শামীম মিয়া,
মির্জাপুর(টাঙ্গাইল) প্রতিনিধিঃটাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার এশিয়াখ্যাত কুমুদিনী হাসপাতালের প্রবেশের ৫শ গজ রাস্তা ও হাসপাতালের ভিতরের সব জায়গায় প্রায় এখন হাটুপানি।আর এই পানি উপেক্ষা করেই রোগীদের সেবা প্রদান করছে কুমুদিনী হাসপাতাল।জানাগেছে,টানা বর্ষণ ও উজানের ঢলে লৌহজং নদীর পানি বৃদ্ধি হয়ে কুমুদিনী
হাসপাতালের বিভিন্ন ড্রেন দিয়ে হাসপাতালের ভিতরের পানি প্রবেশ করেছে।
সরজমিনে দেখা যায়,অস্বাভাবিক ভাবে বন্যার পানি বৃদ্ধির ফলে হাসপাতালে প্রবেশের ৫শ গজ রাস্তা ও হাসপাতালের ভিতরের সব জায়গায় এখন প্রায় হাটুপানি। এছাড়া কুমুদিনী নার্সিং কলেজ,উইমেন্স মেডিকেল কলেজ,ভারতেশ্বরী হোমস্ চত্বর,মেডিকেল কলেজের হোস্টেলও এখন বন্যার কবলে। পাশেই লৌহজং নদী থাকার কারণে জোয়ারের পানি হাসপাতালের বিভিন্ন ড্রেন দিয়ে প্রবেশ করছে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।
প্রতিদিন শত শত রোগীকে চিকিৎসা দেয়া প্রতিষ্ঠানটিতে হঠাৎ করে এমন পরিস্থিতি হওয়ায় বিগত সময়ের তুলনায় রোগীর সংখ্যা কমে গেছে। ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনদের। তবুও সব কিছু এড়িয়ে নিরলস ভাবে সেবা প্রদান করছেন প্রতিষ্ঠানটির ডাক্তার থেকে শুরু করে সকলেই। সাধারণ কর্মীরাও দিন-রাত একাকার করে কাজ করে যাচ্ছেন। তবে শিশু ও নারীদের ঝুকি নিয়ে চিকিৎসা নিতে দেখা গেছে। যদিও চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের কথা বিবেচনায় হাসপাতালের ভিতরে প্রবেশের জন্য ইট দিয়ে অস্থায়ী রাস্তা বানানো হয়েছে সেটিও পানিতে তলিয়ে গেছে। রোগীদের সাথে কথা বলে জানা যায় পানির কারণে চিকিৎসা নিতে কোনো অসুবিধা হচ্ছেনা,চিকিৎসা সেবা চলছে সঠিক ভাবেই।
কুমুদিনী হাসপাতালের সহকারি মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) অনিমেষ ভৌমিক সাংবাদিকদের জানান,হাসপাতালে বন্যার পানি প্রবেশের ফলে শুধুমাত্র যাতায়াত ব্যবস্থায় সমস্যা হচ্ছে,ইট দিয়ে রাস্তা তৈরি করা হলেও পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে সেটি তলিয়ে গেছে,বিকল্প পদ্ধতি হিসেবে যাতায়াতের সুবিধার্থে বেঞ্চ বসানোর প্রক্রিয়া চলছে। বন্যার কারণে চিকিৎসা সেবা প্রদানে তাদের তেমন কোন সমস্যা হচ্ছে না বলেও উল্লেখ করেন।
Leave a Reply