নাগরপুর (টাঙ্গাইল )প্রতিনিধিঃ
মানিকগঞ্জের দৌলতপুরে বাস ও সিএনজি অটোরিক্সার মুখোমুখি সংঘর্ষে টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার একই পরিবারের ৫ জন সহ ৭ জন নিহতের ঘটনায় নিহত হরে কৃষ্ণ বাদ্যকর ও রামপ্রসাদ বাদ্যকরের পরিবারের পাশে দাড়িয়েছেন স্থানীয় সাংসদ আহসানুল ইসলাম টিটু। রবিবার (০৬ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার চাষাভাদ্রা গ্রামে নিহতদের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে সাংসদ টিটুর পক্ষে নগদ ৬০ হাজার টাকা অর্থ প্রদান করেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো.হুমায়ুন কবীর।
এসময় তিনি শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে এমপি টিটুর শোকবার্তা পৌছে দেন। তিনি বলেন, আমাদের সাংসদ বিদেশে থাকার কারনে স্বশরীরে আসতে পারেননি। কিন্তু তিনি মর্মান্তিক এ ঘটনায় বেশ মর্মাহত। তিনি আরও বলেন সাংসদ টিটু জানতে পেরেছেন এই এলাকার হিন্দু ধর্মালম্বীদের মৃতদেহ সৎকার করার জন্য স্থায়ী কোন শ্মশান নেই। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন দ্রুত চাষাভাদ্রা এলাকার হিন্দু ধর্মালম্বীদের একটি স্থায়ী শ্মশান নির্মান করে দিবেন। এছাড়া পরিবারের সকলকে হারানো হরেকৃষ্ণ বাদ্যকরের স্ত্রী ঝর্ণা বালাকে সহায়তার জন্য উপজেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন। এর আগে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও পরিবার দুটিকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মো. উজ্জ্বল হোসেন মোল্লা, স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক মো.ফারুক হোসেন, ভাদ্রা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রতন সিদ্দিকী, আওয়ামীলীগ নেতা মো.শওকত হোসেন প্রমূখ।
উল্লেখ্য শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) বিকালে মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার মুলকান্দি নামক স্থানে এক দূর্ঘটনায় এতে ঘটনাস্থলেই সিএনজির চালক সহ সিএনজিতে থাকা সকলেই মারা যায়। এতে হরেকৃষ্ণ বাদ্যকরের পরিবারের সকলেই নিহত হয়। স্বামী, ছেলে, শাশুড়ী, ছেলের বৌ ও নাতনী সহ পরিবারের সকলকে হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়ে হরেকৃষ্ণ বাদ্যকরের স্ত্রী ঝর্ণা বালা।
Leave a Reply