1. admin@protidinershomoy.com : admin :
  2. nasimriyad24@gmail.com : ডেস্ক রিপোর্ট : ডেস্ক রিপোর্ট
  3. wp-configuser@config.com : James Rollner : James Rollner
মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০২:০৫ অপরাহ্ন

উত্যক্তের মামলার স্বাক্ষী কর্মচারীকে  পেটালো দুই শিক্ষক

সংবাদ দাতার নাম
  • সময় : রবিবার, ৫ মার্চ, ২০২৩
  • ১২১ জন পড়েছেন
রাজশাহী প্রতিনিধি: রাজশাহীর মোহনপুর ধুরইল ইসলামিয়া বালিকা দাখিল মাদ্রাসার এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে পানবরজে টেনে নিয়ে শ্লীলতাহানি করে এক বখাটে। সেই ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগে মাদ্রাসা কর্মচারী  স্বাক্ষী হলে ক্ষিপ্ত হন একই মাদ্রাসার দুই সহকারী শিক্ষক খোরশেদ ও মুসাদ আলী।
তারা তাকে বিভিন্ন অপবাদে বাঁশের লাঠি ও লোহার রড দিয়ে মারধোর করে। ওই কর্মচারী জ্ঞান হারিয়ে ফেললে অভিযুক্তরা তাকে সুপারিন্টেন্ডেন্টের কক্ষে আটকে রাখে। আহত কর্মচারীর নাম মোঃ আলাউদ্দিন মন্ডল (৫১)। তিনি মোহনপুর মডেল প্রেসক্লাবের একজন সদস্য। তিনি দৈনিক ডেসটিনি ও দেশের কন্ঠ পত্রিকার রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি।
ভুক্তভোগীর পরিবার, মাদ্রাসা ও এলাকাবাসীসুত্রে জানাগেছে, গত ১ফেব্রুয়ারী বুধবার ৮ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী মাদ্রাসা যাওয়ার পথে এলাকার বখাটে সোয়াইবুর ওই শিক্ষার্থীকে পানবরজে টেনে নিয়ে ইভটিজিং করার সময় মাদ্রাসা কর্মচারী দেখে ফেলে।
৩ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার ভুক্তভোগীর পিতা সাদু মৃধা মাদ্রাসা কর্মচারী আলাউদ্দিনকে স্বাক্ষী করে থানায় অভিযোগ দেন। এঘটনায় স্বাক্ষী হওয়ায় কর্মচারী আলাউদ্দিনের উপর চরম ক্ষিপ্ত হন অভিযুক্ত দুই শিক্ষক খোরশেদ ও মুসাদ আলী।
অভিযোগ পেয়ে ঘটনা তদন্তে যায় মোহনপুর থানা পুলিশ। পুলিশ এলাকা থেকে চলে আসার পর রাতে বখাটে সোয়াইবুর এর বড় চাচা মুসাদসহ চারজন মিলে ওই শিক্ষার্থীর চাচা রাশিকুল ইসলাম মৃধা ওরফে বাবু (৩২)কে মাথায় ইট মেরে গুরুতর রক্তাক্ত  জখম করেন। তার মাথায় ৫টি সেলাই পড়ে। তিনি বর্তমানে মোহনপুর সরকারি হাসপাতালে  চিকিৎসাধীন। ঘটনার পর থেকে পুলিশী টহলের কারণে অভিযুক্তরা গা ঢাকা দিয়েছে।
এঘটনার রেশ না কাটতেই অভিযুক্ত দুই শিক্ষক ৫ মার্চ রোববার বেলা সাড়ে ১১টার সময় মাদ্রাসা চলাকালীন সময়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পিকনিক ইস্যুতে কর্মচারী আলাউদ্দিনকে বিভিন্ন অপবাদ দিয়ে সহকারী দুই শিক্ষক খোরশেদ ও মুসাদ প্রথমে বাশের লাঠি ও পরে লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করতে থাকে। এসময় মাদ্রাসার সুপারিন্টেন্ডেন্ট মাওলানা নুরুজ্জামান তাদের মারধরে বাঁধা নিষেধ করলে তাকে অপমান অপদস্ত ও শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত করে ও ধাক্কা মেরে মাটিতে ফেলে দেয় অভিযুক্ত দুই শিক্ষক।
গুরুতর আহত কর্মচারী যেন চিকিৎসা সেবা নিতে না পারে সেজন্য তারা কর্মচারী আলাউদ্দিনকে মাদ্রাসা প্রধানের কক্ষে আটকে রাখে। জ্ঞান ফিরে কর্মচারী আলাউদ্দিন জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কল করলে পুলিশ তাকে থানায় আসতে বলে। এদিকে খবর পেয়ে মাদ্রাসা সভাপতি ওয়াজেদ আলী শাহ্ তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য মোহনপুর সরকারি হাসপাতালে পাঠান। তিনি এখন মোহনপুর সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এবিষয়ে ধুরইল ইসলামিয়া বালিকা দাখিল মাদ্রাসার সুপারিন্টেন্ডেন্ট মাওলানা মোঃ নুরুজ্জামান বলেন, আমি ওই দুই শিক্ষককে বার বার অনুরোধ করলেও তারা আমাকে শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত করে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয় এবং লোহার রড দিয়ে কর্মচারী আলাউদ্দিনকে ব্যাপক মারধর করে আমার কক্ষে আটকিয়ে রাখে। এঘটনায় সভাপতির সিদ্ধান্তে অভিযুক্ত দুই শিক্ষককে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এবিষয়ে মোহনপুর থানা কর্মকর্তা ওসি মোহা. সেলিম বাদশাহ্ বলেন, ইভটিজিং ও মারামারি সংক্রান্ত একটি অভিযোগ আগেই পেয়েছি। মাদ্রাসা কর্মচারী থানায় এসেছিল। তাকে চিকিৎসা নিতে পরামর্শ দিয়েছি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সংবাদটি আপনার সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার দিন

এই ক্যাটাগরীর আরোও সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশেষ সংখ্যা

%d bloggers like this: