1. admin@protidinershomoy.com : admin :
  2. nasimriyad24@gmail.com : ডেস্ক রিপোর্ট : ডেস্ক রিপোর্ট
  3. wp-configuser@config.com : James Rollner : James Rollner
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১০:২৯ পূর্বাহ্ন

লোহাগড়ায় পিআইও’র খালু শ্বশুর পেলেন গৃহহীনদের ঘর

নিজস্ব প্রতিনিধি
  • সময় : বৃহস্পতিবার, ৫ নভেম্বর, ২০২০
  • ৩৯২ জন পড়েছেন

নড়াইলের লোহাগড়ায় গৃহহীনদের ঘর নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। খোঁদ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) খালু শ্বশুরই পেয়েছেন সরকারি প্রকল্পের গৃহহীনদের ঘর। অথচ খালু শ্বশুরের রয়েছে তিনটি ঘর। সরকারি নির্দেশনা অনুয়ায়ি গৃহহীনরাই ঘর পাবেন।

অথচ, উপকারভোগী বাছাই ও ঘর নির্মাণে করা হয়েছে নানা অনিয়ম। জানা গেছে, লোহাগড়া উপজেলায় ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে গত ৮ ডিসেম্বর ৪৩টি প্রকল্প অনুমোদন করে উপজেলা প্রশাসন। প্রতিটি দুর্যোগ সহনীয় এ ঘর নির্মাণে সরকারি বরাদ্দ ২ লাখ ৯৯ হাজার ৮৬০ টাকা। দুযোর্গ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ খাতে বরাদ্দকৃত নগদ টাকায় এ কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে। ওই প্রকল্পের ১৯নং ক্রমিকের ঘরের মালিক ছাতড়া গ্রামের মোঃ আমির মোল্যার ছেলে মোঃ দুলাল মোল্যা। মোঃ দুলাল মোল্যা পিআইও এস,এম,এ করিমের খালু শ্বশুর।

খেঁাজ খবর নিয়ে জানা যায়, লোহাগড়া পৌরসভার ১নং ছাতড়া ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোঃ দুলাল মোল্যা। দুলালের স্ত্রী রহিমা বেগম (৫০)। রহিমার ভাগ্নী জামাই পিআইও করিম। সেই হিসাবে মোঃ দুলাল মোল্যা পিআইও”র খালু শ্বশুর। রহিমা বেগম জানান, পিআইও এস,এম,এ করিম সাহেব আমার আত্মীয়। জামাই নিজে আমাকে সরকারি টাকার ঘর দেছে। কিন্তু ঘর নির্মাণে ঠিকাদার নানা অনিয়ম করেছে। তিনি জানান, জয়পুর ইউনিয়নের মেম্বর বাচ্চুকে দিয়ে পিআইও সাহেব ঘরটি নির্মাণ কাজ করেছেন। তিনি অভিযোগ করেন, নতুন ঘরের চাল দিয়ে পানি পড়ছে। বাথরুমের টিনের চালের বেড়া ছোট তাই পানি ঢোকে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মোঃ দুলাল মোল্যা ও রহিমা বেগমের নিজের ১৮ শতক জমির উপর রয়েছে দেওয়াল ও মেঝে পাঁকা করা দুটি ঘরসহ মোট তিনটি ঘর। রয়েছে তিনটি সোলার প্যানেল। জয়পুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের মেম্বর মোঃ বাচ্চু শেখ জানান, রহিমা বেগম পিআইও স্যারের আত্মীয়। পিআইও করিম সাহেবের অনুরোধে ঘরের নির্মাণ কাজ করেছি। আমি রং ও টয়লেটের কুয়া বানানো বাদে সব কাজই করেছি। আমাকে পিআইও স্যার ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা দিয়েছেন। বাকি প্রায় ৭৫ হাজার কি করেছেন জানি না। আমি আরো টাকা পাবো।

ছাতড়া ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিশ্বনাথ দাস ভুন্ডুল বলেন, কাগজ কলমে ওই ঘর নির্মাণ প্রকল্পের সভাপতি আমি। অথচ, ঘর নির্মাণ করবার পর আমি বিষয়টি জেনেছি। পিআইও সাহেবের আত্মীয় বাড়িতে ঘরটি নির্মাণ করা হয়েছে।

লোহাগড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিকদার নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমার ইউনিয়নের নামে বরাদ্দ দিয়ে পৌরসভার মধ্যে ঘর কিভাবে হলো খেঁাজ নিচ্ছি।

’ লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোসলিনা পারভীন বলেন, ‘আমিতো ওই সময় লোহাগড়াতে দায়িত্বে ছিলাম না। পিআইও সাহেব ভাল বলতে পারবেন। তবে খোঁজ নিয়ে দেখবো।

সংবাদটি আপনার সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার দিন

এই ক্যাটাগরীর আরোও সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশেষ সংখ্যা

%d bloggers like this: