1. admin@protidinershomoy.com : admin :
  2. nasimriyad24@gmail.com : ডেস্ক রিপোর্ট : ডেস্ক রিপোর্ট
  3. wp-configuser@config.com : James Rollner : James Rollner
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:২০ অপরাহ্ন

১৬ জুলাই কারারুদ্ধ শেখ হাসিনা ও অবরুদ্ধ গণতন্ত্র: হাসান ইকবাল

সংবাদ দাতার নাম
  • সময় : শুক্রবার, ১৬ জুলাই, ২০২১
  • ২০৩ জন পড়েছেন

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আজ ১৬ জুলাই। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস। ২০০৭ সালে ১৬ জুলাই সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আজকের প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করে কারাগারে নিয়ে যায়। দিনটিকে ‘গণতন্ত্র অবরুদ্ধ দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ।

 

ধানমণ্ডির সুধা সদনের বাসভবন থেকে গ্রেফতারের আগে তৎকালীন সেনা সমর্থিত ওই সরকার আওয়ামী লীগ সভাপতির নামে একাধিক দুর্নীতির মামলা দেয়। এসব মামলায় দীর্ঘ ১১ মাস সংসদ ভবনে স্থাপিত বিশেষ কারাগারে বন্দি রাখা হয় তাকে।

ইতালী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসান ইকবাল বলেন, গ্রেফতারের পূর্ব মুহুর্তে দেশবাসীর কাছে লেখা শেখ হাসিনার চিঠি ছিল দুরদর্শী রাজনীতির উদাহরণ। তিনি বুঝতে পেরেছেন, দেশবাসী ও নিজের দলকে একটি দিক-নির্দেশনা দিয়ে যেতে হবে। তার অবস্থান যে মানুষের পক্ষে, অন্যায়- অনিয়মের বিপক্ষে এই চিঠিতে সেটিই স্পষ্ট করা হয়েছে। এটি আওয়ামী লীগকে শক্তি ও সাহস যুগিয়েছে।

গ্রেফতারের কয়েকদিন আগে রাজধানীর একটি হাসপাতালে শিল্পী সাবিনা ইয়াসমিনকে দেখতে গেলে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কঠোর সমালোচনা করেন শেখ হাসিনা। এরপরই ১৬ জুলাই ভোর রাতে সুধা সদন ঘিরে ফেলে যৌথবাহিনী। শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করে ঢাকার নিম্ন আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

গ্রেফতারের আগেই শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি দুর্নীতির মামলা দায়ের করা হয়। এসব মামলায় ১১ মাস বন্দি জীবন কাটাতে হয় তাকে। সেইসময় বিশেষ কারাগারের পাশেই সংসদ ভবন চত্বরে অস্থায়ী আদালত স্থাপন করে বিচার প্রক্রিয়াও শুরু করা হয়।

গ্রেফতার হওয়ার আগে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দলটির প্রবীণ নেতা তৎকালীন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জিল্লুর রহমানকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দিয়ে যান। এ ছাড়া গ্রেফতারের আগ মুহূর্তে দেশের জনগণের কাছে আবেগঘন একটি খোলা চিঠিও লেখেন তিনি।

শেখ হাসিনার অবর্তমানে শত প্রতিকূলতার মধ্য দিয়েও দলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ রাখেন জিল্লুর রহমান ও সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। নেতাদের মধ্যে দেখা দেওয়া দ্বিধা-বিভক্তিও দূর করেন তারা দুজন। পাশাপাশি শেখ হাসিনার মুক্তির আন্দোলন চালিয়ে যান আপোষহীনভাবে। কারাবন্দি আওয়ামী লীগ সভাপতির মুক্তির দাবিতে সারাদেশে স্বাক্ষর সংগ্রহ অভিযান শুরু করে আওয়ামী লীগ। প্রায় ১ কোটি স্বাক্ষর সংগ্রহ করে শেখ হাসিনার মুক্তির আন্দোলন তরান্বিত করা হয় এবং সেনা সমর্থিত সরকারের ভিত নড়বড়ে করে তোলে ওই কর্মসূচি।

এদিকে কারাগারে শেখ হাসিনার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। তার উন্নত চিকিৎসার জন্য আওয়ামী লীগ ও সহযোগী, ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের পক্ষ থেকে দাবি ওঠে। এক পর্যায়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ২০০৮ সালের ১১ জুন আট সপ্তাহের জন্য জামিন দেওয়া হয় শেখ হাসিনাকে। মুক্ত শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনায় বসেন তৎকালীন সেনা সমর্থিত সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টা। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে যান তিনি। চিকিৎসা শেষে ওই বছরের ৬ নভেম্বর দেশে ফিরেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। আওয়ামী লীগের আন্দোলন তখন আরও গতি পায়। অবশেষে ২০০৮ সালের ২৮ ডিসেম্বর নির্বাচন দিতে বাধ্য হয় ফখরুদ্দীনের নেতৃত্বাধীন সেনা সমর্থিত সরকার।

সংবাদটি আপনার সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার দিন

এই ক্যাটাগরীর আরোও সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশেষ সংখ্যা

%d bloggers like this: