1. admin@protidinershomoy.com : admin :
  2. nasimriyad24@gmail.com : ডেস্ক রিপোর্ট : ডেস্ক রিপোর্ট
  3. wp-configuser@config.com : James Rollner : James Rollner
মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৩৮ অপরাহ্ন

দৌলতখানে নিষেধাজ্ঞা শেষে মেঘনায় জেলেদের মাছ ধরার প্রস্তুতি

সংবাদ দাতার নাম
  • সময় : বৃহস্পতিবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২০
  • ৫৫৯ জন পড়েছেন

ভোলা প্রতিনিধি মোঃ ছিদ্দিক মার্চ-এপ্রিল টানা দু’মাস ভোলার মেঘনায় মাছধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা শেষে আজ বৃহস্পতিবার রাত ১২ টা থেকে সকল প্রকার মাছ শিকারের প্রস্তুতি নিচ্ছেন জেলেরা।

আগামীকাল শুক্রবার বাজারে মিলবে ইলিশ। মাছ কেনার প্রস্তুতি নিচ্ছেন মৎস্যঘাটগুলোর আড়তদাররাও। দীর্ঘ দু’মাস অলস সময় কাটানোর পর মেঘনায় মাছ ধরতে নামছে জেলেরা। এ

কারণে স্বস্তি ফিরে এসেছে জেলে পরিবারগুলোতে। তবে অভিযান সফল হওয়ায় গত বারের চেয়ে এবার মাছের উৎপাদন আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করছেন মৎস্য বিভাগ। জাটকা সংরক্ষণের জন্যে দু’মাস ভোলার মেঘনার ইলিশাঘাট থেকে চরপিয়াল ৯০ কিলোমিটার পর্যন্ত অভয়াশ্রম ঘোষণা করেছে মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ বিভাগ।

এ সময় অভয়াশ্রম এলাকায় যে কোনো ধরণের মাছ আহরণ,পরিবহন, মজুদ, ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ করা হয়ে ছিলো। বাধাহীন মেঘনা নদীতে মাছ ধরতে পারবে তাই জেলেদের মনে কর্মোদ্দীপনা ফিরে এসেছে।

দৌলতখানা বিভিন্ন মাছঘাট এলাকায় গিয়ে জেলেদের মাছ ধরার প্রস্তুতি নিতে দেখা গেছে। সরেজমিনে জেলেদের কাউকে নৌকা মেরামত করতে ও কাউকে জাল ঠিক করার কাজে ব্যস্ত থাকতে দেখা যায়। রাত ১২ বাজলেই নদীতে মাছ শিকারে বের হবেন এমন খবরে তাদের অনেকের মুখে হাসির ঝিলিক দেখা গেছে।

উপজেলার ভবানীপুর ঘাটের জেলে মমিন জানান, টানা ২ মাস সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকায় আমরা নদীতে যাইনি। এখন অভিযান শেষ হচ্ছে। তাই জাল-নৌকা নিয়ে মেঘনা নদীতে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছি। জেলে পাড়ার মোস্তফা জানান, কিছুদিন আগে মেঘনার পানি ছিলো পরিষ্কার।

কিন্তু এখন গোলা। এ কারণে ইলিশ কম পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। প্রবীণ জেলে আলমগীর মাঝী জানান, মেঘনা নদীতে অনেক চর জেগেছে। নদীর নাব্যতা সংকটের কারণে ইলিশের বিচরণ ক্ষেত্র কমে যাচ্ছে।

অন্যান্য প্রজাতির মাছ ধরা পড়লেও বড় সাইজের ইলিশের দেখা নেই। তারপরও দু’মাস বেকার থাকার পর জীবন জীবিকার তাগিদে নদীতে নামছে জেলেরা।

তবে সচেতন মহলের মতে, সরকার জেলেদের খাদ্য সহায়তায় প্রতি মাসে ৪০ কেজি করে চাল দিলেও এ বছর প্রচুর পরিমাণে জাটকা নিধন করেছে। ফলে এ বছর জাটকা নিধনের কারণে ইলিশের আকাল দেখা দিতে পারে।

ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এসএম আজহারুল ইসলাম জানান, গত বছর ভোলায় ১ লাখ ৬৯ মেট্রিক টন ইলিশ উৎপাদন হয়েছে। এবার আরো বেশি ইলিশ উৎপাদন হবে বলে আশা করেন এ কর্মকর্তা।

তিনি আরও বলেন, মেঘনা হলো ইলিশের নার্সারী গাউন্ড। কিছু অসাধু জেলেরা অভয়াশ্রমে মাছ শিকার করলেও আমরা তাদের জেল জরিমানা করেছি। এবার অভিযান আমরা অনেক ভালোভাবে করেছি।

সংবাদটি আপনার সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার দিন

এই ক্যাটাগরীর আরোও সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশেষ সংখ্যা

%d bloggers like this: