নাগরপুর(টাঙ্গাইল) প্রতিনিধিঃ
টাঙ্গাইলের নাগরপুর সদর ইউনিয়নের কাঠুরী ব্লকে বোরো ধানের শস্য কর্তণ করা হয়েছে। বোরো ধানের উৎপাদন ভালো হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বোরো ধানের ভালো ফলন হয়েছে বলে জানিয়েছে উপজেলা কৃষি সম্প্রারণ অধিদপ্তর।
বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) নতুন বছরের বোরো নমুনা ফসল কাটার উদ্বোধন করেন নাগরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল মতিন বিশ্বাস।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়,চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১৬ হাজার ১ শত ৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ হয়েছে। আজ আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষক পর্যায়ে উন্নতমানের ধান গম ও পাট বীজ উৎপাদন সংরক্ষণ ও বিতরণ প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়িত ব্রি ধান ৫৮ জাতের প্রদর্শণীর নমুনা শস্য কর্তন করে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। উল্লেখ্য যে এই প্রদর্শণী ভুক্ত চাষী এই জমি হতে যে পরিমাণ ধান পাবে তার পুরোটাই বীজ হিসেবে সংরক্ষণ করবে আগামী বছবের জন্য এবং তিনি সরকার কর্তৃক প্রদও লাইসেন্স ধারী ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা যিনি নিজের উৎপাদিত বীজ বিক্রি করবেন। ১৫ জনের গ্রুপে এই জহিরুল ইসলাম লিডিং কৃষক। ১৫ জন কর্তৃক উৎপাদিত বীজও জহিরুলের মাধ্যমে বিক্রি করতে হবে। গ্রুপের নাম কাঠুরি এসএমই ধান গম ও পাট বীজ উৎপাদনকারী গ্রুপ।
কাঠুরী গ্রামের কৃষক জহিরুল ইসলাম বলেন, এই বছর বোরো ধানের ফলন ভাল হইছে। আজ থেকে আমাদের গ্রামে কেউ কেউ কাটা শুরু করছে। পুরাদমে কাটা শুরু করতে আরও দুই-তিন দিন লাগবে।
নাগরপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা জনাব ইমরান হোসাইন বলেন, এ বছর বোরো ধানের উপযোগী আবহাওয়া থাকার ফলে বোরো আবাদে ভালো ফলন পেয়েছেন কৃষকরা। কৃষকের মুখে ফুটেছে হাসি।
পরিমাপ করে দেখা গেছে এই প্রদর্শণীতে এই জাতের ধানের ফলন হয়েছে ৭ টন/ হেক্টর।
নাগরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল মতিন বিশ্বাস বলেন, করোনা মহামারি কালে গত বারের মত এবারও যাতে নাগরপুর উপজেলার কৃষকরা যাতে সময় মতো ফসল কেটে ঘরে তোলতে পারে তার জন্য উপজেলা কৃষি অফিস কৃষকদের পাশে থাকবে।কৃষকরা যেন ধানের ন্যায্যমূল্য পান, সেদিকে উপজেলা কৃষি অফিস সবসময় তদারকি করবে।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারী ও কাঠুরী এলাকার কৃষকবৃন্দ।