নিজস্ব প্রতিবেদক : মোহনপুরে রায়ঘাটি ইউনিয়নের হিন্না বিলের টেংরা নামক স্থানে মৎস চাষীদের দন্দের মাঝে চেয়ারম্যান খলিলুর রহমানকে নিয়ে অযোক্তিক কথা বলার অভিযোগে প্রতিবাদ সভা করা হয়েছে। মোহনপুরের মধ্যে সবচেয়ে উন্নয়ন মূলক চেয়ারম্যানের নামে মিথ্যা কথা বলায় তিব্র নিন্দা জানিয়ে রতনডাঙ্গা গ্রামে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মিরা সহ অত্র এলাকাবাসিরা একত্রিত হয়ে এ প্রতিবাদ সভা করেন।
প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন, রায়ঘাটি ইয়নিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ওসমান গনি, ইউপি সদস্য (মেম্বার) ছলিম উদ্দিন, ৫ নং জেকের আলী, আওয়ামী লীগ নেতা আশরাফুল ইসলাম, মাহফিল, মুনারুল ইসলামসহ শতাধিক এলাকাবাসি।
তারা বলেন, রতনডাঙ্গা গ্রামের অধিকাংশ মানুষ খুবই গরিব তাদের আয় ব্যয়ের পর গ্রামের মসজিদের জন্য দান করার কোন সামর্থ্য থাকেনা। এলাকায় অবস্থিত বাঁধের স্লুইচ গেইটের মুখে স্রোতের কারনে মাছ শিকার করে যে অর্থ আয় হয় তা থেকে মসজিদের উন্নয়ন করা হয় । বিগতদিনে মৎসচাষী আয়েন উদ্দিনকে জায়গাটিতে মৎস শিকার করার সুযোগ দিয়ে মসজিদে কিছু অনুদানের কথা বলা হয়। সকলের স্বীদ্ধান্ত ক্রমে শর্ত মোতাবেক প্রথমবার টাকা প্রদান করে জায়গাটি ভোগ করেন আয়েন উদ্দিন। পরে সেই টাকার পরিমান বাড়িয়ে লিজ পাই বেলাল নামের এক মৎসজীবি । বর্তমানে হটাৎ করেই মৎসচাষী আয়েন উদ্দিনকে আবারো জায়গাটি দখল দিতে তাদের এক প্রতিবাদ সভায় চেয়ারম্যান খলিলুর রহমানের নামে মিথ্যা কথা বলে থাকে। কিন্তু আমাদের চেয়ারম্যান উন্নয়নে বিশ্বাসী সে কখনো কারো সাথে কোন অনিয়ম করেন না। সবর্দা সকল বিচ্ছিন্ন ঘটনা সুষ্ঠ ভাবে নিরাশন করে থাকেন আমাদের চেয়্যারমান।
তারা আরো বলেন, চেয়্যারমান খলিলুর রহমান রায়ঘাটিতে যে পরিমান উন্নয়ন করেছেন। তার উন্নয়নের ফলে আগামী নির্বাচনে আমারো বিপুল ভোটে নির্বাচিত হবেন। তাই কুচক্রমহলের সদস্যরা আতঙ্কিত হয়ে তার সুনাম নষ্ঠ করার বৃথা চেষ্টা করে এখানে বিবাধ সৃষ্ঠি করেছে ও ভুল তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে। আমাদের এখানে মাছ শিকারে মৎসচাষীরা যেমন দু-মোটো খাবার পাচ্ছে পাশাপাশি মসজিদ পরিচালনায় সুবিধাও হচ্ছে। এতে আমরা আমাদের স্বীদ্ধান্তে অঢুট থাকতে চাই, তবে চেয়ারম্যানের মতো ভালো মানুষের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলুক এটাও চাইনা। সেক্ষেত্রে মৎস শিকার বন্ধ করে দিতেও রাজি।
এ ব্যাপারেরে চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান জানান, আগামীতে আমার নির্বাচনী এলাকায় আমার বিরুদ্ধে মানুষদের মনে বিষাধ সৃষ্টি করতে কুচক্রীমহল উঠে পড়ে লেগেছে। তারা বুঝে গেছে আমার উন্নয়নে সাধারণ জনগনের মাঝে ব্যাপক জনপ্রিয়তা বিরাজ করছে। তাই তারা বিভিন্ন পথ অবলম্বন করছে, কিন্তু আমি আবারো বিপুল ভোটে চেয়্যারমান নির্বাচিত হবো ইনশাআল্লাহ। আর ঘটনাস্থলে মৎসচাষী আয়েন উদ্দিনকে আমিই পরামর্শ দিয়ে সুযোগ করে দিয়েছিলাম। পরে এলাবাসি মসজিদের আয়ের সুফলে অন্য জনকে সেখানে মাছ শিকার করতে দিচ্ছে। কুচক্রীমহল আমাকে ঈর্শা করে রতনডাঙ্গা গ্রামের মৎসচাষী আয়েন উদ্দিনকে নিয়ে আমার বিরুদ্ধে যা তথ্য দিয়েছে তা সঠিক নই।
এ ব্যাপারে মৎসচাষী আয়েন উদ্দিনে সাংবাদিকদের বলেন, এর সুষ্ঠ সমাধানের জন্যে উন্মুক্ত সংবাদ সম্মেলনের দাবি জানাই। উভয় পক্ষ একত্রে হলেই সঠিকটা আপনারা জানতে পারবেন। আমিও চেয়ারম্যান সাহেবের সব কথা মেনে নিবো।
Leave a Reply