শাহেদ হোসাইন মুবিন কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি:
#বরাবর,
মাননীয় চেয়ারম্যান মহোদয়,
৪নং বমু বিলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ।
বমু বিলছড়ি, চকরিয়া, কক্সবাজার।
বিষয় ঃজনসচেতনতা বৃদ্ধি, হত দরিদ্রদের জন্য ত্রাণের আবেদন ও দোকান পাট বন্ধ করণ প্রসঙ্গে।
জনাব,যথাযোগ্য শ্রদ্ধা, সম্মান ও সালাম গ্রহণ করোন। আপনি নিশ্চয় অবগত আছেন যে,বিশ্বে করোনা ভাইরাস মহামারী আকার ধারণ করছে।(WHO) কর্তৃক বাংলাদেশ কে ঝুঁকিপুর্ণ এলাকা ঘোষণা করা হয়েছে।আমার আপনার প্রিয় জন্মভুমি কক্সবাজার জেলার ছিটমহল খ্যাত চকরিয়া উপজেলার দূর্গম ও বিচ্ছিন্ন জনপদে অবস্থিত আমাদের বমু বিলছড়ি ইউনিয়ন। এই ইউনিয়নে প্রায়ই দশ হাজারের অধিক জনসংখ্যার বসবাস।করোনার এই প্রকুপ থেকে আমাদেরকে বাঁচলে হতে প্রথমত জনসচেতনতায় মুখ্য বিষয় হয়ে দাঁড়ায়।মাননীয় চেয়ারম্যান মহোদয় জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে আমরা এখনো পর্যন্ত ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সচেতনতা মূলক কোন কর্মকান্ড উপলব্ধি করতে পারিনা।যদিওবা মেম্বার মহোদয় কর্তৃক প্রতিটি দোকান সন্ধা ৬,০০টায় বন্ধ করতে বলা হলেও দোকান সওদাগরেরা আরো রমরমা ব্যবসা চালিয়া যাচ্ছে।এমনকি প্রতিটি দোকানে ১৫জনের অধিক মানুষ তো আছেই,সাথে ক্যারম খেলা। এমনকি রাত ১০টা ঘনিয়ে এলেও দোকান পাট খোলা রেখে রমরমাট ব্যাবসা চালিয়ে যেতে দেখা যায়।অথচ মসজিদে ৫জনের অধিক মুসল্লী নিয়ে নামাজ পড়া যাবেনা বলে সরকারিভাবে ঘোষণা আছে।তা কি চায়ের দোকানের জন্য নাই?দ্বিতীয়ত বমু বিলছড়ির ৯০’/.মানুষ কৃষির উপর নির্ভরশীল।জাতীর এই ক্রান্তিলগ্নে সমাজের কর্মহীন মানুষের জীবিকা চলতো তামাক চাষের হাল ধরার মধ্য দিয়ে। ইতিমধ্যে তামাক চাষ ও বন্ধ হয়ে গেছে।কর্মহীনা মানুষেরা ক্ষুদায় নড়বড় করছে।কাজকর্ম ছাড়া আর কতোদিন চলতে পারে।অন্যদিকে মধ্যবিত্ত পরিবারের কান্না কে যেন শুনবে।লোকলজ্জার ভয়ে কাউকে বলতেও পারছেনা সহ্যও করতে পারছেনা।প্রবাসী পরিবারগুলোত আরো অসহায়ত্বে দিনাতিপাত করছে।এমতাবস্থায় আপনার অভিভাবকত্বধীন এলাকার দূঃখ কষ্ট বুঝার দায়িত্ব আপনার।আপনার নিজ তহবিল থেকে হোক,সরকারি তহবিল থেকে হোক,কিংবা ডিসি স্যারের জরুরি ত্রাণ তহবিল থেকে হোক খাদ্য সামগ্রী নিয়ে এলাকাবাসীর পাশে দাঁড়ানোর জন্য বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।
অতএব,উপরে উল্লেখিত বিষয়সমূহ দ্রুত সম্পন্ন করলে আমরা আপনার প্রতি চিরকৃতজ্ঞ থাকবো।
নিবদক,
৪নং বমু বিলছড়ি ইউনিয়নবাসীর পক্ষে,
মোঃনুরুল আব
Leave a Reply