1. admin@protidinershomoy.com : admin :
  2. nasimriyad24@gmail.com : ডেস্ক রিপোর্ট : ডেস্ক রিপোর্ট
  3. wp-configuser@config.com : James Rollner : James Rollner
বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০২:০৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম
রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের মুজিবনগর দিবস পালন রাজশাহীতে বিশ্ব হিমোফিলিয়া দিবস পালিত ১৭ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন: ইতালী আওয়ামী লীগ কাতানিয়া শাখা রাজশাহীতে নিক্বণ নৃত্য শিল্পী গোষ্ঠীর বর্ষবরণ অনুষ্ঠিত রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে বর্ষবরণ উদযাপিত  বিএমডিএ: ইবিএ প্রকল্পে দুর্নীতি, ভোগান্তিতে গ্রামীণ কৃষক ভূল্লীতে বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ উপলক্ষে মঙ্গল শোভাযাত্রা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ঠাকুরগাঁওয়ে চেম্বার অফ কমার্স নির্বাচনের একটি প্যানেলের সংবাদ সম্মেলন মাদক ব্যবসায়ীর মৃত্যুকে পূঁজি করার চেষ্টা করছে ফখরুল-এমপি সুজন ঠাকুরগাঁওয়ে মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২ যুবক

তারুণ্যের চোখে বিজয়

সাদিয়া সাবাহ্
  • সময় : বুধবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২০
  • ৫৮৫ জন পড়েছেন

নয়মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে আমরা পেয়েছিলাম বাংলাদেশ নামের ছোট্ট স্বাধীন দেশটি। প্রতিটি দেশই স্বাধীনতার জন্যে অসংখ্য ত্যাগ ও তিতিক্ষার সম্মুখীন হয়। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। পুরো নয়মাস কোনরকম সামরিক প্রশিক্ষণ কিংবা কোনরকম পূর্বপ্রস্তুতি ছাড়াই শুধুমাত্র আত্নবিশ্বাসের জায়গা থেকে একটি দেশ “বিজয়” লাভ করতে পারে তা সত্যিই অকল্পনীয়। আর এ ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছিল তারুণ্য।

বিজয় আর তারুণ্য বিষয় দুটো আমার কাছে একে অপরের পরিপূরক মনে হয়। আমার মনে হয়, তারুণ্য ছাড়া কখনো বিজয় অর্জন সম্ভব না। আমরা যদি ১৯৭১ এর বিজয়ের দিকে তাকাই তাহলে দেখতে পাই, তরুণেরা বেশী মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করেছিল। তরুণেরা দেশের সবচেয়ে বড় শক্তি। এখন প্রশ্ন আসতেই পারে তাহলে কি মুক্তিযুদ্ধের সকল বয়সের মানুষেরা অংশগ্রহন করেনি? এটিকে কীভাবে দেখবেন? আমি তখন বলবো তরুণ আর তারুণ্য একজিনিস না। টগবগে একুশ বয়সী তরুণ হওয়া সত্ত্বেও কারো মনটা ৯০ বছর বয়সী বৃদ্ধ হয়ে যেতে পারে। কেউ আবার ৭০ বয়সে এসেও ১৮ বছর বয়সীর মতো উদ্যমী হতে পারে। একাত্তর সালে মুক্তিযুদ্ধকালীন এদেশের প্রতিটি জনগণ ছিল উদ্যমে পরিপূর্ণ। তারা জানতো তাদের হয়তো পাকিস্তান তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের সাথে লড়াই করার মতো ক্ষমতা ছিল না।কিন্তু তবুও তারা আত্নবিশ্বাসী ছিল যেমন থাকে তরুণেরা। সেই বিশ্বাসই আমাদেরকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছে। আমাদের ত্যাগ, তিতিক্ষা, স্বজন হারানোর বেদনা কোনটাকেই আমি কম মূল্যবান করে ভাবতেছি না। কিন্তু আমি মনে করি তারুণ্যই আমাদের বিজয় এনে দিয়েছে।

তারুণ্যই গড়ে দিতে পারে একটি দেশ ও একটি জাতি। তারুণ্যের চোখে বিজয় বলতে শুধু আগুনের ফুলকি কিংবা গোলাবারুদ নয়। বিজয় এর চেয়েও বড় অর্থ বহন করে। তারুণ্যতো বিজয় বলতে অনাহারে থাকা পথশিশুদের মুখে ভাত তুলে দিয়ে এক চিলতে হাসিটাকেও বুঝে। তারুন্য বিজয় হিসেবে মনে করে ছুঁইছুঁই পঞ্চাশ বছর এর দেশটাকে নতুন করে সাজানো, যেখানে থাকবে না কোন দুর্নীতি, দারিদ্যতা। যেদিন বাংলা হয়ে উঠবে সোনার বাংলা, সেদিন ই তারুণ্যের চোখে সত্যিকারের বিজয় ঘটবে। তাই বিজয় দিবসে, তারুণ্যের চোখে বিজয় তাই যার জন্যে এক নিমিষে নিজের নিশ্চিত জীবন ও ত্যাগ করা যায়। যেমনি করেছিল একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধারা। সকল মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা।

লিখেছেন:
সাদিয়া সাবাহ্
নৃবিজ্ঞান বিভাগ
১২ তম আবর্তন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

সংবাদটি আপনার সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার দিন

এই ক্যাটাগরীর আরোও সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশেষ সংখ্যা

%d bloggers like this: