স্টাফ রিপোর্টারঃ চাঁদপুর সদরের চান্দ্রা বাজারে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে অপ্রিতিকর ঘটনা ঘটেছে।৩১শে জুলাই শুক্রবার সন্ধ্যায় মুড়ি খাওয়া নিয়ে তর্ক-বিতর্ক কে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,লক্ষিপুর ইউনিয়নের পাবেল ও শামীম নামের দুই কিশোর শখের বশত মুড়ি বানানি খাওয়ার জন্য চান্দ্রা বাজারে যায়।পরে চান্দ্রার মতির দোকানে সেই মুড়ি বানানি খেতে বসা নিয়ে দুই ইউনিয়নের উভয় কিশোরদের মধ্যে তর্ক বিতর্কের সৃষ্টি হয়। তর্ক-বিতর্কের এক পর্যায়ে এক কিশোরকে অন্য কিশোর ধাক্কা দেওয়াকে কেন্দ্র করে সেখানে গলযোগ সৃষ্টি হয় এবং এর রেশ ধরেই চান্দ্রা বাজারের বেশ কয়েকটি দোকানের উপর হামলা চালানো হয়েছে। এ ব্যপারে চাঁদপুর সদর মডেল থানার এস আই পলাশ বড়ুয়া জানান,আমাদের ট্রহল চলাকালে মুড়ি খাওয়াকে কেন্দ্র করে চান্দ্রা বাজারে গলযোগের খবর পেয়ে চান্দ্রা পৌঁছে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি।কোন পক্ষই লিখিত অভিযোগ না করে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মিমাংসা করবে বলে পুলিশকে জানালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে আমরা কিছুক্ষণ অবস্থান করে সেখান থেকে চলে এসেছি।এ সময় পুরান বাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. মাসুদসহ বিভিন্ন ইউনিটের পুলিশের কয়েকটি টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলো।এদিকে ঘটনাটি মহামারী ধারন করার মুহূর্তেই চান্দ্রা ও লক্ষিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশের হস্তক্ষেপে বিষয়টি মিমাংসার পথে রয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।এক সূত্রে জানা যায়, ঐ ঘটনায় যেকটি দোকানে হামলা হয়েছে।ঐ সব ক্ষতিগ্রস্থ দোকানদারদের সাথে আলাপ করে বিষয়টি মিমাংসা করার প্রক্রিয়া চলছে।এছাড়াও বিষয়টি চান্দ্রা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খান জাহান আলী কালু পাটওয়ারী ও লক্ষিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সমন্বয়ে পরের দিন পবিত্র ঈদুল আযহা থাকায় বিষয়টি ঘটনার রাতেই কারো বিরুদ্ধে কারো অভিযোগ না থাকায় বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে বলেও খবর পাওয়া গেছে। ১ই আগষ্ট শনিবার এ ব্যপারে চান্দ্রা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খান জাহান আলী কালু পাটওয়ারী জানান,বিষয়টি এখনো মিমাংসা হয়নি।ক্ষতিগ্রস্থদের কেউ-ই ক্ষতিপূরণ পায়নি। তবে সংগঠনের সিনিয়রদের এ ব্যপারে জানানো হয়েছে।তারা বিষয়টি সুষ্ঠু সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।
Leave a Reply