1. admin@protidinershomoy.com : admin :
  2. nasimriyad24@gmail.com : ডেস্ক রিপোর্ট : ডেস্ক রিপোর্ট
  3. wp-configuser@config.com : James Rollner : James Rollner
মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৫২ পূর্বাহ্ন

বিএমডিএ: ইবিএ প্রকল্পে দুর্নীতি, ভোগান্তিতে গ্রামীণ কৃষক

সংবাদ দাতার নাম
  • সময় : সোমবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২৪
  • ২৫ জন পড়েছেন
শাহিনুর রহমান সোনা, রাজশাহী : বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) ইকোসিস্টেম বেইজড অ্যাপ্রোচেস টু অ্যাডাপটেশন ইন দ্য ড্রাউট প্রোন বারিন্দ ট্রাক্ট অ্যান্ড হাওর ওয়েটল্যান্ড এরিয়া (ইবিএ) প্রকল্পের অধীনে বিভিন্ন মেয়াদে ৬ প্রকল্প নিয়ে ব্যাপক অনিয়ম আর দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এই প্রকল্পের পরিচালক (পিডি) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আব্দুল লতিফ দীর্ঘদিন প্রকল্পগুলো থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
গভীর নলকূপ পূনর্বাসন ও স্থাপন, বিদ্যুতায়ন ও নালা নির্মাণ, ভূ-গর্ভস্থ পানি সংরক্ষণ, কৃষি ব্যবস্থার দক্ষতা ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিকরণ, পানি বিতরণ ও প্রি-পেইড মিটার স্থাপন, চারারোপণ, অকেজো নলকূপ সচলকরণ, পুকুর পূন:খনন, খাল খননসহ অন্যান্য কাজের ৬ প্রকল্পে ৩৪৮ কোটি ৭৯ লাখ ৬৬ হাজার টাকার কাজে এ লোপাট করা হয়। প্রকল্পগুলোতে অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে এরকম অভিযোগের সত্যতা পেয়েছেন সংবাদকর্মীরা।  ভুক্তভোগী ও সেবা প্রত্যাশীদের বক্তব্যে উঠে এসেছে লাগামহীন এসব অনিয়ম আর দূর্নীতির ভয়াবহ চিত্র।
জানা যায়, বরেন্দ্র ইবিএ প্রকল্প ইউনিট-২ এলাকায় প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার জন্য ১ম ও ২য় পর্যায়ে (২০০৫-০৮ ও ২০০৬-১১) ৩১ কোটি ১ লাখ টাকা ব্যয়ে বনায়ন সৃষ্টি করা হয়। নামে বনায়ন বা চারারোপন প্রকল্প হলেও সেখানে বরাদ্দের এক-তৃতীয়াংশও চারা দেখতে পাওয়া যায়নি। তবে বিএমডিএ কর্তৃপক্ষ বলছে সেখানকার অনেক চারাগাছ নষ্ট হয়ে গেছে।
২০০৮-১৪ পর্যন্ত সেচ কাজে ব্যবহারের জন্য অকেজো গভীর নলকূপ সচলকরণ আরেক প্রকল্পে ১৯৯ কোটি ১৩ লাখ ৯ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। ওই প্রকল্পের সুবিধাভোগী কৃষকেরা এখনও পানির জন্য হাহাকার করছে। অল্পকিছু পুরাতন গভীর নলকূপ সংস্কার ও পানি বিতরণ এবং প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের মাধ্যমে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে কোটি কোটি টাকা। এমন অভিযোগ খোদ প্রকল্প এলাকার স্থানীয় কৃষকদের। তারা আরও বলছেন, অনেক নলকূপ বন্ধ হয়ে গেছে। সচল অন্য নলকূপগুলো দিয়ে একাধিক এলাকায় সেচ সরবরাহ করায় চাপ বাড়ছে, ব্যহত হচ্ছে স্বাভাবিকতা।
২০১৪-১৮ সাল পর্যন্ত রাজশাহী, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় পুরাতন গভীর নলকূপ পূর্নবাসন প্রকল্পে ৭৬ কোটি ২২ লাখ ৫৭ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। ওই প্রকল্পের বিষয়ে স্থানীয় চাষীদের সাথে কথা বলে তীব্র পানি সংকটের কথা জানা যায়। প্রকল্পে ব্যয়কৃত টাকা শুধুমাত্র কাগজ কলমেই ঠিক রাখা হয়েছে বলে জানান কৃষকরা। কাজের কাজ তেমন কিছুই হয়নি। কিছু বিদ্যুতায়ন ও নালা নির্মাণ হলেও গভীর নলকূপ পূর্নবাসন নামে হয়েছে ব্যাপক লুটপাট। ২০২০ সাল থেকে চলমান ভূ-গর্ভস্থ পানি সংরক্ষণ এবং কৃষি দক্ষতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পে ৪৩ লাখ ৯২ হাজার টাকা ব্যয় করা হয়। ওই প্রকল্পের কাজে ৯২% অগ্রগতি দেখানো হলেও কাজটির অর্ধেকও সম্পন্ন হয়নি।
২০১৯-২৫ সাল পর্যন্ত চলমান অন্য আরেক প্রকল্পে পুকুর ও খাল খনন বাবদ ৪২ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। মেয়াদ শেষের দিকে হলেও বেশীরভাগ জায়গায় এখনও কাজ শুরু হয়নি। প্রকল্পে বিদেশি ফান্ডের মোটা অংকের টাকা অনিয়মের মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছেন দেখভালের দ্বায়িত্বে থাকা পরিবেশ অধিদপ্তরের কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও প্রকল্প পরিচালক। প্রতিটি কাজে ঠিকাদারদের কাছ থেকে ১০% কমিশন নিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক আব্দুল লতিফ। এছাড়াও কোন কোন ক্ষেত্রে কাজ না করেও বিল তুলে নিয়েছেন লতিফ।
সরেজমিনে গিয়ে  ইবিএ প্রকল্পের আওতায়  (তানোর, নাচোল, সাপাহার) পুকুর পূন: খননে দূর্নীতি চিত্র চোখে পড়ে। প্রতিটি পুকুর খননে ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। এতে শুধুমাত্র ৩ হাজার টাকা মূল্যের সাইন বোর্ডের দাম ৩০ হাজার টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে।
তানোর বরেন্দ্র অঞ্চলের কৃষক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, লোবাতলা ব্রিজের পুর্ব পাশ থেকে শিবনদী পর্যন্ত ৩.২ কি.মি খাল খননে মানা হয়নি কাজের নিয়ম। দায়সারা কাজ হয়েছে।
নাচোলের স্থানীয় কৃষক কুরবান আলী বলেন, এলাকায় কৃষকরা চরম পানি সংকটে আছেন। ইবিএ প্রকল্পের নামে সাধারণ কৃষকদের সাথে প্রতারণা করা হয়েছে। প্রকল্পের কাজগুলো তদন্ত করে এদের বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
বিএমডিএ’র ইবিএ প্রকল্প পরিচালক আব্দুল লতিফকে মুঠোফোনে কল দিলে তিনি বলেন, এসব বিষয়ে আমি ফোনে কথা বলবো না। আপনার কিছু জানার থাকলে অফিসে আসেন। অফিসে আসলে কথা হবে। পরে অফিসে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি।

সংবাদটি আপনার সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার দিন

এই ক্যাটাগরীর আরোও সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশেষ সংখ্যা

%d bloggers like this: