আসমাউল মুত্তাকিনঃ কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার সোনাচাকা গ্রামের সন্ত্রাসী হামলায় পাশ্ববর্তী নোয়াখালী জেলার সেনবাগ উপজেলার পরিকোট গ্রামের নয় জন গুরুতর আহত। এই ঘটনায় ওই গ্রামের নগদ অর্থসহ প্রায় দেড় লাখ টাকার সম্পদ লুট করেছে বলে অভিযোগ করেছে পরিকোট গ্রামের বাসিন্দারা। গেল ১০ জুন বুধবার রাতে এই ঘটনা ঘটে।
নাঙ্গলকোটের সোনাচাকা গ্রামের রাস্তা ব্যবহারকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা ঘটে। পরিকোটের ব্যাবসায়ী নিজাম উদ্দিন নিজ খামারের মালামাল আনা নেওয়ার জন্য সোনাচাকার রাস্তা ব্যবহার করতেন। এতে নিয়মিত চাঁদা দাবি করতো ওই গ্রামের সন্ত্রাসী জাসদ ও জামশেদ দুই ভাই।
চাঁদা না দিয়ে প্রতিবাদ করায় নিজাম উদ্দিন, তার সহকারী দিল মোহাম্মদ ও ট্রাক চালক জামাল উদ্দিনকে আঘাত করে তারা।
পরবর্তীতে এই ঘটনার প্রতিবাদে সোনাচাকা গ্রামে যায় পরিকোটের বাসিন্দারা। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে পরিকোটের নিরস্ত্র মানুষের উপর হামলা চালায় সোনাচাকার সন্ত্রাসীরা। এই ঘটনায় জাসেদ-জামশেদ ছাড়াও জড়িত সোনাচাকার দেলওয়ার, সালমান, ইয়াসিন, জলু মিয়া, ফয়সাল আহমেদ বাবু, জসিম উদ্দিন, সরোয়ার, আসিফ, দয়াল, সবুজ, মিলন, সাব্বির, সুমন, রকি, আরমান, কিরণ, ইয়াসিন, ওবায়দুল সাইফুলসহ অনেকেই।
প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে চলে দুই গ্রামের মধ্যে দাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। এতে পরিকোটের আমির হোসেন, দিল মোহাম্মদ, জামাল উদ্দিন, শামীম আহমেদ, সাহাব উদ্দিন, সারোয়ার হোসেনসহ নয় জন আহত হয়।
এদের মধ্যে গুরুতর জখমে নোয়াখালী সদর হাসপাতালে ভর্তি হন আমির হোসেন ও দিল মোহাম্মদ।
ব্যাবসায়ী নিজাম উদ্দিন বলেন, সোনাচাকার সন্ত্রাসী জাসদ, জামশেদ, কুদ্দুস, দেলওয়ার ও ফয়সাল আহমেদ বাবু আমার কাছে চাঁদা দাবি করে। আমি চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় তারা আমাদের উপর হামলা চালায়। আমার খামারের খাদ্য লুট করে নিয়ে যায়।
আহত আমির হোসেন ও দিল মোহাম্মদের ভাই ইমরান হোসেন বলেন, চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করতে যায় আমার ভাই আমির হোসেন ও গোলাফের রহমান। এমন সময় অতর্কিত হামলা চালায় আমার ভাইদের উপর। দা এবং কোচের আঘাতে চরম জখম পান আমির হোসেন। সে সময় তার পকেটে থাকা নগদ এক লক্ষ টাকা ও বাকিদের মোবাইল নিয়ে যায় সোনাচাকার সন্ত্রাসীরা।
Leave a Reply