ভরত রায় প্রত্যয়,
চিরিরবন্দর দিনাজপুর প্রতিনিধি
কথাগুলো এভাবেই বলতেছিলেন চিরিরবন্দরে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা কল্পনা রানী। পরিবারের করুন আর্তনাদ কর্নপাত হয়নি মেম্বার কিংবা চেয়ারম্যানের, ১২ দিনেও পায়নি খাদ্য সহায়তা।
চিরিরবন্দরে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা হতদরিদ্র কল্পনা রানীর পরিবার এখনো পর্যন্ত কোন ত্রানের দেখা পায়নি। ফলে অনাহারে-অর্ধহারে দিন কাটাচ্ছে পরিবারটি।
জানা গেছে, চিরিরবন্দর শহর থেকে ৬ কিঃ মিঃ দূরে অমরপুর ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের গমিরা নয়াপাড়ায় তিন মেয়ে নিয়ে বসবাস মৃত সুবত চন্দ্রের স্ত্রী কল্পনা রানীর।
কল্পনা রানী জানান, স্বামী মারা গেছে ৪ বছর হচ্ছে, অভাব-অনাটনের মধ্যে চলে তার সংসার। তাই সংসারে স্বচ্ছলতা ফেরাতে দুই মেয়ে ঢাকার সাভারে গার্মেন্টসে চাকরী করে। করোনা ভাইরাস জটিল আকার ধারন করায় গত ১০ এপ্রিল চাকরী ছেড়ে বাড়ী ফিরে আসতে বাধ্য হয়।
স্থানীয় গ্রাম পুলিশ পলাশ এসে উপস্থিত হন কল্পনার বাড়িতে। এর পর জানতে চান আমার মেয়েরা ঢাকা থেকে আসছে কিনা জানার পর দরজায় একটি লাল পতাকা বেধে তার পরিবারের সকলকে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ প্রদান করে চলে যান। আমার দুই মেয়ে শারীরিক ভাবে সম্পুর্ন সুস্থ দাবী করে কল্পনা ক্ষোভের সহিত বলেন, হঠাৎ দেশের এই অবস্থা হওয়ায় মেয়েরা গার্মেন্টসের বেতনও পায়নি।
তিনি আরও বলেন, গ্রাম পুলিশ এসে লাল পতাকা দিছে তাতে তার কোন দুঃখ নেই, কিন্তু গত তিন দিন যাবত তাদের পরিবারের সবাই অনাহারে। খাবারের জন্য চেয়ারম্যানকে ফোন দিলে কয় বাড়ি থাকি বেরান না, হইবে হইবে। এরপর আর ফোন ধরে না। মেম্বারের কাছে ফোন দিলে কোন উত্তর দেয় না। আমার বাড়ীতে টিউবওয়েল নেই তাই পানি ও খাবার না থাকায় অনাহারে দিন কাটাতে হচ্ছে পরিবারের সবাইকে।
এব্যাপারে গণমাধ্যমকর্মীকে ইউপি চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন সরকার বলেন, এ বিষয় নিয়ে রাত ৮ টার পর কথা বলবো।
Leave a Reply