1. admin@protidinershomoy.com : admin :
  2. nasimriyad24@gmail.com : ডেস্ক রিপোর্ট : ডেস্ক রিপোর্ট
  3. wp-configuser@config.com : James Rollner : James Rollner
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৪৭ অপরাহ্ন

শেখ হাসিনার কৌশলী নেতৃত্বেই করোনা মোকাবেলায় সফল বাংলাদেশ ড.সাজ্জাদ হোসেন চিশতী

সংবাদ দাতার নাম
  • সময় : শনিবার, ৮ আগস্ট, ২০২০
  • ১৭৮ জন পড়েছেন

শেখ হাসিনার কৌশলী নেতৃত্বেই করোনা মোকাবেলায় সফল বাংলাদেশ

করোনায় সারাবিশ্বে কোনো দেশের অবস্থা এখন ভালো অবস্থানে নেই। বিশ্বের উন্নত দেশগুলো আজ হার মেনে নিয়েছে এই মহামারির কাছে। সেই দিক দিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান কোথাই গিয়ে দাঁড়ানোর কথা তার কোনো হিসাব নেই। কারণ বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর মানুষ অনেক সচেতন। তারা যেভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে বাংলাদেশের মানুষ সেভাবে মেনে চলে না, তাছাড়া তারা অনেক সচেতন, যা আমরা না। দেশের মানুষের জন্য যতই স্বাস্থ্যবিধির আইন তৈরি করে তারা কোনোভাবেই সে আইন তোয়াক্কা করে না। তারপরেও এমন পরিস্থিতিতে দেশে করোনা সংক্রমণের শুরু থেকেই মহামারি মোকাবেলায় বেশ কৌশলী অবস্থান গ্রহণ করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

করোনা পরিস্থিতির শুরু থেকে সরকার প্রধান হিসেবে শেখ হাসিনা সামনে থেকে করোনা মোকাবেলায় নেতৃত্ব দিয়ে চলেছেন। জীবন-জীবিকা সচল রেখে করোনা মোকাবেলায় এক অনন্য নজির স্থাপন করেছেন তিনি।

একই সময়ে বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে করোনা চিকিৎসায় উদ্বুদ্ধ করে দ্রুতগতিতে মহামারি নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হয়েছেন। করোনা পরিস্থিতির শুরু থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সমালোচনা, বিভিন্ন ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত মোকাবেলা করে প্রধানমন্ত্রীর সুচিন্তিত পদক্ষেপে করোনা চিকিৎসা অনেকটা সফলতায় আসে।

যেখানে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইতালি, ভারতসহ অনেক উন্নত দেশ করোনা মোকাবেলায় হিমশিম খাচ্ছে, সেখানে বাংলাদেশ সফলতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত। শুরুর দিকে অনেক বিদেশি ভয়ে বাংলাদেশ ছেড়ে চলে গেলেও এখন তারা ফিরছেন। কেননা বাংলাদেশ যেভাবে করোনা মোকাবেলা করেছে, উন্নত দেশও তা পারেনি। আমেরিকা, ভারতে এখনো করোনা নিয়ন্ত্রণের বাইরে। আর সেদিক দিয়ে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে।

দেশের মানুষের জীবিকা নির্বাহের একমাত্র পথ অর্থনীতি। যার কারণে করোনার এমন পরিস্থিতিতে দেশের সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনা শুরু থেকেই চিকিৎসার পাশাপাশি জীবিকার তাগিদকে গুরুত্ব দেন। যে কারণে কিছুদিনের মধ্যেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে খুলে দেওয়া হয় গার্মেন্টস। নির্দিষ্ট সময়ের জন্য খোলা রাখা হয় দোকানপাট। যাতে দরিদ্র, মধ্যবিত্ত ও খেটে খাওয়া মানুষের আয় রুজির ব্যবস্থা হয়। সচল থাকে অর্থনীতির চাকা। একইসঙ্গে দেশব্যাপী দরিদ্রদের মধ্যে খাদ্যদ্রব্য ও নগদ অর্থ বিতরণের ফলে মানুষের খাদ্যের সংস্থান করা হয়।

