এম.আবদুল্লাহ সরকার-রায়গন্জ ( সিরাজগন্জ) প্রতিনিধি :
ফুলজোড় নদীর উপর একটা মাত্র ব্রীজ দরকার। কারণ এই নদী পারাপারে তখন নৌকাই ছিল একমাত্র বাহন। সেটা উঠে যাওয়ায় বিড়ম্বনায় পড়ে এলাকাবাসী। ফলে বাধ্য হয়ে সবাই মিলে বাঁশের সাকো তৈরী করে ফেলে। চলাচল শুরু হলেও পানি বাড়লেই সমস্যাও বাড়তে থাকে।
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার সলঙ্গা টু ভুইয়াগাতী আঞ্চলিক রাস্তা, সলঙ্গার চর বাজার পার্শ্ববর্তী বাহাজ উদ্দীন মাস্টারেরর বাড়ি সংলগ্ন গাঢ়ুদহ গ্রামের জনসাধারনের নির্বিঘ্নে চলচলের জন্যই ফুলজোড় নদীর উপর একটি ব্রীজ নির্মানের দাবী এ অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের।
এখন বর্যা মৌসুম। চলাচলের জন্য সাকোটাই ভরসা। এই সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন ধুবিল ও ঘুড়কা ইউনিয়নের চর ধুবিল,ধুবিল মেহমানশাহী,চৌধুরী ঘুঘাট,খারিজা ঘুঘাট,মধ্যপাড়া ভরমোহনী,সলঙ্গার চর, জন্জালীপাড়া, জগন্নাথপুর সহ ৮/১০ টি গ্রামের হাজার হাজার মানুষকে বাঁশের সাঁকো দিয়ে ঝূকি নিয়ে এই নদী পার হতে হয়। এ সব এলাকার জনগোষ্ঠীর থানা সদর সলঙ্গায় যাতায়াতের একমাত্র পথ এটি। চিকিৎসারা প্রয়োজন হলে বিড়ম্বনাটা আরো বেড়ে যায়।
আওয়ামী লীগ নেতা বাহাজ উদ্দীন মাস্টার, ডা: নান্নু, ছানোয়ার হোসেন সহ অনেকেই জানান,স্বাধীনতার পর থেকে এ অঞ্চলের মানুষ এখানে একটি ব্রীজ নির্মানের জন্য ধুবিল ইউপি চেয়ারম্যান, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর,রায়গন্জ উপজেলা পরিষদ সহ সংশ্লিষ্ট এমপি মহোদয়ের কাছে বারবার আবেদন জানিয়ে আসছেন। কিন্তু আজও আলোর মুখ দেখেনি। ধুবিল ইউপি চেয়ারম্যান হাসান ইমাম জানান,এলাকাবাসীর লিখিত আবেদনে আমি সুপারিশ করে ইলজিইডি রায়গন্জ সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠিয়েছি। এখানে একটি ব্রীজ নির্মান অতীব জরুরী ।
এ ব্যাপারে রায়গন্জ উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলী আব্দুল বাছেদ বলেন, এলাকাবাসীর আবেদনের প্রেক্ষিতে বাহাজ মাস্টারের বাড়ির পাশে গাঢ়ুদহ খালের উপর ৬০ মিটার ব্রীজ নির্মানের নকসা ও প্রাক্কলন চুড়ান্ত অনুমোদনের জন্য ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে ।
এটি চুড়ান্ত অনুমোদন হলে এবং প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ পেলে ব্রীজ নির্মানের কাজ শুরু হবে।
Leave a Reply