাম্যমান আদালত সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার নোয়াগ্রাম ইউনিয়নের চরশামুকখোলা গ্রামের সামাদ শেখের ছেলে শিমুল শেখের সাথে একই এলাকার আজমাল হোসেনের কন্যা মাদ্রাসার ছাত্রী রাবেয়া খানম (১৬)’র সাথে গত ২৭ মে বাল্য বিয়ের দিন ধার্য ছিলো। প্রশাসন সংবাদ পেয়ে বাল্য বিয়ে বন্ধ করতে গেলে কন্যার একটি নকল জন্ম সনদ জব্দ করে আদালত। এ ঘটনা নিশ্চিত হয়ে আদালত বিয়ে বন্ধ করার নির্দেশ দিলেও তা মানা হয়নি। সম্প্রতি গোপনে বিয়ে সম্পন্ন করে কন্যাকে বাবার বাড়ি থেকে শ্বশুর বাড়ি নিয়ে যায়। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ জুন) বিকেলে লোহাগড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাখি ব্যানাার্জী পুনরায় অভিযান পরিচালনা করে বাল্য বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে বর শিমুল শেখকে এক মাসের কারাদন্ড এবং কন্যার মা ফাতেমা বেগমকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন। পরে কন্যা রাবেয়া খানমকে তার মায়ের জিম্মায় দেয়া হয়।

লোহাগড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমান আদালতের নিবার্হী ম্যাজিষ্ট্রেট রাখি ব্যানার্জী জানান, ‘মেয়ে নাবালক কিন্তু এক সপ্তাহ আগে বিয়ের আলামত না পেলেও  ৪ জুন ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে এই শাস্তি দেওয়া হয়েছে।’