এ ছাড়া গার্মেন্টসহ শিল্পে প্রণোদনা দিয়ে শিল্পোন্নয়নে সহায়তা করা হয়। যাতে কিছুদিনের মধ্যেই অর্থনীতিতে বেশ গতি আসে। করোনা সংক্রমণ শুরুর পর জনজীবনে স্থবিরতা নেমে আসে। বিপাকে পড়ে খেটে খাওয়া জনগণ। ঠিক সেই সময়ে জনগণের পাশে ত্রাণকর্তা হিসেবে দাঁড়ান শেখ হাসিনা। গত ৫ এপ্রিল করোনাভাইরাসের আর্থিক ক্ষতি কাটাতে ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার প্রণোদনা ঘোষণা করেন তিনি।

এর মধ্যে শিল্পঋণের জন্য ৩০ হাজার কোটি টাকা, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতের ২০ হাজার কোটি টাকা, রফতানিমুখী শিল্পের শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধে পাঁচ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়। পাশাপাশি নিম্ন আয়ের মানুষ ও কৃষকের জন্য পাঁচ হাজার কোটি টাকা, রফতানি উন্নয়ন ফান্ড ১২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা, প্রিশিপমেন্ট ঋণ পাঁচ হাজার কোটি টাকা, গরিব মানুষের নগদ সহায়তা ৭৬১ কোটি টাকা, অতিরিক্ত ৫০ লাখ পরিবারকে ১০ টাকা কেজিতে চাল দেয়ার জন্য ৮৭৫ কোটি টাকা।
এ ছাড়া করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় স্বাস্থ্য খাতে বাজেটের অতিরিক্ত ৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। করোনা সংক্রমণের শুরু দিকে যখন সারা বিশ্ব দিশেহারা ঠিক ওই মুহূর্তে মাথা ঠাণ্ডা রেখে সংকট মোকাবেলায় মনোনিবেশ করেন প্রধানমন্ত্রী। শুরুর দিকে স্বাস্থ্য খাতের বিভিন্ন ধরনের বিশৃঙ্খলা প্রকাশ পেতে থাকে। সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন হাসপাতালে নিম্নমানের মাস্ক, পিপিই সরবরাহ ধরা পড়ে। এ ছাড়া আরও নানা ধরনের অসংগতি ফুটে ওঠে। সেসব অসংগতিগুলো শুধরে নিতে কড়া বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব আসাদুল ইসলামকে সরিয়ে মন্ত্রণালয়কে ঢেলে সাজানো হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজির বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠলে ওই পদে নতুন কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে রদবদল করা হয়। করোনাকালে যাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ এসেছিল— তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়ায় সরকারের ভাবমূর্তিকে উজ্জ্বল করেছেন তিনি। এতে সাধারণ মানুষের হৃদয়ে আস্থার প্রতীক হিসেবে তিনি স্থান করে নিয়েছেন আবারও। শুধু তাই নয় বর্তমানে সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা জেকেজির সাবরিনা- আরিফ ও শাহেদের মত দেশদ্রোহীতে ঘায়েল করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক অনন্য নজীর স্থাপন করেছেন। যেখানেই অন্যায় সেখানেই এখন অভিযান চালানো হচ্ছে। অপরাধিদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে শেখ হাসিনা। সে কোন দল করে সেদিক বিবেচনা না করে অপরাধ চোখে পড়া মাতই এখন ব্যাবস্থা নেওয়া হচ্ছে। যা অতিতের কোন সরকারের আমলে এমন নজীর সৃষ্টি হয়নি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন পদক্ষেপ দেশ-বিদেশে ব্যাপক প্রশংসা পায়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী ফোর্বস ম্যাগাজিনের পাশাপাশি ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামও প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রীর এমন নেতৃত্বের। চলতি বছরের ১৫ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ডাকে দক্ষিণ এশিয়ার সার্ক জোটভুক্ত দেশের নেতারা করোনা ভাইরাস সংকট মোকাবেলার লক্ষে এক ভিডিও কনফারেন্সে মিলিত হন। করোনা সংক্রমণ ঠেকানোর লড়াইয়ে সমন্বিত উদ্যোগ নিতে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে সার্ক নেতাদের আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২৫ মে করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সহায়তা প্রদান বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। শি জিনপিংয়ের প্রস্তাব অনুযায়ী পরে চীন বিশেষজ্ঞ দল বাংলাদেশে আসে।চলবে..

সংবাদটি আপনার সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার দিন

এই ক্যাটাগরীর আরোও সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশেষ সংখ্যা

%d bloggers like this: