1. admin@protidinershomoy.com : admin :
  2. nasimriyad24@gmail.com : ডেস্ক রিপোর্ট : ডেস্ক রিপোর্ট
  3. wp-configuser@config.com : James Rollner : James Rollner
বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৫৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের মুজিবনগর দিবস পালন রাজশাহীতে বিশ্ব হিমোফিলিয়া দিবস পালিত ১৭ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন: ইতালী আওয়ামী লীগ কাতানিয়া শাখা রাজশাহীতে নিক্বণ নৃত্য শিল্পী গোষ্ঠীর বর্ষবরণ অনুষ্ঠিত রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে বর্ষবরণ উদযাপিত  বিএমডিএ: ইবিএ প্রকল্পে দুর্নীতি, ভোগান্তিতে গ্রামীণ কৃষক ভূল্লীতে বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ উপলক্ষে মঙ্গল শোভাযাত্রা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ঠাকুরগাঁওয়ে চেম্বার অফ কমার্স নির্বাচনের একটি প্যানেলের সংবাদ সম্মেলন মাদক ব্যবসায়ীর মৃত্যুকে পূঁজি করার চেষ্টা করছে ফখরুল-এমপি সুজন ঠাকুরগাঁওয়ে মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২ যুবক

করোনাকালীন শিক্ষাব্যবস্থার এপিঠ-ওপিঠ: মোঃ মশিউর রহমান

মোঃ মশিউর রহমান
  • সময় : সোমবার, ২ নভেম্বর, ২০২০
  • ৪৭৯ জন পড়েছেন

স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় সব বন্ধ ৭ মাস হলো প্রায়। অটোপাশও দিয়ে দেওয়া হলো। সবকিছুই করা হচ্ছে শিক্ষর্থীদের কথা মাথায় রেখে। তাদের ঘরে রাখার জন্য, করোনা থেকে বাঁচার জন্য। কিন্তু বর্তমানে বাস্তব অবস্থাটা আসলে কি?

বাংলার প্রতিটা ঘরে ঘরেই শিক্ষার্থী রয়েছে। প্রতিটা ঘরেই কর্মজীবী মা বাবা রয়েছেন। জীবন জীবীকার তাগিদে তাদের বের হতে হয়েছে। দিনশেষে তারা বাড়িতে ফেরেন। এখন প্রশ্ন হলো তারা কতটুকু স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে পেরেছে?
বাহিরে বের হলে এখন আর মনে হয় না আমরা করোনা সচেতন। আমি নিজেই মাস্ক পড়ি না। এখন বলবেন কেন?

কয়দিন আগে ঢাকায় গেছিলাম। লোকাল বাসে গাবতলী থেকে সদর ঘাট। বাসে উঠেই বেশ ভালো লাগলো এক সিটে একজন। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই লক্ষ্য করলাম একে একে সব সিট পূর্ন হলো। আরো কিছুদুর যেতে বাসে পা রাখার জায়গা নাই। এইটাতো ছিলো ২ মাস আগের কথা। বর্তমান পরিস্থিতি আরো খারাপ।
এখন আসেন আগের কথায় ফিরে যায়। প্রতিদিন শেষে আমাদের মা বাবা করোনা ঝুকি মাথায় নিয়ে বাড়ি ফিরেন। দিন শেষে সচেতন শিক্ষার্থীদের অবস্থা এই যে মা বাবার সাথে তারাও করোনা ঝুঁকিতে বাড়িতে বসে বসেই।
এই বার আমার মতো অসচেতন শিক্ষার্থীদের কথায় আসি যারা প্রতিদিনই কারনে অকারনে ঘর থেকে বের হই, ঘুরতে যাই, বাইরের খোলা খাবার খাই, খেলাধুলা করি একসাথে ইত্যাদি।
আমরা না হয় একটু ছোট মানুষ বুঝি না। কিন্তু যারা এই করোনার মধ্যেও বন্ধ স্কুলে মাইকিং করে বিভিন্ন খেলার আয়োজন করতেছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে এখন তা হলে কি বলবেন?

স্বাস্থ্যবিধি কথাটা শুধু ব্যবহার হচ্ছে বাস্তবে কোনো প্রয়োগ নেই। সব কিছুই হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে, শুধু স্কুল-কলেজই বন্ধ। কি জন্য এখানে নাকি স্বাস্থ্যবিধি মানা সম্ভব নয়। আশেপাশে তো কাউকেই দেখছি না স্বাস্থ্যবিধি মানতে। স্কুল কি স্বাস্থ্যবিধি মানা সম্ভব ছিল না। দেশে এতো এতো পরিকল্পনাবিধ তাও পরিকল্পনার অভাব?
প্রতিটা গ্রামেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে। প্রতিটা স্কুলে গড়ে ১০ – ১৫ জন শিক্ষক আছেন। তারা কি গ্রামের প্রতিটা পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে ভাগ ভাগ করে পাঠদান করাতে পারতো না স্কুলের ক্লাসরুমেই পড়াতে হবে তার কোনো মানে আছে। নেট সেবা ভালো না করে, সবার হাতে মোবাইল না দিয়েই শুধু অনলাইন ক্লাসের কথা ভাবেন।

আপনারা যারা স্কুল বন্ধ রেখেছের তাদের বাচ্চারা মোবাইল, কম্পিউটার, নেট সবই পাচ্ছে। শহরের স্কুল গুলোতেও অনলাইন ক্লাস হচ্ছে। কিন্তু গ্রামের ছেলে মেয়ে দের কি অবস্থা।
আজ ৭ মাস হলো তারা পড়াশুনা করেছে না।
আপ্নাদের অটোপাশের কথা শুনে তারা তো মহাখুশী। আমরা তো ছোট মানুষ। আমরা শিক্ষার ক্ষতি কতটুকু বুঝি। এখন বলবেন সব দেশেরই তো একই অবস্থা। আমরা শুধু সব দেশের সাথে তুলনায় করি। নিজেরা কতটুকু করোনা মোকাবেলা করতে পেরেছি ভেবে দেখি না।

মোঃ মশিউর রহমান
উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।

সংবাদটি আপনার সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার দিন

এই ক্যাটাগরীর আরোও সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশেষ সংখ্যা

%d bloggers like this: