1. admin@protidinershomoy.com : admin :
  2. nasimmahmudeee@gmail.com : Nasim Mahmud : Nasim Mahmud
  3. nasimriyad24@gmail.com : ডেস্ক রিপোর্ট : ডেস্ক রিপোর্ট
বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:৪৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
কুষ্টিয়ায় এবারের জাতীয় পর্যায়ের লালন উৎসবে গাইলেন ঠাকুরগাঁওয়ের বাউল রুমা ঠাকুরগাঁওয়ে ‘কালবেলা’ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত ঠাকুরগাঁওয়ে জাকের পার্টির সাংগঠনিক জনসভা অনুষ্ঠিত ভূল্লী থানায় ৩৫ পিস ট্যাপেন্ডালসহ যুবক আটক উত্তর ইতালি বিএনপি শাখা কমিটি দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান তারেক রহমানের সাক্ষাতকার বড় পর্দায় প্রদর্শন করলেন ছাত্রদল নেতা তারিক ভূল্লীতে হেযবুত তওহীদের গোলটেবিল বৈঠক: গণমাধ্যমের ভূমিকায় তওহীদভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনের গুরুত্ব ইতালি যুবদলকে ঐক্যবদ্ধ ও সু সংগঠিত করতে ইতালি যুবদল লাস্পেসিয়া শাখার মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত  বাংলাদেশের তরুণ কৃষি উদ্যোক্তাদের জন্য সামাজিক ব্যবসা তহবিল গঠনের জন্য IFAD-এর প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান ইতালির বিভিন্ন প্রভিন্সে যুবদল কমিটি গঠনের লক্ষ্যে মনফালকনে গরিঝিয়া যুবদলের উদ্যোগে মতবিনিময় সভা

লোহাগড়ায় সড়কের বিভিন্ন প্রজাতির সরকারী গাছ বিনা টেন্ডারে বিক্রি করার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিনিধি
  • সময় : সোমবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২০
  • ৪২৩ জন পড়েছেন
নড়াইলের লোহাগড়ায় বন বিভাগের বিরুদ্ধে সড়ক ও জনপথ বিভাগের কামঠানা-কাউড়িখোলা সড়কের দু’পাশের প্রায় ১৫০টি বিভিন্ন প্রজাতির সরকারী গাছ বিনা টেন্ডারে কেটে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে। গাছগুলির আনুমানিক মূল্য প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকা।
এলাকাবাসির অভিযোগে জানা গেছে, সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধিন কামঠানা-কাউড়িখোলা সড়কের প্রায় এক কিলোমিটার এলাকায় দুই পাশ দিয়ে বাবলা, রেন্ট্রি, গামারীসহ বিভিন্ন প্রজাতির ছোট-বড় কয়েক শতাধিক গাছ ছিল। গাছগুলি রোপন করেছিলো কাউড়িখোলা-কামঠানা বনায়ন সমিতি সদস্যরা। প্রায় ৩০ বছর ধরে তাদের তত্বাবধায়নে গাছগুলো বড় হয়ে উঠে। অথচ সমিতির সদস্যদের এবং ইউনিয়ন পরিষদের প্রাপ্য অংশ না দিয়ে এমনকি তাদের না জানিয়ে বিনা টেন্ডারে গাছগুলি কেটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বনায়ন সমিতি কয়েক জন সদস্য অভিযোগ করে বলেন, গাছ কাটার ব্যাপারে কোন মিটিং বা রেজুলেশন না করে গাছ কাটার কাজ শুরু করেছে। এ ব্যাপারে সমিতির সভাপতি মনি মিয়া শেখের সাথে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি।
ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল শিকদার ও সমিতির সম্পাদক আব্দুস ছত্তারসহ কমিটির অনেকেই জানান, আমাদের না জানিয়ে গত কয়েক দিন ধরে বন বিভাগের লোকেরা শ্রমিক দিয়ে রাস্তার দুই পাশের রোপন করা মূল্যবান রেন্ট্রি, বাবলা, গামারীসহ প্রায় ১৫০টি অতি মূল্যবান গাছ কেটে নিয়ে গেছে। যার মূল্য প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় অনেকেই জানান, বন বিভাগের লোকসহ ওই সমিতির দুই একজন মিলে কাটা গাছের বেশীর ভাগ গুড়ি লোহাগড়ার কালনা সড়কের পাশে অবস্থিত স’মিল এলাকার তিন-চার জায়গায় রেখে সেখান থেকে বিক্রি করছে। সেখান থেকে বেশ কিছু গাছের গুড়ি গত শনিবার সকালে ট্রাকে করে অন্যত্র নিয়ে যেতেও দেখা গেছে।
সোমবার ‘সরেজমিনে যেয়ে দেখা গেছে, কামঠানা-কাউড়িখোলা সড়ক চওড়া করে পাকাকরনের জন্য ভেকু ম্যাশিন দিয়ে রাস্তা খোড়া হচ্ছে। সড়কের দুই পাশে প্রায় শতাধিক গাছের গোড়া কাটা ও গর্ত করে গোড়ার অংশ খুচে নিয়ে যাওয়ার চিহ্ন রয়েছে। কাটা গাছের কিছু গুড়ি রাস্তার পাশে রয়েছে। অনেক গুড়ি পার্শ্ববর্তী কামঠানা গ্রামের ইমরুল মুন্সি ও আলমগীরের বাড়ীতে লুকানো রয়েছে। লোহাগড়ার কয়েকটি স’মিলের পাশে বড় গাছের গুড়ি রাখা আছে। এছাড়া উপজেলা বন বিভাগ চত্বরে ছোট বড় প্রায় ২০/২৫ টি গাছের ছোট ছোট গুড়ি নেওয়া হয়েছে। জানতে চাইলে গাছ কাটার কাজে নিয়োজিত বন বিভাগের কর্মচারী ইকবাল হোসেন জানান, কামঠানা-কাউড়িখোলা সড়কটির বর্তমান অবস্থা থেকে চওড়া করা হচ্ছে। যার কারণে দু’পশের বেশ কিছু গাছ কাটা হয়েছে। গাছ গুলি উপজেলা বন বিভাগের অফিস চত্বরে রাখা হচেছ। তিনি বিক্রয়ের বিষয়ে কিছুই বলতে পারেন না। স’মিলের পাশে রাখা গাছের গুড়ি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান কে বা কারা সেখানে রেখেছে তা তিনি জানেন না।
এ ব্যাপারে জেলা বন বিভাগের কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ জানান, সড়ক ও জনপত বিভাগ আমাদের না জানিয়ে দ্রুত কাজ শুরু করায় রাস্তার পাশের কিছু গাছ ভেঙ্গে পড়ার আশংকায় কেটে লোহাগড়ার বন বিভাগের অফিস চত্বরে রেখে দেওয়া সিদ্ধান্ত হয়। দ্রুত সড়কের কাজ শুরু হওয়ায় টেন্ডার বা যে সকল নিয়ম কানুন আমাদের আছে তার কোনটাই করা সম্ভব হয়নি। পথে বা অন্য কোথাও কেউ কোন গাছ রেখেছে কিনা বা বিক্রি করেছে কিনা তা আমার জানা নেই।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্ত রোসলিনা পারভীন বলেন, ‘এ ব্যাপারে কিছুই জানি না তবে শুনলাম, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখবো।’#

সংবাদটি আপনার সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার দিন

এই ক্যাটাগরীর আরোও সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশেষ সংখ্যা

You cannot copy content of this page