ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার নাসিরাবাদ ইউনিয়নের দোপপাসা গ্রামে জনৈক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে এলাকার নীরিহ লোকজনের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে নাজেহাল এবং সম্ভ্রান্ত ব্যাক্তিদের নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মানহানিকর বক্তব্য দিয়ে সম্মানহানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে সুরাহা চেয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন এলাকার ভুক্তভোগী রিয়াজুল ফকির সহ বেশ কিছু লোকজন।
বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় দোপপাসা গ্রামে রিয়াজুল ফকিরের বাড়িতে বিষয়টি নিয়ে এলাকার প্রভাবশালী ইদ্রিস আলী মাতুব্বরের বিরুদ্ধে মামলা, হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরে সাংবাদিকদের কাছে ঘটনার বর্ননা দেন রিয়াজুল ফকির। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডাঃ শাহ জাহান, হায়দার হোসেন, ফরহাদ হোসেন, জুয়েল হোসেন, আমিন উদ্দিন ফকির, লতিফ পঞ্চাইত সহ এলাকার বেশ কিছু ক্ষতিগ্রস্থ জনসাধারন।
রিয়াজুল ফকির অভিযোগ করে বলেন, এলাকার প্রভাবশালী ইদ্রিস আলী মাতুব্বর এলাকার নীরিহ লোকজনের বিরুদ্বে হয়রানীমূলক ভাবে মামলা, হামলা দিয়ে অনেককেই এলাকাছাড়া করেছেন। তিনি এলাকার ভুক্তভোগী নীরিহ অনেককেই জমিজমা, ঘরবাড়ি দখল ও অসংখ্য মামলা দিয়ে স্বর্বশান্ত করে বিপর্যস্ত করারও অভিযোগ করেন তিনি।
এ সময় তিনি বলেন, প্রতিপক্ষরা সম্প্রতি একটি পুকুরে বিষ দিয়ে মাছ নিধনের বিষয়টি আমাকে জড়িয়ে মানহানিকর বক্তব্য দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে আমার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করা করার চেষ্টা করেছে। বিষয়টি খুবই নিন্দনীয়। এ সময় তিনি বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে এর রহস্য বের করে দোষীদের দৃষ্টানÍমূলক শাস্তির দাবী জানাই। এলাকার ডাঃ শাহজাহান বলেন, আব্দুলাবাদ বাজারের ১০টির অধিক দোকানঘর সহ জায়গাজমিন জোরপুর্বক দখল করে নেন তিনি(ইদ্রিস আলী মাতুব্বর)। এছাড়া ডাঃ শাহজাহান আরও বলেন, রাতের আধারে আমার ৩০ বছরের অধিককাল ধরে চালানো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ঔষধের দোকান ঘরটিও জোরপূর্বক ভেঙ্গে নিয়ে যায় প্রতিপক্ষরা। এমনকি অভিযুক্ত ইদ্রিস আলী মাতুব্বরের নিকট আত্মীয় হায়দার হোসেন, একই এলাকার ফরহাদ হোসেন, জুয়েল মিয়া, লতিফ পঞ্চাইত, সুলতান হোসেন, আমিন উদ্দিন ফকির জানান, ইদ্রিস আলী মাতুব্বরের অত্যাচারে আমরা অতিষ্ঠ। সে হয়রানীমূলকভাবে এলাকার মানুষের নামে অন্ততপক্ষে ২৭/২৮ টি হয়রানীমূলক মিথ্যা মামলা দিয়ে নাজেহাল করছে। এমনকি নীরিহ লোকজনের দোকান ঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান জোরপূর্বক দখল করার ফলে বেশ কয়েকটি পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে অভিযোগে প্রকাশ করে।
এ ব্যাপারে ইদ্রিস আলী মাতুব্বরের সাথে কথা হলে তিনি জানান, জায়গা জমি নিয়ে প্রতিপক্ষের সাথে কিছু ঝামেলা রয়েছে। তবে জোরপূর্বক দখল ও মিথ্যা মামলা দিয়ে প্রতিপক্ষকে হয়রানীর বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।
Leave a Reply