1. admin@protidinershomoy.com : admin :
  2. nasimriyad24@gmail.com : ডেস্ক রিপোর্ট : ডেস্ক রিপোর্ট
  3. wp-configuser@config.com : James Rollner : James Rollner
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৫২ অপরাহ্ন

ঠাকুরগাঁওয়ে রাস্তার বেহাল দশা, চরম দূর্ভোগে ১০ হাজার মানুষ

সংবাদ দাতার নাম
  • সময় : সোমবার, ১৩ জুলাই, ২০২০
  • ৭০৭ জন পড়েছেন

মোঃ সুজন আলী, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ৬ নং আউলিয়াপুর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত মাদারগঞ্জ গ্রাম। গ্রামে প্রায় ১০ হাজার মানুষের বসবাস।

ওই ওয়ার্ডের পোষ্ট অফিস থেকে বড়গাঁও মাদ্রাসা পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার রাস্তায় গ্রীষ্মকাল ও বর্ষাকালে সামান্য বৃষ্টি হলেই এক হাঁটু কাদা জমে। তখন যানবাহন তো দূরের কথা, হেঁটে চলাচলও বিপজ্জনক হয়ে পড়ে।

আশপাশের সব রাস্তা পাকা হলেও এ রাস্তাটি পাকা করার কোনো উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না। নির্বাচন এলে রাজনৈতিক নেতারা রান্তাটি পাকা করার প্রতিশ্রুতি দিলেও পরে আর পাকা করার উদ্যোগ নেয়া হয় না বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকবাসী।

মাদারগঞ্জ গ্রামের আল-মামুন নামের এক ব্যক্তি ােভ প্রকাশ করে বলেন, এমপি থেকে শুরু করে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কেউ বাকি নেই যে আমরা তাদের কাছে যাইনি। এলাকার নেতা মুরুব্বিসহ অসংখ্য মানুষ জনপ্রতিনিধিদের কাছে বার বার ধরণা দিয়ে শুধু প্রতিশ্রুতিই পেয়েছি। ঠাকুরগাঁও সদরে এরকম রাস্তা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না।

ুব্ধ হয়ে আল-মামুন এ প্রতিবেদককে বলেন, আমাদের প্রাণের দাবি এই রাস্তাটি করে না দিলে ঠাকুরগাঁও উপজেলা থেকে আমাদেরকে বের করে দেওয়া হোক।

লিপি আক্তার বলেন, খুবই দুঃখের সঙ্গে বলতে হয় প্রতিদিন এই রাস্তাটি দিয়ে সকাল বিকাল যাতায়াত করতে হয়। আমরা যারা কর্মজীবী মানুষ এই রাস্তা যাতায়াত করি। আমরা অনেক বার চেষ্টা করেছে করেছি পাকা করার জন্য, যখন নির্বাচন আসে মেম্বার চেয়ারম্যান গণ রাস্তাটি পাকা করে দেয়ার আশ্বাস দেন। আমাদের এ রাস্তাটি করে দেয়ার আশ্বাস দিলেও এখনও পর্যন্ত রাস্তাটি পাকা করন হচ্ছে না।
মাহাফুজ সরকার তুষার জানান, খুব খারাপ লাগে যখন দেখি ছোট ছোট কোমলমতি বাচ্চারা কাদামাটি মেখে স্কুলে আসছে। অনেক গ্রীষ্ম-বর্ষা মৌসুমে অনেক শিার্থী স্কুলেই আসতে পারেনা। রাস্তাটি দ্রুত পাকাকরণের দাবি জানান তিনি।

৬নং আউলিয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান বলেন, আমার ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের মাদারগঞ্জ গ্রামটি খুবই অবহেলিত। ইউনিয়ন পরিষদের বেশিরভাগ বরাদ্দই আমি এ গ্রামে ব্যয় করেছি। রাস্তা পাকা করার কাজের এখতিয়ার আমার নেই। তবে ইউনিয়নের প্রায় সবকটি কাচা রাস্তায় আমি মাটির কাজ করেছি। ইউনিয়ন পরিষদের সভায় অসংখ্যবার ইউনিয়নের কাচা রাস্তাগুলোর কথা আমি বারবার তুলে ধরেছি। বৈশাখ মাসে বড় বড় ট্রাক্টর দিয়ে ধান আনা নেয়ার সময় রাস্তাটির দশা বেহাল হয়ে যায়। শুনেছি এমপি মহোদয়ও এলাকবাসীকে বার বার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, এ রাস্তাটির পূর্ব দিকে রয়েছে কচুবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কচুবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়, দক্ষিণে মাদারগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং পশ্চিম দিকে রয়েছে পাগলাপীর মাদ্রাসা। এ রাস্তাটিই এ এলাকার ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াতের একমাত্র পথ। গ্রীষ্মকাল এবং বর্ষাকালে শিার্থীদের কষ্টের সীমা থাকে না। এ রাস্তায় চলাচলের বাধা একটাই- এর বেহাল দশা। রাস্তাটি পাকা হলে এ এলাকার ১০ হাজার মানুষের কষ্ট দূর হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিার্থীদের এবং এ অঞ্চলের মানুষের দিকে তাকিয়ে রাস্তাটি পাকা করার উদ্যোগ গ্রহণের জন্য কর্তৃপরে সুদৃষ্টি কামনা করছেন এলাকাবাসী।

সংবাদটি আপনার সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার দিন

এই ক্যাটাগরীর আরোও সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশেষ সংখ্যা

%d bloggers like this: